ঢাকা কলেজে চাঁদাবাজির মূল উৎস নতুন নির্মাণাধীন হল
কোনভাবেই ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরা
যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বার বার চাঁদাবাজি ও
টেন্ডারবাজিতে জড়িয়ে পড়ছে সংগঠনের একশ্রেণীর সুবিধাবাদী নেতাকর্মী।
আর এসব করতে এবং কেন্দ্রীয় দুই নেতার হাতে শুধু ৰমতা থাকায় নিয়ন্ত্রণহীন
সুবিধাবাদী শ্রেণী আধিপত্য বিসত্মারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিতিশীলতা
সৃষ্টি করছে। এই শ্রেণীটি শীর্ষ নেতাদের মদদপুষ্ট হয়েই এসব অপকর্ম করে
যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, অবিলম্বে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংগঠনবিরোধী ছাত্রলীগ নামধারী সুবিধাশ্রেণীর কর্মীরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির হোতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ন হলের পাশেই নির্মিত হচ্ছে বিশ্বাস বিল্ডার্স ভবন। নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে চাঁদাবাজির জন্য ছাত্রলীগের শিহাব গ্রুপ ও তারেক-টিটু গ্রুপ বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণায়ন হলে নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর ছিল। ওই হলে গত মঙ্গলবার মাস্টার্সের ২০টি সিট খালি হলে রাতে দুই গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই আহত হয়। ৩০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। ঘটনার পর পুলিশ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সংঘর্ষ যাদের নির্দেশে হয়েছে তাদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করেনি। শিহাব, রনি গ্রুপ থেকে শিহাব নিজেই অস্ত্র পরিচালনা করেছে বলে প্রত্যৰদর্শী সূত্রে জানা গেছে। একইভাবে তারেক ও টিটু ঘটনাস্থলে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। মাত্র কয়েকজনের নেতৃত্বে এবং নির্দেশে ঘটনা ঘটলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রই বেশি। যাদেরকে হলে থাকার জন্য সুবিধা দেয়া হয় তাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ মেনে চলতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী বার বার হুঁশিয়ার করলেও সাংগঠনিক সমস্যা থাকার কারণে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় মূল সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। দেশের অনেক জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। আবার যেসব সাংগঠনিক জেলায় দুই নেতার নিয়ন্ত্রণ আছে তাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষমতা দেয়া হয় না। যার ফলে নিজেরাও কোন খোঁজখবর নেন না আবার অন্যদেরও নিতে দেন না। যারা সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ত্যাগী নেতা তাদের মূল্যায়ন হয় না এবং সুবিধাশ্রেণী দুই নেতার বাসায় গিয়ে সংগঠনে অবস্থান করে নেন। এই বিষয়গুলো সাংগঠনিকভাবে সমাধান করতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার টিম দিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখলে অনেক বিষয়ে আগেই সমাধান করা যাবে।
জানা গেছে, ঢাকা কলেজে কমিটি বহিষ্কার করা হলেও তারা আগের মতোই কেন্দ্রীয় নেতার মদদপুষ্ট। এসব কারণে পুলিশ প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যারা দায়ী তাদের ধরতে গেলেই অনেক ওপর থেকে ফোন আসে। সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হলেও সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় না। এসব কারণে মূল হোতাদের ধরা যায় না।
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন শিৰাপ্রতিষ্ঠানে দুইজনের পৰে খোঁজখবর নেয়া সম্ভব না। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অন্য নেতাদের সাংগঠনিক কোন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করান না। ফলে ইডেন, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি হচ্ছে। একইভাবে এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কৃত হচ্ছে। সভাপতির কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে এবং একক কর্তৃত্বে যশোরে জেলা সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেয়ায় শহরে গোলাগুলি ও বোমা ফাটানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগরের বিভিন্ন কলেজে ছাত্রলীগের মধ্যে কোন্দল বাড়ছে। সারাদেশের সকল শিৰাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে সুবিধাবাদী শ্রেণীকে সংগঠন থেকে ছাঁটাই করতে হবে। এজন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সব কেন্দ্রীয় নেতাকে তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিতে হবে। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে একাধিক নেতা জানান। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, যারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ৰুণ্ন্ন করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে সংগঠনের পৰ থেকে কোন দায়দায়িত্ব নেয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপকর্মে জড়িয়ে পড়া ছাত্রলীগের সুবিধাবাদীদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ছাত্রলীগে কোন সুবিধাবাদী নেই। ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন।
