নেফ্রাইটিসে হোমিও চিকিৎসা by ডা: এম এ রাজ্জাক
কিডনি বা মূত্রগ্রন্থি বা বৃক্কের কোনো কারণবশত একটি কিংবা দুটির প্রদাহ
হলে একে নেফ্রাইটিস বলে। ডা: রিচার্ড ব্রাইট সর্বপ্রথম এই রোগ আবিষ্কার
করেন বলে তাকে ব্রাইটিস্ ডিজিস বলে।
সাধারণত যে কারণে হয়
ব্রাইটিস ডিজিস : (১) জীবাণু গঠিত কারণ : স্টেফাইলো কক্কাস ষ স্ট্রেপটো
কক্কাস, ষ বি-কোলাই, ষ ব্লাড সার্কুলেশনের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বা
কক্কাস ব্যাসিলি বা সিফিলিসের জীবাণু ব্লাডের সাথে মিশে সেকেন্ডারি
ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে। (২) রোগের ফলে টাইফয়েড, রক্তবাহী বসন্ত ষ
ডিপথেরিয়া ষ হাম ষ ম্যালেরিয়া, ষ সেরিব্রো স্পাইনাল ম্যানিনজাইটিস,
ইরিসিপিলাস ষ বাতজ্বর, ষ টিউবারকুলোসিস ষ সেপটিক জ্বর, ষ সিফিলিস ষ কলেরা ষ
আগুনে পুড়ে যাওয়া ষ লিভারে স্কেটিক টিউমার ইত্যাদি রোগের উপসর্গ হিসেবে
কিডনির প্রদাহ হতে পারে। (৩) ওষুধের অপব্যবহারে- যেমন-তার্পেনটাইন,
ক্যায়ারাইডিস, পটাস ফোরেট বা উত্তেজক ব্যথানাশক।
হোমিওপ্যাথিতে-এসিড নাইট, কার্বলিক এসিড, এসিড অকজালিক, ফসফরাস, আর্সেনিক ইত্যাদি। এগুলো হতে পারে কিডনির ওষুধ। আবার যদি লক্ষণসদৃশ না হয়, ডোজ বা মাত্রা পরিমিত না হয়, সুনির্বাচিত না হয় তবেই ক্ষতিকর। (৪) পানি পান না করা বা অতিরিক্ত করা (৫) বংশে যদি থাকে তবেও হতে পারে। (৬) যারা দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখে তাদেরও হতে পারে।
যে অবস্থায় বুঝবেন যে নেফ্রাইটিস হয়েছে : (১) বেদনা এক কিডনিতে বা উভয়টাতে । (২) বার বার মূত্রবেগ এবং ত্যাগ করতে হয়। (৩) উভয় কিডনি আক্রান্ত হলে কখনো একেবারে মূত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। (৪) স্বল্প মূত্র, হলুদ মূত্র বা সরষের তেলের মতো। (৫) রোগী সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সোজা হয়ে দাঁড়ালে বেদনা অনুভব হয়। (৬) চরম দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। (৭) মাথা ধরা থাকে। (৮) গা, হাত, পা, ফুলে যায়। (৯) রক্তস্বল্পতার ভাব থাকে, (১০) অনেক সময় মূত্র পরিষ্কার হয় না বা মলমূত্র উভয় কমে যায়। (১১) কোন কোন ক্ষেত্রে কিডনিতে ঘা হয়, পুঁজ হয়। (১২) জ্বর হতে পারে।
আধুনিক পরীক্ষা : ইউরিনের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে, এক্স-রে, ব্লাডের পরীক্ষার মাধ্যমে, আলট্রাসনোগ্রাম করে।
চিকিৎসা : যা করবেন না : ষ কঠোর পরিশ্রম ষ রাত জাগরণ উত্তেজক কোনো খাদ্য গ্রহণ ষ এলকোহল সেবন ষ লবণ খাবেন না ষ উত্তেজক কোমল পানীয় ষ ঠাণ্ডা লাগানো ষ ঠাণ্ডা স্যাঁতসেঁতে স্থানে বসবাস।
যা করতে হবে : ষ বিশ্রাম ষ সামান্য উষ্ণ ঘরে থাকাই ভালো ষ ফলের রস সুফল দেয় ষ দুধ রোগীর জন্য উপযুক্ত পথ্য ষ থানকুনি পাতার রস ষ আরোগ্য স্তরে নরম ভাত, সহজ প্রাচ্য শবজির ঝোল-ভালো। গ্লোকোজ ও ল্যাকটোজ ভালো ষ প্রোটিন ৩০ গ্রাম এবং তরল পানীয় ৫০০ এমএলের বেশি নয়।
