বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি- সৈয়দ সোহরাব
চৈত্র মাস এসে গেছে। আজ শুক্রবার চৈত্রের ৫
তারিখ। চৈত্র নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতায় লিখেছেন, 'প্রহর
শেষের রাঙা আলোয় সেদিন চৈত্র মাস/ তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ...'_
এমনই সর্বনাশ দেখার বাসনা একটা সময় আসে সবার জীবনেই।
সেই
সর্বনাশের ভিতর দিয়ে মানব জীবনের এক পরম মাধুর্যমণ্ডিত অভিজ্ঞতা লাভেরও
সুযোগ ঘটে। সে অভিজ্ঞতার জন্য মানব হৃদয় চিরকালই আকুল_ব্যাকুল হয়। কোন
কিছুর পরাভব মানে না, এমন কি ঐ সর্বনাশ জেনেও তার অনুগামী হয় সানন্দে।
কিন্তু সে তো তোমার_আমার ব্যাপার, নগরীর সর্বসাধারণ এই চৈত্রেই যে
সর্বনাশের মধ্যে আছেন_ তার সরূপ অতীব রূঢ়, অত্যন্ত নির্মম ও নিষ্পেষণ।
মাত্র চৈত্রের শুরু এর মধ্যেই ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং, ওয়াসার পানি সঙ্কট
এবং ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি সাপ্লাই, গ্যাস সমস্যা, রাস্তায় যানজট,
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যসহ আরও নানা সমস্যায় জর্জড়িত নগরবাসীর
সর্বনাশের আর সীমা নেই। এই সর্বনাশ থেকে কবে নগরবাসী মুক্তি পাবে, তাও জানে
না তারা। প্রতিবছরই এই সমস্যাগুলোর মধ্যদিয়ে এগিয়ে যেতে হয় তাদের।
পত্রিকাগুলো এসব সমস্যা তুলে ধরে নিয়মিত রিপোর্ট করছে, কিন্তু যারা এই
সমস্যাগুলোর সমাধান দেয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং নগরবাসীকে দুর্ভোগ থেকে
পরিত্রাণ দিতে পারেন, তাঁদের কুম্ভকর্ণের ঘুম কবে ভাঙবে কে জানে।
গরম এখনও তেমনভাবে জেঁকে বসেনি। কিন্তু লোডশেডিং শুরম্ন হয়ে গেছে পুরোদস্তুর। রাজধানী ঢাকায় এখন সবচেয়ে কম লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে গুলশান- বারিধারার কূটনীতিক মিশন ও কূটনীতিকদের আবাসিক এলাকায়, তাও দিনে তিনবার। আর নগরীর অন্যান্য এলাকায় চার থেকে সাতবার। নগরীর বিদ্যুত বিতরণ কতৃপক্ষ বলছে, তাপমাত্রা বাড়লে লোডশেডিং আরও বাড়বে। রাজধানীর (বাইরে) আশপাশের পল্লী বিদ্যুত (আরইবি) এলাকায় দিনে গড়ে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগরের বৃহদাংশের বিদ্যুত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। তাদের প্রকৃত সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ১৪০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সন্ধ্যায় স্টিল ও রি-রোলিং কারখানা এবং রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ করাসহ লোড ব্যবস্থাপনা করে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট চাহিদা কমানো হচ্ছে। কিন্তু বাকি ১১০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ডিপিডিসি সরবরাহ পাচ্ছে মাত্র সাড়ে ছ'শ' মেগাওয়াটের মতো। ফলে তাদের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন গড়ে চারবার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। ডিপিডিসির আওতাধীন কিছু এলাকা ও স্থাপনা লোডশেডিং মুক্ত রাখতে হয় বলে নগরীর অন্যান্য এলাকায় চার থেকে সাতবার লোডশেডিং দিতে হয়। ঢাকার অপর অংশের বিদু্যত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিদু্যত বিতরণ কতৃপক্ষ (ডেসকো), তাদের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু তারা পাচ্ছে ৩০০ মেগাওয়াটেরও কম। ডেসকোর আওতাধীন এলাকায় কূটনীতিক পাড়া থাকায়, সেখানে সীমিত লোডশেডিং দিতে হয় বলে অন্য এলাকাগুলোতে পাঁচ থেকে সাতবার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এখনই যদি হয় এই অবস্থা, তাহলে গ্রীষ্ম-বর্ষায় যে কি হবে তা ভেবে শিউড়ে উঠতে হচ্ছে নগর বাসীদের। কিন্তু এই সমস্যা দূর হওয়ার কার্যকর কোন পদৰেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না সরকারকে।
বৃষ্টির দিন শুরম্ন হয়ে গেছে। কিন্তু নগরীর খোঁড়াখুঁড়ি না কমে বরং বেড়েই চলেছে। ধানমন্ডির হাজারীবাগের একাধিক রাস্তায় দীর্ঘ চার মাস যাবত স্যুয়ারেজ লাইনের উন্নয়নের কাজ চলছে। কাটাছেঁড়ার এই কাজটি আরও আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লেবারদের বিল আটকে দেয়ার কারণে কাজ তো শেষ হয়নি বরং বেড়েছে এলাকাবাসীর ভোগান্তি। এখন রাস্তাটিকে দেখলে মনে হয় এটি শহরের রাস্তা নয়, গ্রামের কোন মেঠো পথ। