মিছিল সমাবেশ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনে উত্তপ্ত বাকৃবি- পাল্টাপাল্টি মামলা তদন্ত কমিটি, আল্টিমেটাম
বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগত
সন্ত্রাসীদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী, কর্মচারী,
পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
(বাকৃবি) ক্যাস্পাস।
বৃহস্পতিবার সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনে দিনভর ক্যাম্পাস
উত্তাল ছিল। ঘটনার প্রতিবাদে সকল সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
জড়িতদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় মোট ৪৮ জনকে মামলা
করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বহিরাগত ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায়
পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের করেছে। বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ
কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবারের
সকল কাস বর্জন করে। এদিকে ঘটনার তদন্ত ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা
হয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদণি করে টিএসসিতে সমাবেশ করে। সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক ফোরাম, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি এবং বিভিন্ন অনুষদীয় ছাত্র সমিতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে পরবর্তীতে ছাত্র ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবেন বলে প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এছাড়া একই দাবিতে বাকৃবির শিক্ষকরা এক মৌন মিছিল বের করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাত ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রধান মহিউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে বহিরাগত ৩জনের নামসহ ২৫/২৬ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন বাকৃবির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আজম (৩৫), স্বাস্থ্য ও জীবাণুবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মোঃ মনসরুলল আমীনের পালিত নাতি মোঃ জসিম উদ্দিন (৩০) জনৈক সোহেল। অপরদিকে মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনের নামসহ অজ্ঞতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামিরা হচ্ছেন বাকৃবি ছাত্র মোরশেদ, রানা, আমজাদ, রাজন, সাজেদ, জয় এবং ইমন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড. সুলতান উদ্দিন ভুঞাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এমএ আকবর বলেন, দোষীদের গ্রেফতারের জন্য সকল ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ অধ্য মতিউর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদণি করে টিএসসিতে সমাবেশ করে। সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক ফোরাম, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি এবং বিভিন্ন অনুষদীয় ছাত্র সমিতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে পরবর্তীতে ছাত্র ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবেন বলে প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এছাড়া একই দাবিতে বাকৃবির শিক্ষকরা এক মৌন মিছিল বের করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাত ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রধান মহিউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে বহিরাগত ৩জনের নামসহ ২৫/২৬ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন বাকৃবির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আজম (৩৫), স্বাস্থ্য ও জীবাণুবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মোঃ মনসরুলল আমীনের পালিত নাতি মোঃ জসিম উদ্দিন (৩০) জনৈক সোহেল। অপরদিকে মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনের নামসহ অজ্ঞতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামিরা হচ্ছেন বাকৃবি ছাত্র মোরশেদ, রানা, আমজাদ, রাজন, সাজেদ, জয় এবং ইমন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড. সুলতান উদ্দিন ভুঞাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এমএ আকবর বলেন, দোষীদের গ্রেফতারের জন্য সকল ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ অধ্য মতিউর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
No comments