বরিশাল বিএম কলেজে তিন মাসের অস্থায়ী ‘ছাত্র কর্মপরিষদ’ পার করছে দেড় বছর! by আযাদ আলাউদ্দীন
বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) বিশ্ববিদ্যালয় কলেজছাত্র সংসদের (বাকসু)
নির্বাচনকে পাশ কাটিয়ে অগঠনতান্ত্রিক পন্থায় গঠন করা হয় ছাত্র
কর্মপরিষদ।
তিন মাস মেয়াদের এই অবৈধ ‘ছাত্র কর্মপরিষদ’
এখন দেড় বছরেরও বেশি পার করছে। অভিযোগ রয়েছে, বাকসু তহবিলে জমা থাকা
কয়েক কোটি টাকা লোপাট করতেই মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র
শওকত হোসেন হিরণের চাপে বিএম কলেজের সাবেক বিতর্কিত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.
ননীগোপাল দাস অবৈধ পন্থায় অস্থায়ী এই ‘ছাত্র কর্মপরিষদ’ গঠন করেন।
২০১১ সালের ২০ জুন দণিাঞ্চলের ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের (বাকসু) সংবিধান সংশোধন করে তড়িঘড়ি করে ছাত্রলীগের চিহ্নিত ও বিতর্কিত নেতাদের নিয়ে বিকল্প ছাত্র কর্মপরিষদ গঠন করেন বিএম কলেজের তৎকালীন অধ্য প্রফেসর ড. ননীগোপাল দাস। সেই দিন বিএম কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের জরুরি সভায় ছাত্রলীগ ও সমমনা বাম কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ২৬ সদস্যের কর্মপরিষদ ঘোষণা করে সাথে সাথেই তাদের শপথবাক্য পাঠ্য করানো হয়। সেই সময় ছাত্রলীগের একাংশ, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতারা গঠিত কর্মপরিষদকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে কলেজের কোটি কোটি টাকা লোপাটের জন্য নির্বাচন না দিয়ে এই পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে।
বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন তুষারকে ভিপি ও নাহিদ সেরনিয়াবাতকে এ পরিষদের জিএস করা হয়। দুইজনই মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সমর্থক এবং বিতর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত। কর্মপরিষদের অন্য ২৩টি সদস্যপদের মধ্যে ছাত্রমৈত্রীর দুইজন এবং জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রসমাজের একজন করে প্রতিনিধি রেখে এ কর্মপরিষদকে নামেমাত্র সর্বদলীয় করা হয়েছিল।
অবৈধ পন্থায় অস্থায়ী এ ‘কর্মপরিষদের’ শপথ অনুষ্ঠানের মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে পদত্যাগ করেন সহকারী ম্যাগাজিন সম্পাদক আতিকুল্লাহ মুনিম, সহকারী পরিবহন সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে বাবু সেরনিয়াবাত এবং সমাজসেবা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সেরনিয়াবাত ওরফে অনিক।
দেড় বছরেরও বেশি ধরে অবৈধ এ ‘কর্মপরিষদ’ নবীনবরণ, বর্ষবরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনার নাম করে কলেজছাত্র সংসদের (বাকসু) তহবিল থেকে কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিএম কলেজের একাধিক ছাত্রনেতা। আর কথিত ‘কর্মপরিষদের’ এসব কার্যক্রমে প্রত্যভাবে সহায়তা করেছিলেন বিএম কলেজের অধ্যসহ কিছু শিক।
বাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪১ ধারা অনুযায়ী যদি কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি না থাকে, তা হলে কলেজের নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে অস্থায়ী কর্মপরিষদ গঠন করা যায়। তবে এ েেত্র কলেজের সব ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দেড় বছর আগে যে অস্থায়ী কর্মপরিষদ গঠন হয়েছিল তাতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কোনো প্রতিনিধি নেই। শুধু অন্য ছাত্রসংগঠনই নয়, ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশকেও কর্মপরিষদে রাখা হয়নি। এমনকি গঠিত এই কর্মপরিষদের ভিপি ও জিএস বিএম কলেজের নিয়মিত ছাত্রও নন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক অধ্যাপক কাইয়ুম উদ্দিন জানান, ‘কর্মপরিষদের বৈধতার জন্য বাকসুর সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল’। তিনি দাবি করেন, ‘গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য শিক ও ছাত্রদের সমন্বয়ে প্রতিনিধি পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ও তিনজন শিক প্রতিনিধি গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছেন।’ এ দিকে অস্থায়ী ছাত্র কর্মপরিষদ গঠনের জন্য বাকসুর সংবিধান পরিবর্তন করায় সেই সময় এর উদ্দেশ্য ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলেজের বেশির ভাগ ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক সেরনিয়াবাত বলেন, ‘বিতর্কিত সাবেক অধ্য ও শিক পরিষদের সম্পাদক কাইউম উদ্দিন অর্থের বিনিময়ে একটি অগণতান্ত্রিক পরিষদ গঠন করেছেন। ছাত্র সংসদের তহবিলের অর্থ আত্মসাতের জন্য সংবিধান সংশোধন করে এ পরিষদ গঠন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত ছাত্র সংসদ ছাড়া গঠনতন্ত্র সংশোধন অবৈধ’।
