সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীতে বাসভাড়া বৃদ্ধি by হামিদ সরকার
সরকার ও যোগাযোগ মন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানী ঢাকাতে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছেন বাস মালিকেরা।
এ
সরকার মতায় আসার পর এখন পর্যন্ত ঘোষণা দিয়ে ছয়বার বেড়েছে পরিবহন
ভাড়া। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় শুধু ঢাকার বাইরে ভাড়া বৃদ্ধির
সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা
করে যাত্রীপ্রতি ৩ টাকা করে ভাড়া বাড়িয়েছেন ঢাকার বাস মালিকেরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তিন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে
বাসভাড়া বাড়ানো হলো। প্রতি ট্রিপে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা করে আদায় করছেন বাস
মালিকেরা। আর এ বর্ধিত ভাড়া নিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের সাথে অপ্রীতিকর
ঘটনা ঘটছে। মালিক সমিতি ও মন্ত্রণালয় বলছে বাড়েনি।
গত জানুয়ারিতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কে ভাড়া নির্ধারণ কমিটির (কস্টিং কমিটি) বৈঠক শেষে নতুন ভাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ওই দিন মন্ত্রী ঘোষণা দেন, ঢাকায় বাস ভাড়া বাড়ানো হবে না। কিন্তু মাস না যেতেই বাস মালিকেরা ওই সিদ্ধান্ত না মেনে তিন টাকা করে জনপ্রতি বাসভাড়া বাড়ালো ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। ঢাকায় যানবাহনগুলোর বিশেষ করে গণপরিবহনগুলো এখন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চলে। সিএনজির দাম না বাড়লেও অহেতুক বাড়ালো বাস ভাড়া। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সিএনজিচালিত বাসেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
মিরপুর-মতিঝিল রুটে এনা পরিবহন ও বিকল্প অটো সার্ভিস কোনো ধরনের তোয়াক্কা না করে ২৩ টাকার বাস ভাড়া ২৬ টাকা করেছে। আর মিরপুর-১ থেকে মতিঝিল রুটে নিউভিশন ২২ টাকার ভাড়া করেছে ২৫ টাকা। নিউভিশন নিজেরাই নোটিশ টানিয়ে মাথাপ্রতি ৩ টাকা করে ভাড়া বাড়িয়েছে। আর এনা বিআরটিএর তিন কর্মকর্তার স্বাক্ষর সংবলিত নোটিশ দিয়ে ভাড়া বাড়ালো ৩ টাকা। গত বুধবার মতিঝিল থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করতে গেলে যাত্রীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় তাদের হুমকি দিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়।
নিউভিশন বাসগুলোতে সিটিং হলো ৪১ জন। সেখানে তিন টাকা করে জনপ্রতি ভাড়া বৃদ্ধির ফলে এক ট্রিপে আদায় করছে সর্বনিম্ন ১২৩ টাকা। আর দিনে আদায় করছে এক হাজার টাকা বেশি। অন্য দিকে একই হারে ভাড়া আদায় করছে এনা ও বিকল্প অটো। পকেটে নিচ্ছে এক হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা করে।
এসব পরিবহনের কনডাক্টরেরা জানান, আমরা কী বলব? মালিকেরা আমাদের নতুন ভাড়া আদায় করতে বলছেন। আর নিউভিশনের নোটিশে লেখা রয়েছে যন্ত্রাংশ, টিউব, টায়ারের দাম বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানো হলো ৩ টাকা জনপ্রতি।
যাত্রীদের ভাষ্য, সরকারের কথা মালিকেরা মানছেন না। শাহবাগে আন্দোলন থাকায় নগরবাসীর দৃষ্টি ওই দিকে। তাই এই সুযোগে তারা বর্ধিত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে তাদের নতুন ভাড়াকে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। আগামী বোরবার শাহবাগ আন্দোলন শেষ হলে তখন হবে গাড়ি ভাঙচুর। সরকারের সাথে বৈঠক করে ভাড়া না বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখন কেন এই কাজ করছে। সরকার কী দেখছে না। নাকি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়লো। আর ঢাকায় গ্যাসচালিত গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হলো। বিআরটিএ কী করছে। তারাও কী বাস মালিকদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে?