ছাত্রলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, অবিলম্বে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংগঠনবিরোধী ছাত্রলীগ নামধারী সুবিধাশ্রেণীর কর্মীরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির হোতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ন হলের পাশেই নির্মিত হচ্ছে বিশ্বাস বিল্ডার্স ভবন। নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে চাঁদাবাজির জন্য ছাত্রলীগের শিহাব গ্রুপ ও তারেক-টিটু গ্রুপ বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণায়ন হলে নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর ছিল। ওই হলে গত মঙ্গলবার মাস্টার্সের ২০টি সিট খালি হলে রাতে দুই গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই আহত হয়। ৩০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। ঘটনার পর পুলিশ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সংঘর্ষ যাদের নির্দেশে হয়েছে তাদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করেনি। শিহাব, রনি গ্রুপ থেকে শিহাব নিজেই অস্ত্র পরিচালনা করেছে বলে প্রত্যৰদর্শী সূত্রে জানা গেছে। একইভাবে তারেক ও টিটু ঘটনাস্থলে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। মাত্র কয়েকজনের নেতৃত্বে এবং নির্দেশে ঘটনা ঘটলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রই বেশি। যাদেরকে হলে থাকার জন্য সুবিধা দেয়া হয় তাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ মেনে চলতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী বার বার হুঁশিয়ার করলেও সাংগঠনিক সমস্যা থাকার কারণে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় মূল সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। দেশের অনেক জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। আবার যেসব সাংগঠনিক জেলায় দুই নেতার নিয়ন্ত্রণ আছে তাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষমতা দেয়া হয় না। যার ফলে নিজেরাও কোন খোঁজখবর নেন না আবার অন্যদেরও নিতে দেন না। যারা সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ত্যাগী নেতা তাদের মূল্যায়ন হয় না এবং সুবিধাশ্রেণী দুই নেতার বাসায় গিয়ে সংগঠনে অবস্থান করে নেন। এই বিষয়গুলো সাংগঠনিকভাবে সমাধান করতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার টিম দিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখলে অনেক বিষয়ে আগেই সমাধান করা যাবে।
জানা গেছে, ঢাকা কলেজে কমিটি বহিষ্কার করা হলেও তারা আগের মতোই কেন্দ্রীয় নেতার মদদপুষ্ট। এসব কারণে পুলিশ প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যারা দায়ী তাদের ধরতে গেলেই অনেক ওপর থেকে ফোন আসে। সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হলেও সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় না। এসব কারণে মূল হোতাদের ধরা যায় না।
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন শিৰাপ্রতিষ্ঠানে দুইজনের পৰে খোঁজখবর নেয়া সম্ভব না। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অন্য নেতাদের সাংগঠনিক কোন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করান না। ফলে ইডেন, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি হচ্ছে। একইভাবে এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কৃত হচ্ছে। সভাপতির কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে এবং একক কর্তৃত্বে যশোরে জেলা সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেয়ায় শহরে গোলাগুলি ও বোমা ফাটানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগরের বিভিন্ন কলেজে ছাত্রলীগের মধ্যে কোন্দল বাড়ছে। সারাদেশের সকল শিৰাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে সুবিধাবাদী শ্রেণীকে সংগঠন থেকে ছাঁটাই করতে হবে। এজন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সব কেন্দ্রীয় নেতাকে তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিতে হবে। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে একাধিক নেতা জানান। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, যারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ৰুণ্ন্ন করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে সংগঠনের পৰ থেকে কোন দায়দায়িত্ব নেয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপকর্মে জড়িয়ে পড়া ছাত্রলীগের সুবিধাবাদীদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ছাত্রলীগে কোন সুবিধাবাদী নেই। ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন।
No comments