নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে মাওবাদীদের শর্ত বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান
নেপালের রাজনৈতিক অচলাবস্তা কাটাতে প্রধামন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য
প্রথমবারের মতো শর্ত দিয়েছে মাওবাদীরা। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য বিরোধী
দলগুলোর সাথে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসন বলে তারা বর্ণনা করেছেন।
রাজনৈতিক
অচলাবস্থার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র একটি দেশকে অচল করে দিয়েছে।
কিন্তু তার এই মাওবাদীদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান দুই
বিরোধী দলের নেতারা। তারা এটিকে সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল বলে বর্ণনা
করেছেন। দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা অবসানে সরকার আন্তরিক নয় বলেও
অভিযোগ করে তারা। নেপালের নির্বাচন তত্ত্বাবধান করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতিকে ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রধান’ হিসেবে বিরোধী দলগুলোর
কাছে প্রস্তাব রাখেন দেশটির মাওবাদী প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই।
ঐকমত্যের সরকার গঠিত হলে কোন শর্তে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার মাওবাদী সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। নেপালের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ছয় দিনব্যাপী সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ করে ইউনিফাইড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে খসড়া সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর গত বছর মে মাস থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক বিদ্রোহী নেতা বাবুরাম ভট্টরাই। অথচ নতুন সংবিধান নেপালের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি বলে মনে করা হয়। দশককালের গৃহযুদ্ধের পর ২০০৬ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয় নেপালে। এই গৃহযুদ্ধে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। দেশটিতে এখনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। বর্তমানে ভট্টরাইয়ের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে বিতর্কের কারণে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নেপালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম। ওই নির্বাচনের পর দেশটিতে অচলাবস্থা কেটে যাবে এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য জাতীয় পরিষদ গঠনের পথ সুগম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রস্তাবে রাজি আছেন বলেও জানান তিনি। ঐকমত্যের সরকার গঠিত হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না সে বিষয়ে তখন কিছু না বললেও সম্মেলন শেষে তিনি এ বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেন। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে হেতাউদায় সম্মেলনস্থল থেকে দলের এক প্রতিনিধি সূর্য রিমাল বলেন, অচলাবস্থা কাটানোর জন্য আগামী মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধানে নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম প্রস্তাব করেছে আমাদের দল।
ঐকমত্যের সরকার গঠিত হলে কোন শর্তে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার মাওবাদী সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। নেপালের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ছয় দিনব্যাপী সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ করে ইউনিফাইড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে খসড়া সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর গত বছর মে মাস থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক বিদ্রোহী নেতা বাবুরাম ভট্টরাই। অথচ নতুন সংবিধান নেপালের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি বলে মনে করা হয়। দশককালের গৃহযুদ্ধের পর ২০০৬ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয় নেপালে। এই গৃহযুদ্ধে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। দেশটিতে এখনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। বর্তমানে ভট্টরাইয়ের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে বিতর্কের কারণে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নেপালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম। ওই নির্বাচনের পর দেশটিতে অচলাবস্থা কেটে যাবে এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য জাতীয় পরিষদ গঠনের পথ সুগম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রস্তাবে রাজি আছেন বলেও জানান তিনি। ঐকমত্যের সরকার গঠিত হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না সে বিষয়ে তখন কিছু না বললেও সম্মেলন শেষে তিনি এ বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেন। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে হেতাউদায় সম্মেলনস্থল থেকে দলের এক প্রতিনিধি সূর্য রিমাল বলেন, অচলাবস্থা কাটানোর জন্য আগামী মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধানে নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম প্রস্তাব করেছে আমাদের দল।
No comments