হাতে নতুন বইয়ের গন্ধ, কাটা পুকুর পারে জমাট আড্ডা- অমর একুশে গ্রন্থমেলা by মোরসালিন মিজান
শুরুটা শুক্রবার হয়েছিল। সঙ্গত কারণেই ভাল
গেছে দিনটি। মেলা ঘুরে দেখার পাশাপাশি অনেকেই বই কিনেছেন। হ্যাঁ, প্রায়
একই চেহারা দ্বিতীয় দিনের। শনিবারও অমর একুশে গ্রন্থমেলা ঘুরে বেড়িয়েছেন
পাঠক-দর্শক।
বাংলা একাডেমীর নতুন ভবনের সামনে কাটা
পুকুরের পারে বসে দারুণ আড্ডা জমিয়েছেন। হাজারটা বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন
তাঁরা। দৃশ্যটি সত্যি উপভোগ্য। এরই ফাঁকে ফাঁকে কোন স্টল কোথায়, কার কি
ধরনের প্রকাশনা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করতে দেখা গেছে তাঁদের। তবে নতুন বই
হাতে নেয়া, গন্ধ শোঁকার আলাদা আনন্দ। সেই আনন্দ যথারীতি উপভোগ করেছেন
পাঠক। অবশ্য এসব কথার মানে এই নয় যে, বইয়ের বিক্রি খুব কম ছিল। বরং বেশ ভাল
ছিল বিক্রি। নতুন বই খুব বেশি না এলেও, গত বইমেলার পর প্রকাশিত বইগুলো ভাল
বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লক্ষণীয়, ক্রেতারা বইয়ের নতুন পুরনোতে অত যাচ্ছেন
না। মান বিচারে বই কিনছেন। সব সময় আলোচিত উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, গবেষণা
কর্মের যেগুলো বিগত দিনে সংগ্রহ করা হয়নি সেগুলো কিনতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।
তবে মেলায় পাঠক থাকলেও, লেখকের দেখা মিলছে না বললেই চলে। উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। এর বাইরে তেমন কাউকে
সেদিন দেখা যায়নি। দ্বিতীয় দিনেও আসেননি তেমন কেউ। এক ঝলক দেখা যায় কবি
মোহম্মদ নূরুল হুদাকে। তবে সন্ধ্যার পর অনেকেই মেলায় ঢুঁ মারতে আসেন। এর
কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, তারকা খ্যাতি সম্পন্ন লেখকদের অনেকেই এখনও
লেখার কাজে ব্যস্ত। প্রুফ দেখা, মূল লেখায় সংযোজন বিয়োজনের কাজ করছেন
তাঁরা। বইগুলো এ মেলাতেই আসবে। এদিকে, লেখক-কবিদের উপস্থিতি কম থাকলেও লেখক
কুঞ্জে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। বরাবরের মতোই জায়গাটি দখলে নিয়েছেন
স্বঘোষিত লেখক কবিরা! মিডিয়া সেন্টারেও মূল ধারার মিডিয়া কম।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনের মেলার পরিবেশ ছিল যথেষ্টই অপরিচ্ছন্ন। হাঁটার কিছু পথে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ধীরেন্দ্রনাথ চত্বরটি যেন পরিণত হয়েছে ডাস্টবিনে। এখানে ছোট্ট গর্তের মতো জায়গাটি খাবারের প্যাকেট উচ্ছিষ্টাংশ দিয়ে রীতিমতো ভরে ফেলা হয়েছে। একইভাবে মেলার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গেছে কাঠের টুকরোসহ বিভিন্ন আবর্জনা। মেলার সৌন্দর্য রক্ষার স্বার্থে এ বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেবে কর্তৃপক্ষ এমনটি আশা করছেন সকলে।
নতুন বই ॥ মেলার দ্বিতীয় দিনেও এসেছে বেশ কিছু নতুন বই। সংখ্যাটি দীর্ঘই বটে। তবে এদিন বাংলা একাডেমীতে জমাপড়া বইয়ের সংখ্যা ছিল ২০টি। এগুলোর মধ্যে উপন্যাস ছিল ৫টি, কাব্যগ্রন্থ ২টি, গল্পগ্রন্থ ২টি, জীবনীগ্রন্থ ১টি, ছড়া গ্রন্থ ২টি ও প্রবন্ধ ১টি। বাকি বইগুলো ছিল বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা। মেলায় আসা নতুন বইগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্বেষা প্রকাশনী থেকে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রাষ্ট্রতন্ত্রে সমাজদ্রোহিতা’, অনন্যা থেকে হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন বইয়ের সঙ্কলন ‘হুমায়ূন বিচিত্রা’, শাহরিয়ার কবিরের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক : বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস ‘মটকু মিয়ার গার্লফ্রেন্ড’, মাওলা ব্রাদার্স থেকে মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধের বই ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলেন’, বেবী মওদুদ ও শেখ রেহানা সম্পাদিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘প্রিয় রবীন্দ্রনাথ’, মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস ‘গাব্বু’, অন্যপ্রকাশ থেকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস ‘শকুনের ডানা’, অ্যাডর্ন থেকে এসেছে জয়ন্তী সরকারের প্রবন্ধের বই ‘প্রান্তবাসী হরিজনদের কথা’, শুদ্ধস্বর এনেছে হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’ ও আবদুশ শাকুরের ‘ঘোর’, অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে এসেছে আহমদ রফিকের কবিতার বই ‘রক্তের নিসর্গে স্বদেশ’ ইত্যাদি।