হোমিও মেডিসিন : এ ক্ষেত্রে যেসব মেডিসিন বেশি ব্যবহৃত হয় যেমন Ñ টেরিবিনথিনা, ক্যানথারিস, আর্সিনিক এলব, ক্যানাবিস স্যাটাইভা, বেলেডোনা, ট্রিটিকাম রিপেনস চেলিভোনিয়াম ইত্যাদি।
বায়োক্যামিক মেডিসিন : ফেরাম ফস, ম্যাগফস, কেলিমিউরিটিকাম ইত্যাদি।
সব সময় মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন একজন ভালো চিকিৎকই নির্বাচন করতে পারেন। না হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যোগাযোগ করুন।
লেখক : প্রভাষক, তানজিম হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ। ফোন : ০১৯১২৮৪২৫৮৮
হোমিওপ্যাথিতে-এসিড নাইট, কার্বলিক এসিড, এসিড অকজালিক, ফসফরাস, আর্সেনিক ইত্যাদি। এগুলো হতে পারে কিডনির ওষুধ। আবার যদি লক্ষণসদৃশ না হয়, ডোজ বা মাত্রা পরিমিত না হয়, সুনির্বাচিত না হয় তবেই ক্ষতিকর। (৪) পানি পান না করা বা অতিরিক্ত করা (৫) বংশে যদি থাকে তবেও হতে পারে। (৬) যারা দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখে তাদেরও হতে পারে।
যে অবস্থায় বুঝবেন যে নেফ্রাইটিস হয়েছে : (১) বেদনা এক কিডনিতে বা উভয়টাতে । (২) বার বার মূত্রবেগ এবং ত্যাগ করতে হয়। (৩) উভয় কিডনি আক্রান্ত হলে কখনো একেবারে মূত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। (৪) স্বল্প মূত্র, হলুদ মূত্র বা সরষের তেলের মতো। (৫) রোগী সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সোজা হয়ে দাঁড়ালে বেদনা অনুভব হয়। (৬) চরম দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। (৭) মাথা ধরা থাকে। (৮) গা, হাত, পা, ফুলে যায়। (৯) রক্তস্বল্পতার ভাব থাকে, (১০) অনেক সময় মূত্র পরিষ্কার হয় না বা মলমূত্র উভয় কমে যায়। (১১) কোন কোন ক্ষেত্রে কিডনিতে ঘা হয়, পুঁজ হয়। (১২) জ্বর হতে পারে।
আধুনিক পরীক্ষা : ইউরিনের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে, এক্স-রে, ব্লাডের পরীক্ষার মাধ্যমে, আলট্রাসনোগ্রাম করে।
চিকিৎসা : যা করবেন না : ষ কঠোর পরিশ্রম ষ রাত জাগরণ উত্তেজক কোনো খাদ্য গ্রহণ ষ এলকোহল সেবন ষ লবণ খাবেন না ষ উত্তেজক কোমল পানীয় ষ ঠাণ্ডা লাগানো ষ ঠাণ্ডা স্যাঁতসেঁতে স্থানে বসবাস।
যা করতে হবে : ষ বিশ্রাম ষ সামান্য উষ্ণ ঘরে থাকাই ভালো ষ ফলের রস সুফল দেয় ষ দুধ রোগীর জন্য উপযুক্ত পথ্য ষ থানকুনি পাতার রস ষ আরোগ্য স্তরে নরম ভাত, সহজ প্রাচ্য শবজির ঝোল-ভালো। গ্লোকোজ ও ল্যাকটোজ ভালো ষ প্রোটিন ৩০ গ্রাম এবং তরল পানীয় ৫০০ এমএলের বেশি নয়।
হোমিও মেডিসিন : এ ক্ষেত্রে যেসব মেডিসিন বেশি ব্যবহৃত হয় যেমন Ñ টেরিবিনথিনা, ক্যানথারিস, আর্সিনিক এলব, ক্যানাবিস স্যাটাইভা, বেলেডোনা, ট্রিটিকাম রিপেনস চেলিভোনিয়াম ইত্যাদি।
বায়োক্যামিক মেডিসিন : ফেরাম ফস, ম্যাগফস, কেলিমিউরিটিকাম ইত্যাদি।
সব সময় মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন একজন ভালো চিকিৎকই নির্বাচন করতে পারেন। না হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যোগাযোগ করুন।
লেখক : প্রভাষক, তানজিম হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ। ফোন : ০১৯১২৮৪২৫৮৮
No comments