আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় টিফিন খেয়ে আড়াই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ by এ এইচ মিলন
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এবার আগুন আতঙ্কের পর বিরাজ করছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার
আতঙ্ক। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় আশুলিয়ার বেরন এলাকার স্টার্লিং
ক্রিয়েশন লিমিটেড নামে পোশাক কারখানার রাতের টিফিন খেয়ে অসুস্থ হয়ে
পড়েছেন আড়াই শতাধিক শ্রমিক।
শুক্রবার
সকালে একই মালিকানাধীন স্টার্লিং স্টাইল লিমিটেড নামে অপর পোশাক কারখানার
স্টোর কিপার নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। নজরুল ইসলাম (৩৬) দিনাজপুর জেলার
নবাবগঞ্জ উপজেলার বড়মাগুরা বালিয়াছড়া গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে। এ
ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে কারখানায়
এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে জামগড়া এলাকার স্টার্লিং ক্রিয়েশন নামে পোশাক কারখানায় অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর জন্য কয়েক হাজার শ্রমিককে কলা, পাউরুটি ও কেক খেতে দেয় কর্তৃপক্ষ। টিফিন খাওয়ার কিছু সময় পরই বমি, খিচুনি ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে অনেকের। একপর্যায়ে শতাধিক শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা হায়দার ভুঁইয়া কারখানায় টিফিন সরবরাহ করেন। বৃহস্পতিবার রাতেও তার দেয়া টিফিন খেয়ে শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
বেরন এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার নজিবুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থদের চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খাদ্যে কোনো ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেকারির কেক ও রুটিতে খাবার সোডা মিশ্রণ করার কারণেই শ্রমিকদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। খাবার সোডা বেশি পরিমাণে কেক ও রুটিতে মেশানো হলে অনেক সময় মৃত্যুও ঘটতে পারে বলে জানান চিকিৎসক।
স্টার্লিং ক্রিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্নেল জাফরের কাছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক টিফিন খেলেও অসুস্থ হয়েছে কয়েক শ’, অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
টিফিন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খাবার সরবরাহকারী আশুলিয়ার আলোচিত যুবলীগ নেতার আত্মীয় হায়দার ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
এ দিকে টিফিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আনন্দ বেকারির স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলামের কাছে খাদ্যে কেমিক্যাল মিশ্রণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার বেকারি থেকে লাখ লাখ পিস রুটি সরবরাহ করা হয়। বাসি ও পচা খাবার নতুন খাবারের সাথে মেশানো হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, স্টার্লিং ক্রিয়েশনের খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শ্রমিক অসুস্থের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে পুলিশ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
অপর একটি সূত্র জানায়, স্টার্লিং ক্রিয়েশন পোশাক কারখানার টিফিন ব্যবসায় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই বৃহস্পতিবার রাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ওই কারখানার টিফিন ব্যবসায় নিয়ে হায়দার ও সোহাগ গ্রুপের মধ্যে চলছে রেষারেষি।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত শ্রমিকেরা আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে কয়েকটি যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকাল থেকেই আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের মধে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে।
শ্রমিকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে জামগড়া এলাকার স্টার্লিং ক্রিয়েশন নামে পোশাক কারখানায় অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর জন্য কয়েক হাজার শ্রমিককে কলা, পাউরুটি ও কেক খেতে দেয় কর্তৃপক্ষ। টিফিন খাওয়ার কিছু সময় পরই বমি, খিচুনি ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে অনেকের। একপর্যায়ে শতাধিক শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা হায়দার ভুঁইয়া কারখানায় টিফিন সরবরাহ করেন। বৃহস্পতিবার রাতেও তার দেয়া টিফিন খেয়ে শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
বেরন এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার নজিবুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থদের চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খাদ্যে কোনো ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেকারির কেক ও রুটিতে খাবার সোডা মিশ্রণ করার কারণেই শ্রমিকদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। খাবার সোডা বেশি পরিমাণে কেক ও রুটিতে মেশানো হলে অনেক সময় মৃত্যুও ঘটতে পারে বলে জানান চিকিৎসক।
স্টার্লিং ক্রিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্নেল জাফরের কাছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক টিফিন খেলেও অসুস্থ হয়েছে কয়েক শ’, অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
টিফিন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খাবার সরবরাহকারী আশুলিয়ার আলোচিত যুবলীগ নেতার আত্মীয় হায়দার ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
এ দিকে টিফিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আনন্দ বেকারির স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলামের কাছে খাদ্যে কেমিক্যাল মিশ্রণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার বেকারি থেকে লাখ লাখ পিস রুটি সরবরাহ করা হয়। বাসি ও পচা খাবার নতুন খাবারের সাথে মেশানো হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, স্টার্লিং ক্রিয়েশনের খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শ্রমিক অসুস্থের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে পুলিশ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
অপর একটি সূত্র জানায়, স্টার্লিং ক্রিয়েশন পোশাক কারখানার টিফিন ব্যবসায় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই বৃহস্পতিবার রাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ওই কারখানার টিফিন ব্যবসায় নিয়ে হায়দার ও সোহাগ গ্রুপের মধ্যে চলছে রেষারেষি।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত শ্রমিকেরা আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে কয়েকটি যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকাল থেকেই আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের মধে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে।
No comments