মেলা মঞ্চের আয়োজন ॥ শনিবার মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক-সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আতিউর রহমান এবং অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের বিকাশ-সম্ভাবনা অপ্রতিরোধ্য। এককালে বাংলাদেশকে যারা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত করত তারাই আজ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিপুল অগ্রগতিতে বিস্মিত। মানব ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ক্রমউর্ধগতির অবস্থান বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এক নতুন ইমেজ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, কেবল কৃষিনির্ভরতা কাটিয়ে শিল্প-বাণিজ্যেও বাংলাদেশ এখন তার অর্থনৈতিক পরিসর বিস্তৃত করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার বিস্তার ও চরম দারিদ্র্যের হার হ্রাসকরণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশর সাফল্য অসামান্য। এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কার্যকর সুশাসন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের উত্থানের গল্প আজ আর কোন রূপকথার বিষয় নয় বরং এক বাস্তব সত্য। বাংলার কৃষক ও শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে, ফসলে তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন উদ্বৃত্ত খাদ্য ও বৈদেশিক রেমিটেন্সে ভরে উঠেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও আমরা অর্জন করেছি বিস্ময়কর সাফল্য। তাঁরা বলেন, তবে আমাদের উন্নয়নের সুফল দেশের সর্বপ্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে না পারলে এ উন্নয়ন মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর হাতে বন্দী থাকবে। আর সমাজে সর্বব্যাপ্ত দুর্নীতি দূর করতে না পারলে অর্জিত উন্নয়ন টেকসই হবে না। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনের বাধাগুলো আমাদের শনাক্ত করতে হবে। যারা বাংলাদেশকে একটি পশ্চাৎপদ- ধর্মবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তারা মূলত বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের অমিত সম্ভাবনাকে নস্যাত করতে চায়। এদের সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেন, অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে হবে। এই অগ্রসরমানতার অন্যতম পূর্বশর্ত সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে দায়িত্বশীল গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশ।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সাদী মহম্মদ, খায়রুল আনাম শাকিল, শাম্মী আখতার, ফেরদৌস আরা, চন্দনা মজুমদার, রথীন্দ্রনাথ রায়, সুজিত মোস্তফা, অদিতি মহসিন, মাহমুদুজ্জামান বাবু ও নন্দিতা ইয়াসমিন। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ পাল, বাঁশিতে গাজী আবদুল হাকিম, বেহালায় আলমাস আলী, কী-বোর্ডে সুমন রেজা খান, গিটার এমজি কিবরিয়া এবং মন্দিরায় নাজমুল আলম খান।
আজ রবিবার গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চের অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির রূপান্তরের ধারা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মেঘনা গুহঠাকুরতা। আলোচনায় অংশ নেবেন রেহনুমা আহমেদ, রবিউল ইসলাম এবং মুজতবা আহমেদ। সভাপতিত্ব করবেন সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনের মেলার পরিবেশ ছিল যথেষ্টই অপরিচ্ছন্ন। হাঁটার কিছু পথে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ধীরেন্দ্রনাথ চত্বরটি যেন পরিণত হয়েছে ডাস্টবিনে। এখানে ছোট্ট গর্তের মতো জায়গাটি খাবারের প্যাকেট উচ্ছিষ্টাংশ দিয়ে রীতিমতো ভরে ফেলা হয়েছে। একইভাবে মেলার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গেছে কাঠের টুকরোসহ বিভিন্ন আবর্জনা। মেলার সৌন্দর্য রক্ষার স্বার্থে এ বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেবে কর্তৃপক্ষ এমনটি আশা করছেন সকলে।
