নিহতদের স্মরণে দোয়া দিবস পালিত- ঘাদানিকদের উসকে দিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির চেষ্টা করছে সরকারঃ জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঘাদানিক ও সরকার পরে প্রতিক্রিয়ায় প্রমাণিত হয়েছে,  ট্রাইব্যুনালের গ্রহণযোগ্যতা কোনো পরে কাছে নেই।
তিনি বলেন, সরকার কথিত অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে শতভাগে নিরপে ও স্বাধীন আখ্যা দিলেও তারাই আবার ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ঘাদানিকদের উসকে দিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারাই কথিত আন্দোলনের নামে শাহবাগে সমাবেশ করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা একাত্মতা ঘোষণার জন্য সেখানে যাচ্ছেন। আবার সেখানেই কথিত লাঞ্ছিত হওয়ার নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার আমাদেরকে শহীদদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। সরকারের প্রত্য সহযোগিতায় তারা দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বিনষ্টের চেষ্টায় লিপ্ত। তারা দেশে আবারো ১/১১ আনার চেষ্টা করছে।

রাজধানীতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য এস এম রুহুল আমীন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জনতার আন্দোলনকে দমন করার জন্যই দলন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। গত কয়েক দিনের আন্দোলনে সরকার বুঝতে পেরেছে যে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তারা নিজেদের মতা রা করার জন্যই পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী দিয়ে জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে বগুড়া ও চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আটজন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে শহীদ করেছে।

এমন কি একজন শিবির নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। তবে দেশের মানুষ এই নির্মমতা কখনোই মেনে নেবে না। তিনি পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলায় নিহতদের শহীদ হিসেবে কবুল করে নেয়ার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দেয়া করেন এবং হত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ফরমায়েসি দণ্ডাদেশ বাতিল, প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে অবিলম্বে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

জামায়াত নেতা ষড়যন্ত্র ও প্রহসনের বিচার বন্ধ করে শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় জনগণ প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালের রায় কখনোই মেনে নেবে না বরং আগামীতে আবারো কোনো রায় দেয়ার চেষ্টা করা হলে জনতা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জামায়াত নেতা বলেন, বিচারপতির স্কাইপ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে কথিত বিচারপ্রক্রিয়ায় সরকারের ষড়যন্ত্র দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিসর সফরে গিয়ে রায়ের দিন-তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে সরকার।

ধানমন্ডি থানা : কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি থানা। থানা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন থানা আমির অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ সেবক হারুন অর রশীদ। অন্যানের মধ্য উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ মিজানুর রহমান, জামায়াত নেতা তরিকুল ইসলাম, আবু নাঈম, শফিকুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

ডেমরা থানা : কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানার উদ্যোগে শহীদর স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডেমরা থানা আমির মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আবু তালেব ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডেমরা থানা সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
       

No comments

Powered by Blogger.