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক, কারসহ সকল যানবাহনই চলাচল করে, কিন্তু স্যুয়ারেজের উন্নয়নের নামে এখন সব বন্ধ। টানা চার মাস রাসত্মার এক সাইড কেটে অন্য সাইডে মাটির পাহাড় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যানবাহন দূরে থাক, এলাকার লাখ লাখ মানুষকেই খুব কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে এই পথ দিয়ে চলাচল করাই দুস্কর হয়ে পরে এলাকাবাসীর। তখন অনেককে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। হাজারীবাগ, ঝিকাতলা, মনেশ্বর রোড, শেরেবাংলা রোডসহ এখানকার অনেক রাস্তাই কেটে রাখা হয়েছে চার মাস যাবত। ফলে এখানকার মানুষদের জীবন যাত্রা অচল হয়ে পরেছে, আর ঝিমিয়ে পরেছে শিল্প কারখানা। এলাকাবাসী জানান, প্রথম দিকে খুব তোড়জোড়ে শুরু হয়েছিল কাজ। প্রায় ৩০০ শ্রমিক দিনরাত সমানে কাজ করছিল। হঠাৎ দেখা গেল শ্রমিক সংখ্যা কমে ৪০/৫০ জনে এসে ঠেকেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল লেবারদের বিল ঠিকমতো পরিশোধ না করায় কাজে ভাটা পরেছে এবং শ্রমিক কমে গেছে। এখন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি_ দ্রুত তাঁদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
গরম এখনও তেমনভাবে জেঁকে বসেনি। কিন্তু লোডশেডিং শুরম্ন হয়ে গেছে পুরোদস্তুর। রাজধানী ঢাকায় এখন সবচেয়ে কম লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে গুলশান- বারিধারার কূটনীতিক মিশন ও কূটনীতিকদের আবাসিক এলাকায়, তাও দিনে তিনবার। আর নগরীর অন্যান্য এলাকায় চার থেকে সাতবার। নগরীর বিদ্যুত বিতরণ কতৃপক্ষ বলছে, তাপমাত্রা বাড়লে লোডশেডিং আরও বাড়বে। রাজধানীর (বাইরে) আশপাশের পল্লী বিদ্যুত (আরইবি) এলাকায় দিনে গড়ে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগরের বৃহদাংশের বিদ্যুত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। তাদের প্রকৃত সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ১৪০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সন্ধ্যায় স্টিল ও রি-রোলিং কারখানা এবং রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ করাসহ লোড ব্যবস্থাপনা করে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট চাহিদা কমানো হচ্ছে। কিন্তু বাকি ১১০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ডিপিডিসি সরবরাহ পাচ্ছে মাত্র সাড়ে ছ'শ' মেগাওয়াটের মতো। ফলে তাদের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন গড়ে চারবার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। ডিপিডিসির আওতাধীন কিছু এলাকা ও স্থাপনা লোডশেডিং মুক্ত রাখতে হয় বলে নগরীর অন্যান্য এলাকায় চার থেকে সাতবার লোডশেডিং দিতে হয়। ঢাকার অপর অংশের বিদু্যত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিদু্যত বিতরণ কতৃপক্ষ (ডেসকো), তাদের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু তারা পাচ্ছে ৩০০ মেগাওয়াটেরও কম। ডেসকোর আওতাধীন এলাকায় কূটনীতিক পাড়া থাকায়, সেখানে সীমিত লোডশেডিং দিতে হয় বলে অন্য এলাকাগুলোতে পাঁচ থেকে সাতবার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এখনই যদি হয় এই অবস্থা, তাহলে গ্রীষ্ম-বর্ষায় যে কি হবে তা ভেবে শিউড়ে উঠতে হচ্ছে নগর বাসীদের। কিন্তু এই সমস্যা দূর হওয়ার কার্যকর কোন পদৰেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না সরকারকে।
বৃষ্টির দিন শুরম্ন হয়ে গেছে। কিন্তু নগরীর খোঁড়াখুঁড়ি না কমে বরং বেড়েই চলেছে। ধানমন্ডির হাজারীবাগের একাধিক রাস্তায় দীর্ঘ চার মাস যাবত স্যুয়ারেজ লাইনের উন্নয়নের কাজ চলছে। কাটাছেঁড়ার এই কাজটি আরও আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লেবারদের বিল আটকে দেয়ার কারণে কাজ তো শেষ হয়নি বরং বেড়েছে এলাকাবাসীর ভোগান্তি। এখন রাস্তাটিকে দেখলে মনে হয় এটি শহরের রাস্তা নয়, গ্রামের কোন মেঠো পথ। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক, কারসহ সকল যানবাহনই চলাচল করে, কিন্তু স্যুয়ারেজের উন্নয়নের নামে এখন সব বন্ধ। টানা চার মাস রাসত্মার এক সাইড কেটে অন্য সাইডে মাটির পাহাড় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যানবাহন দূরে থাক, এলাকার লাখ লাখ মানুষকেই খুব কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে এই পথ দিয়ে চলাচল করাই দুস্কর হয়ে পরে এলাকাবাসীর। তখন অনেককে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। হাজারীবাগ, ঝিকাতলা, মনেশ্বর রোড, শেরেবাংলা রোডসহ এখানকার অনেক রাস্তাই কেটে রাখা হয়েছে চার মাস যাবত। ফলে এখানকার মানুষদের জীবন যাত্রা অচল হয়ে পরেছে, আর ঝিমিয়ে পরেছে শিল্প কারখানা। এলাকাবাসী জানান, প্রথম দিকে খুব তোড়জোড়ে শুরু হয়েছিল কাজ। প্রায় ৩০০ শ্রমিক দিনরাত সমানে কাজ করছিল। হঠাৎ দেখা গেল শ্রমিক সংখ্যা কমে ৪০/৫০ জনে এসে ঠেকেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল লেবারদের বিল ঠিকমতো পরিশোধ না করায় কাজে ভাটা পরেছে এবং শ্রমিক কমে গেছে। এখন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি_ দ্রুত তাঁদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
No comments