নতুন বই ॥ মেলার দ্বিতীয় দিনেও এসেছে বেশ কিছু নতুন বই। সংখ্যাটি দীর্ঘই বটে। তবে এদিন বাংলা একাডেমীতে জমাপড়া বইয়ের সংখ্যা ছিল ২০টি। এগুলোর মধ্যে উপন্যাস ছিল ৫টি, কাব্যগ্রন্থ ২টি, গল্পগ্রন্থ ২টি, জীবনীগ্রন্থ ১টি, ছড়া গ্রন্থ ২টি ও প্রবন্ধ ১টি। বাকি বইগুলো ছিল বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা। মেলায় আসা নতুন বইগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্বেষা প্রকাশনী থেকে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রাষ্ট্রতন্ত্রে সমাজদ্রোহিতা’, অনন্যা থেকে হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন বইয়ের সঙ্কলন ‘হুমায়ূন বিচিত্রা’, শাহরিয়ার কবিরের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক : বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস ‘মটকু মিয়ার গার্লফ্রেন্ড’, মাওলা ব্রাদার্স থেকে মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধের বই ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছিলেন’, বেবী মওদুদ ও শেখ রেহানা সম্পাদিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘প্রিয় রবীন্দ্রনাথ’, মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস ‘গাব্বু’, অন্যপ্রকাশ থেকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস ‘শকুনের ডানা’, অ্যাডর্ন থেকে এসেছে জয়ন্তী সরকারের প্রবন্ধের বই ‘প্রান্তবাসী হরিজনদের কথা’, শুদ্ধস্বর এনেছে হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’ ও আবদুশ শাকুরের ‘ঘোর’, অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে এসেছে আহমদ রফিকের কবিতার বই ‘রক্তের নিসর্গে স্বদেশ’ ইত্যাদি।
মেলা মঞ্চের আয়োজন ॥ শনিবার মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক-সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আতিউর রহমান এবং অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের বিকাশ-সম্ভাবনা অপ্রতিরোধ্য। এককালে বাংলাদেশকে যারা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত করত তারাই আজ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিপুল অগ্রগতিতে বিস্মিত। মানব ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ক্রমউর্ধগতির অবস্থান বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এক নতুন ইমেজ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, কেবল কৃষিনির্ভরতা কাটিয়ে শিল্প-বাণিজ্যেও বাংলাদেশ এখন তার অর্থনৈতিক পরিসর বিস্তৃত করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার বিস্তার ও চরম দারিদ্র্যের হার হ্রাসকরণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশর সাফল্য অসামান্য। এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কার্যকর সুশাসন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের উত্থানের গল্প আজ আর কোন রূপকথার বিষয় নয় বরং এক বাস্তব সত্য। বাংলার কৃষক ও শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে, ফসলে তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন উদ্বৃত্ত খাদ্য ও বৈদেশিক রেমিটেন্সে ভরে উঠেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও আমরা অর্জন করেছি বিস্ময়কর সাফল্য। তাঁরা বলেন, তবে আমাদের উন্নয়নের সুফল দেশের সর্বপ্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে না পারলে এ উন্নয়ন মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর হাতে বন্দী থাকবে। আর সমাজে সর্বব্যাপ্ত দুর্নীতি দূর করতে না পারলে অর্জিত উন্নয়ন টেকসই হবে না। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনের বাধাগুলো আমাদের শনাক্ত করতে হবে। যারা বাংলাদেশকে একটি পশ্চাৎপদ- ধর্মবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তারা মূলত বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের অমিত সম্ভাবনাকে নস্যাত করতে চায়। এদের সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেন, অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে হবে। এই অগ্রসরমানতার অন্যতম পূর্বশর্ত সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে দায়িত্বশীল গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশ।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সাদী মহম্মদ, খায়রুল আনাম শাকিল, শাম্মী আখতার, ফেরদৌস আরা, চন্দনা মজুমদার, রথীন্দ্রনাথ রায়, সুজিত মোস্তফা, অদিতি মহসিন, মাহমুদুজ্জামান বাবু ও নন্দিতা ইয়াসমিন। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ পাল, বাঁশিতে গাজী আবদুল হাকিম, বেহালায় আলমাস আলী, কী-বোর্ডে সুমন রেজা খান, গিটার এমজি কিবরিয়া এবং মন্দিরায় নাজমুল আলম খান।
আজ রবিবার গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চের অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির রূপান্তরের ধারা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মেঘনা গুহঠাকুরতা। আলোচনায় অংশ নেবেন রেহনুমা আহমেদ, রবিউল ইসলাম এবং মুজতবা আহমেদ। সভাপতিত্ব করবেন সিরাজুল ইসলাম।
No comments