১২ বছরে আট শতাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের উচ্চ আদালতের নির্দেশনা কার্যকরে প্রশাসনের উদাসীনতা by খোকন বড়ুয়া
গত এক যুগে উচ্চ আদালতে আট শতাধিক জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে। এর
মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে অর্ধেকেরও কম। আবার নিষ্পত্তিকৃত মামলার মধ্যে
বেশির ভাগের ব্যাপারেই আদালতের নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না।
এ
ছাড়াও সরকারের অনেক মামলা রয়েছে যেগুলো শুনানির জন্য আদালতে ওঠানো
হচ্ছে না, ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের
কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবেই জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলার নির্দেশনা কার্যকর
হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
রাষ্ট্র তথা সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব সমাজের মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক ও আইনানুগ অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার কারণে দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেতে আদালতমুখী হচ্ছে।
সূত্র মতে, হাইকোর্ট বিভাগে গত ১২ বছরে প্রায় আট শতাধিক জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে। জনস্বার্থ রক্ষায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটর্স অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ, ব্লাস্ট, আইন সালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন এ পর্যন্ত এসব মামলা করেছে। এসব সংগঠনের জনস্বার্থে মামলার মধ্যে অবৈধ পাহাড়কাটা ও নির্মাণকাজ রোধ, অবৈধ জমি অধিগ্রহণ রোধ, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, নিরাপত্তা ও ন্যায্য মজুরি আদায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারার অপপ্রয়োগ রোধ, পুলিশি নির্যাতন প্রতিরোধ, সরকারি চাকরিতে নারী-পুরুষ বৈষম্য রোধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও শাস্তি প্রতিরোধ। এ ছাড়াও বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালুনদী, তুরাগনদী দখল ও ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এই রিটের কারণে হাইকোর্ট এক আদেশে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। নদী-তীরবর্তী এলাকায় বনায়ন বা হাঁটার পথ তৈরি করার নির্দেশনা রয়েছে। ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা রক্ষা, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্যও হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়।
এ ছাড়াও ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ঢাকা শহরে বাড়িভাড়ার ক্ষেত্রে বাড়িভাড়াসংক্রান্ত আইনের তোয়াক্কা না করে বাসাভাড়া বৃদ্ধি ও ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বার্থে রিট হয়। বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলা, সাতক্ষীরায় র্যাব কর্তৃক অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারের চেষ্টা, রাসায়নিক ব্যবহার করে আমসহ বিভিন্ন ফল পাকানোর বিরুদ্ধে মামলা উল্লেখযোগ্য। এসব জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট রিটে হাইকোর্টের নির্দেশনা কিছু কার্যকর হলেও আবার অধিকাংশ নির্দেশনা অকার্যকর রয়ে যায়। এ ছাড়াও এসবের মধ্যে অনেক মামলা নিষ্পত্তিই হয়নি।
সরকারি সংস্থা তথা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে বিশেষ করে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর জন্য জনগণকে আদালতমুখী হতে হতো না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। তাদের মতে, সরকারি এসব প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ দায়িত্বপালন করলে যেমনি ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ত অপর দিকে সরকারের সুনামও বৃদ্ধি পেত। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ দায়িত্বে তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করলে আদালতের ওপর চাপ কমত, অন্য দিকে
সাধারণ মানুষও ওইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা রাখতে পারত বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্র তথা সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব সমাজের মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক ও আইনানুগ অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার কারণে দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেতে আদালতমুখী হচ্ছে।
সূত্র মতে, হাইকোর্ট বিভাগে গত ১২ বছরে প্রায় আট শতাধিক জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে। জনস্বার্থ রক্ষায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটর্স অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ, ব্লাস্ট, আইন সালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন এ পর্যন্ত এসব মামলা করেছে। এসব সংগঠনের জনস্বার্থে মামলার মধ্যে অবৈধ পাহাড়কাটা ও নির্মাণকাজ রোধ, অবৈধ জমি অধিগ্রহণ রোধ, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, নিরাপত্তা ও ন্যায্য মজুরি আদায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারার অপপ্রয়োগ রোধ, পুলিশি নির্যাতন প্রতিরোধ, সরকারি চাকরিতে নারী-পুরুষ বৈষম্য রোধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও শাস্তি প্রতিরোধ। এ ছাড়াও বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালুনদী, তুরাগনদী দখল ও ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এই রিটের কারণে হাইকোর্ট এক আদেশে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। নদী-তীরবর্তী এলাকায় বনায়ন বা হাঁটার পথ তৈরি করার নির্দেশনা রয়েছে। ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা রক্ষা, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্যও হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়।
এ ছাড়াও ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ঢাকা শহরে বাড়িভাড়ার ক্ষেত্রে বাড়িভাড়াসংক্রান্ত আইনের তোয়াক্কা না করে বাসাভাড়া বৃদ্ধি ও ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বার্থে রিট হয়। বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলা, সাতক্ষীরায় র্যাব কর্তৃক অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারের চেষ্টা, রাসায়নিক ব্যবহার করে আমসহ বিভিন্ন ফল পাকানোর বিরুদ্ধে মামলা উল্লেখযোগ্য। এসব জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট রিটে হাইকোর্টের নির্দেশনা কিছু কার্যকর হলেও আবার অধিকাংশ নির্দেশনা অকার্যকর রয়ে যায়। এ ছাড়াও এসবের মধ্যে অনেক মামলা নিষ্পত্তিই হয়নি।
সরকারি সংস্থা তথা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে বিশেষ করে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর জন্য জনগণকে আদালতমুখী হতে হতো না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। তাদের মতে, সরকারি এসব প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ দায়িত্বপালন করলে যেমনি ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ত অপর দিকে সরকারের সুনামও বৃদ্ধি পেত। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ দায়িত্বে তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করলে আদালতের ওপর চাপ কমত, অন্য দিকে
সাধারণ মানুষও ওইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা রাখতে পারত বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেন।
No comments