বর্ধিত ভাড়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। আগেই ২৬.২০ টাকা ছিল। কিন্তু ২৩ টাকা নেয়া হতো। চার্টের বাইরে নেয়া হচ্ছে না। আগে সাবসিডি বেশি দেয়া হতো; এখন কম দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চার্টের বাইরে কেউ কিছু করতে পারেন না। এমন কিছু কেউ করলে তার বিরুদ্ধে লিখতে পারেন। আমরা কম ভাড়ায় আর টানতে পারছি না। এখনো ১.২০ টাকা কম ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। আমরা যদি লাইনের বাইরে যাই তাহলে আপনারা লিখেন।
এই বাস ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে গত রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার পিএস নয়া দিগন্তকে জানান, মন্ত্রী মহোদয় গণভবনে আছেন। এখন কথা বলা যাবে না। আর পিএস জানান, ঢাকায় কোনো ভাড়া বৃদ্ধি ঘটেনি। আমি নিজেই চেক করে দেখেছি। আপনি পারলে বর্ধিত বাড়ার টিকিটের কপি পাঠিয়ে দেন। আমরা দেখবো।
গত জানুয়ারিতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কে ভাড়া নির্ধারণ কমিটির (কস্টিং কমিটি) বৈঠক শেষে নতুন ভাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ওই দিন মন্ত্রী ঘোষণা দেন, ঢাকায় বাস ভাড়া বাড়ানো হবে না। কিন্তু মাস না যেতেই বাস মালিকেরা ওই সিদ্ধান্ত না মেনে তিন টাকা করে জনপ্রতি বাসভাড়া বাড়ালো ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। ঢাকায় যানবাহনগুলোর বিশেষ করে গণপরিবহনগুলো এখন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চলে। সিএনজির দাম না বাড়লেও অহেতুক বাড়ালো বাস ভাড়া। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সিএনজিচালিত বাসেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
মিরপুর-মতিঝিল রুটে এনা পরিবহন ও বিকল্প অটো সার্ভিস কোনো ধরনের তোয়াক্কা না করে ২৩ টাকার বাস ভাড়া ২৬ টাকা করেছে। আর মিরপুর-১ থেকে মতিঝিল রুটে নিউভিশন ২২ টাকার ভাড়া করেছে ২৫ টাকা। নিউভিশন নিজেরাই নোটিশ টানিয়ে মাথাপ্রতি ৩ টাকা করে ভাড়া বাড়িয়েছে। আর এনা বিআরটিএর তিন কর্মকর্তার স্বাক্ষর সংবলিত নোটিশ দিয়ে ভাড়া বাড়ালো ৩ টাকা। গত বুধবার মতিঝিল থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করতে গেলে যাত্রীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় তাদের হুমকি দিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়।
নিউভিশন বাসগুলোতে সিটিং হলো ৪১ জন। সেখানে তিন টাকা করে জনপ্রতি ভাড়া বৃদ্ধির ফলে এক ট্রিপে আদায় করছে সর্বনিম্ন ১২৩ টাকা। আর দিনে আদায় করছে এক হাজার টাকা বেশি। অন্য দিকে একই হারে ভাড়া আদায় করছে এনা ও বিকল্প অটো। পকেটে নিচ্ছে এক হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা করে।
এসব পরিবহনের কনডাক্টরেরা জানান, আমরা কী বলব? মালিকেরা আমাদের নতুন ভাড়া আদায় করতে বলছেন। আর নিউভিশনের নোটিশে লেখা রয়েছে যন্ত্রাংশ, টিউব, টায়ারের দাম বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানো হলো ৩ টাকা জনপ্রতি।
যাত্রীদের ভাষ্য, সরকারের কথা মালিকেরা মানছেন না। শাহবাগে আন্দোলন থাকায় নগরবাসীর দৃষ্টি ওই দিকে। তাই এই সুযোগে তারা বর্ধিত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে তাদের নতুন ভাড়াকে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। আগামী বোরবার শাহবাগ আন্দোলন শেষ হলে তখন হবে গাড়ি ভাঙচুর। সরকারের সাথে বৈঠক করে ভাড়া না বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখন কেন এই কাজ করছে। সরকার কী দেখছে না। নাকি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়লো। আর ঢাকায় গ্যাসচালিত গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হলো। বিআরটিএ কী করছে। তারাও কী বাস মালিকদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে?
বর্ধিত ভাড়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। আগেই ২৬.২০ টাকা ছিল। কিন্তু ২৩ টাকা নেয়া হতো। চার্টের বাইরে নেয়া হচ্ছে না। আগে সাবসিডি বেশি দেয়া হতো; এখন কম দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চার্টের বাইরে কেউ কিছু করতে পারেন না। এমন কিছু কেউ করলে তার বিরুদ্ধে লিখতে পারেন। আমরা কম ভাড়ায় আর টানতে পারছি না। এখনো ১.২০ টাকা কম ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। আমরা যদি লাইনের বাইরে যাই তাহলে আপনারা লিখেন।
এই বাস ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে গত রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার পিএস নয়া দিগন্তকে জানান, মন্ত্রী মহোদয় গণভবনে আছেন। এখন কথা বলা যাবে না। আর পিএস জানান, ঢাকায় কোনো ভাড়া বৃদ্ধি ঘটেনি। আমি নিজেই চেক করে দেখেছি। আপনি পারলে বর্ধিত বাড়ার টিকিটের কপি পাঠিয়ে দেন। আমরা দেখবো।
No comments