শঙ্কা ও সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে- সরকারকে আরো দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে
জাতিকে নতুন বিতর্কে জড়িয়ে দেয়া
হয়েছে। জাতীয় ইস্যুগুলো থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোই যেন এর লক্ষ্য।
নতুন প্রজন্মের আবেগ, উচ্ছ্বাস ও উপলব্ধি উপভোগ করার মতো।
যারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চান, তারা অনেক দূর থেকে সুতা টানার কাজটি করছেন। তাদের উদ্দেশ্য সৎও নয়, স্বচ্ছও নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারের শেষ বর্ষটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আবার বিরোধী দলের কাছেও এই সময়টি অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। সরকার অসমাপ্ত কাজ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করে জনগণের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দল যার যার অবস্থান থেকে কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবেই সংসদীয় গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। ভোটের রাজনীতির এটিও একটি পরোক্ষ সুফল।
আমরা মনে করি, সরকার সুস্থ ধারায় রাজনীতি না করার কারণে রাজনীতিতে সহাবস্থান ও সহিষ্ণুতার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। আবার হামলা-মামলাসহ পুলিশি বাড়াবাড়ি পরিবেশ-পরিস্থিতিকে সঙ্ঘাতমুখর করে তুলেছে। সরকার অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় পদ্মা সেতু ইস্যু, বিশ্বব্যাংকের বক্তব্যসহ রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ থেকে দৃষ্টি ফেরাতে সচেষ্ট রয়েছে। এটা কোনো অরাজনৈতিক কাজ নয়; বরং রাজনৈতিক কৌশল। এই কৌশল বুঝে, তার মোকাবেলা করে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে জনগণ ও দেশের স্বার্থ রক্ষা করাই বিরোধী দলের কর্তব্য।
আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, সরকারি দল কোনো সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করছে না। আবার বিরোধী দলও জনগণের সপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে এগিয়ে আসছে না; বরং জাতীয় সঙ্কটগুলো জনগণের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম ব্যবহৃত হচ্ছে একটি বিশেষ মহলের অসাধু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
সরকার বুঝে উঠতে পারছে না, রাজপথের কোনো আন্দোলনের সুফল সরকারের পক্ষে যায় না। এর সুদূরপ্রসারী সুফল বিরোধী দল পায়। নতুন প্রজন্ম ঠিকই ধরতে পেরেছে, বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। তারা এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এত দিন বিশ্বসম্প্রদায় আন্তর্জাতিক মান সংরক্ষণ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে বিচার করার যে পরামর্শ দিয়েছে, সেটি সঠিক। স্ববিরোধী রায় প্রমাণ করেছে, সরকার একধরনের প্রহসনকে প্রশ্রয় দিয়েছে। দলীয় রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর থেকেছে। আজ মন্ত্রীরা রাজপথে কথা বলছেন। রাস্তায় রাস্তায় ‘আদালত’ বসছেÑ এর মাধ্যমে বিতর্ককে শুধু বাড়িয়েই তোলা হচ্ছে না, আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজটি সরকারের উদ্যোগেই করা হচ্ছে। প্রকারান্তরে সরকার আইনি প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অতীত ভুলের মাশুল বাড়িয়ে তুলছে।
আমরা দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতার স্বার্থে সরকারের রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতার েেত্র মারাত্মক অদূরদর্শিতা প্রত্যক্ষ করছি। এর মাধ্যমে সরকার আসামিপক্ষের এত দিনকার অভিযোগগুলোকে শুধু সত্যায়িতই করল না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শঙ্কাকেও স্বীকৃতি দিলো
আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থই মুখ্য। রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষমতার লড়াইকে গ্রহণযোগ্য মনে করলেও যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণ মনে করতে পারি না। তাই সব পক্ষের কাছে আমরা সংযম, সহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা ও গণতান্ত্রিক আচরণ প্রত্যাশা করি। সেই সাথে এটাও মনে করি, কোনো বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করে আইনের শাসন ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। দেশে সমস্যা আছে, সঙ্কট আছে; সঙ্কটগুলো আরো ঘনীভূত হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে দিলে শুধু নৈরাজ্যই গ্রাস করবে না, আইনের শাসন আরো ভেঙে পড়বে। পরিস্থিতি সে দিকে ধাবিত হওয়ার আগেই সরকারকে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারের শেষ বর্ষটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আবার বিরোধী দলের কাছেও এই সময়টি অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। সরকার অসমাপ্ত কাজ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করে জনগণের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দল যার যার অবস্থান থেকে কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবেই সংসদীয় গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। ভোটের রাজনীতির এটিও একটি পরোক্ষ সুফল।
আমরা মনে করি, সরকার সুস্থ ধারায় রাজনীতি না করার কারণে রাজনীতিতে সহাবস্থান ও সহিষ্ণুতার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। আবার হামলা-মামলাসহ পুলিশি বাড়াবাড়ি পরিবেশ-পরিস্থিতিকে সঙ্ঘাতমুখর করে তুলেছে। সরকার অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় পদ্মা সেতু ইস্যু, বিশ্বব্যাংকের বক্তব্যসহ রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ থেকে দৃষ্টি ফেরাতে সচেষ্ট রয়েছে। এটা কোনো অরাজনৈতিক কাজ নয়; বরং রাজনৈতিক কৌশল। এই কৌশল বুঝে, তার মোকাবেলা করে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে জনগণ ও দেশের স্বার্থ রক্ষা করাই বিরোধী দলের কর্তব্য।
আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, সরকারি দল কোনো সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করছে না। আবার বিরোধী দলও জনগণের সপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে এগিয়ে আসছে না; বরং জাতীয় সঙ্কটগুলো জনগণের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম ব্যবহৃত হচ্ছে একটি বিশেষ মহলের অসাধু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
সরকার বুঝে উঠতে পারছে না, রাজপথের কোনো আন্দোলনের সুফল সরকারের পক্ষে যায় না। এর সুদূরপ্রসারী সুফল বিরোধী দল পায়। নতুন প্রজন্ম ঠিকই ধরতে পেরেছে, বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। তারা এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এত দিন বিশ্বসম্প্রদায় আন্তর্জাতিক মান সংরক্ষণ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে বিচার করার যে পরামর্শ দিয়েছে, সেটি সঠিক। স্ববিরোধী রায় প্রমাণ করেছে, সরকার একধরনের প্রহসনকে প্রশ্রয় দিয়েছে। দলীয় রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর থেকেছে। আজ মন্ত্রীরা রাজপথে কথা বলছেন। রাস্তায় রাস্তায় ‘আদালত’ বসছেÑ এর মাধ্যমে বিতর্ককে শুধু বাড়িয়েই তোলা হচ্ছে না, আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজটি সরকারের উদ্যোগেই করা হচ্ছে। প্রকারান্তরে সরকার আইনি প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অতীত ভুলের মাশুল বাড়িয়ে তুলছে।
আমরা দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতার স্বার্থে সরকারের রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতার েেত্র মারাত্মক অদূরদর্শিতা প্রত্যক্ষ করছি। এর মাধ্যমে সরকার আসামিপক্ষের এত দিনকার অভিযোগগুলোকে শুধু সত্যায়িতই করল না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শঙ্কাকেও স্বীকৃতি দিলো
আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থই মুখ্য। রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষমতার লড়াইকে গ্রহণযোগ্য মনে করলেও যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণ মনে করতে পারি না। তাই সব পক্ষের কাছে আমরা সংযম, সহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা ও গণতান্ত্রিক আচরণ প্রত্যাশা করি। সেই সাথে এটাও মনে করি, কোনো বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করে আইনের শাসন ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। দেশে সমস্যা আছে, সঙ্কট আছে; সঙ্কটগুলো আরো ঘনীভূত হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে দিলে শুধু নৈরাজ্যই গ্রাস করবে না, আইনের শাসন আরো ভেঙে পড়বে। পরিস্থিতি সে দিকে ধাবিত হওয়ার আগেই সরকারকে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে।
No comments