২০১১ সালের ২০ জুন দণিাঞ্চলের ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের (বাকসু) সংবিধান সংশোধন করে তড়িঘড়ি করে ছাত্রলীগের চিহ্নিত ও বিতর্কিত নেতাদের নিয়ে বিকল্প ছাত্র কর্মপরিষদ গঠন করেন বিএম কলেজের তৎকালীন অধ্য প্রফেসর ড. ননীগোপাল দাস। সেই দিন বিএম কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের জরুরি সভায় ছাত্রলীগ ও সমমনা বাম কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ২৬ সদস্যের কর্মপরিষদ ঘোষণা করে সাথে সাথেই তাদের শপথবাক্য পাঠ্য করানো হয়। সেই সময় ছাত্রলীগের একাংশ, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতারা গঠিত কর্মপরিষদকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে কলেজের কোটি কোটি টাকা লোপাটের জন্য নির্বাচন না দিয়ে এই পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে।
বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন তুষারকে ভিপি ও নাহিদ সেরনিয়াবাতকে এ পরিষদের জিএস করা হয়। দুইজনই মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সমর্থক এবং বিতর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত। কর্মপরিষদের অন্য ২৩টি সদস্যপদের মধ্যে ছাত্রমৈত্রীর দুইজন এবং জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রসমাজের একজন করে প্রতিনিধি রেখে এ কর্মপরিষদকে নামেমাত্র সর্বদলীয় করা হয়েছিল।
অবৈধ পন্থায় অস্থায়ী এ ‘কর্মপরিষদের’ শপথ অনুষ্ঠানের মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে পদত্যাগ করেন সহকারী ম্যাগাজিন সম্পাদক আতিকুল্লাহ মুনিম, সহকারী পরিবহন সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে বাবু সেরনিয়াবাত এবং সমাজসেবা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সেরনিয়াবাত ওরফে অনিক।
দেড় বছরেরও বেশি ধরে অবৈধ এ ‘কর্মপরিষদ’ নবীনবরণ, বর্ষবরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনার নাম করে কলেজছাত্র সংসদের (বাকসু) তহবিল থেকে কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিএম কলেজের একাধিক ছাত্রনেতা। আর কথিত ‘কর্মপরিষদের’ এসব কার্যক্রমে প্রত্যভাবে সহায়তা করেছিলেন বিএম কলেজের অধ্যসহ কিছু শিক।
বাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪১ ধারা অনুযায়ী যদি কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি না থাকে, তা হলে কলেজের নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে অস্থায়ী কর্মপরিষদ গঠন করা যায়। তবে এ েেত্র কলেজের সব ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দেড় বছর আগে যে অস্থায়ী কর্মপরিষদ গঠন হয়েছিল তাতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কোনো প্রতিনিধি নেই। শুধু অন্য ছাত্রসংগঠনই নয়, ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশকেও কর্মপরিষদে রাখা হয়নি। এমনকি গঠিত এই কর্মপরিষদের ভিপি ও জিএস বিএম কলেজের নিয়মিত ছাত্রও নন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক অধ্যাপক কাইয়ুম উদ্দিন জানান, ‘কর্মপরিষদের বৈধতার জন্য বাকসুর সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল’। তিনি দাবি করেন, ‘গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য শিক ও ছাত্রদের সমন্বয়ে প্রতিনিধি পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ও তিনজন শিক প্রতিনিধি গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছেন।’ এ দিকে অস্থায়ী ছাত্র কর্মপরিষদ গঠনের জন্য বাকসুর সংবিধান পরিবর্তন করায় সেই সময় এর উদ্দেশ্য ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলেজের বেশির ভাগ ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক সেরনিয়াবাত বলেন, ‘বিতর্কিত সাবেক অধ্য ও শিক পরিষদের সম্পাদক কাইউম উদ্দিন অর্থের বিনিময়ে একটি অগণতান্ত্রিক পরিষদ গঠন করেছেন। ছাত্র সংসদের তহবিলের অর্থ আত্মসাতের জন্য সংবিধান সংশোধন করে এ পরিষদ গঠন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত ছাত্র সংসদ ছাড়া গঠনতন্ত্র সংশোধন অবৈধ’।
No comments