আবারও পুলিশ পেটাল শিবির-নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক মারামারি চার পুলিশসহ আহত ২০
বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতালে পুলিশের গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপসহ ১৫টি যানবাহন ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে মিছিল করতে বাধা দেওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটানোর কারণে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারধর, ২৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
বগুড়া অফিস জানায়, গতকাল সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিবিরকর্মীরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি মহাসড়ক ধরে তেলিপুকুর এলাকায় পৌঁছার পর সেখানে একটি পুলিশভ্যান এলে সেটিকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীরা। এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি পরিবহনও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে পুলিশ পাহারায় যানবাহন চলাচলের সময় জামায়াতকর্মীরা ছয়টি পরিবহনে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে। একই সময় শেরপুর উপজেলার ধুনট রোডেও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া এরুলিয়া ও গোদারপাড়া এলাকায় সকাল থেকেই বিক্ষোভ করে হরতাল সমর্থকরা। সেখানেও তারা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। হরতালের কারণে বগুড়ার আন্তজেলা ও আন্তথানা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে সকাল ১০টায় মিছিল করার চেষ্টা করে শিবিরকর্মীরা। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিবিরের লোকজন এএসআই জাহাঙ্গীরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।
এ খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে এলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুুলিশ। এ সময় চাষাঢ়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিবিরকর্মীরাও পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখে। সংঘর্ষের সময়ে শিবিরের লোকজন এএসআই জাফর ছাড়াও কনস্টেবল আমিনুল, আবদুল আলিম ও মামুনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে শিবিরের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলীয় একটি সূত্র। কিন্তু গ্রেপ্তার এড়াতে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আহত পুলিশ সদস্যদের শহরের খানপুর ২০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এএসআই জাফরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় শিবিরকর্মীরা। তখন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-পাগলা সড়কে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এস এম মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হঠাৎ করে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুুলিশ শিবির ক্যাডারদের লক্ষ্য করে ২৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার তথ্য জানিয়ে শিবিরের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, শিগগির অভিযুক্ত শিবির ক্যাডারদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বগুড়া অফিস জানায়, গতকাল সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিবিরকর্মীরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি মহাসড়ক ধরে তেলিপুকুর এলাকায় পৌঁছার পর সেখানে একটি পুলিশভ্যান এলে সেটিকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীরা। এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি পরিবহনও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে পুলিশ পাহারায় যানবাহন চলাচলের সময় জামায়াতকর্মীরা ছয়টি পরিবহনে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে। একই সময় শেরপুর উপজেলার ধুনট রোডেও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া এরুলিয়া ও গোদারপাড়া এলাকায় সকাল থেকেই বিক্ষোভ করে হরতাল সমর্থকরা। সেখানেও তারা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। হরতালের কারণে বগুড়ার আন্তজেলা ও আন্তথানা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে সকাল ১০টায় মিছিল করার চেষ্টা করে শিবিরকর্মীরা। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিবিরের লোকজন এএসআই জাহাঙ্গীরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।
এ খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে এলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুুলিশ। এ সময় চাষাঢ়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিবিরকর্মীরাও পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখে। সংঘর্ষের সময়ে শিবিরের লোকজন এএসআই জাফর ছাড়াও কনস্টেবল আমিনুল, আবদুল আলিম ও মামুনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে শিবিরের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলীয় একটি সূত্র। কিন্তু গ্রেপ্তার এড়াতে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আহত পুলিশ সদস্যদের শহরের খানপুর ২০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এএসআই জাফরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় শিবিরকর্মীরা। তখন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-পাগলা সড়কে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এস এম মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হঠাৎ করে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুুলিশ শিবির ক্যাডারদের লক্ষ্য করে ২৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার তথ্য জানিয়ে শিবিরের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, শিগগির অভিযুক্ত শিবির ক্যাডারদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
No comments