নতুন নকশা হলে গচ্চা যাবে ঋণের ২২৬ কোটি টাকা by রেজা রায়হান
পদ্মায় বহুমুখী সেতুর পরিবর্তে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণ করা হলে নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের ইতিমধ্যেই ব্যয় হওয়া ২০০ কোটি টাকারও বেশি গচ্চা যাবে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে নেওয়া দুই কোটি ৭৬ লাখ ডলার (বর্তমান বিনিময় হারে ২২৬ কোটি টাকা) ঋণে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর বিস্তারিত নকশা (ডিটেইল ডিজাইন) প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন বিশ্বব্যাংকের ঋণ না পাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতু থেকে রেললাইন বাদ দিয়ে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য নতুন করে নকশা প্রণয়নের কথাও নীতিনির্ধারক মহল থেকে বলা হচ্ছে। আগের নকশা বাদ দিয়ে নতুন করে নকশা প্রণয়ন করা হলে নতুন ব্যয় যেমন লাগবে তেমনি আগের সব ব্যয়ই জলে যাবে। ঋণের টাকায় আগের প্রণীত নকশা কোনো কাজে না এলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ঠিকই সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের টানাপড়েনের মধ্যে গত মাসে হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রথমে সেনাবাহিনীকে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের জন্য বলেন। এখন পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সড়ক-রেল সেতুর পরিবর্তে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের আলোচনা ওঠায় নতুন করে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি প্রকল্প প্রস্তাব ২০০৭ সালের ২ মে সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এডিবির সঙ্গে সরকারের এ সম্পর্কিত 'কারিগরি সহায়তা ঋণচুক্তি' ও 'প্রকল্প চুক্তি' নামে দুটি চুক্তি হয়। এডিবির আগ্রহে এডিবিকেই সেতুর ডিজাইন পরামর্শক নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে সরকার সম্মতি দেয়। সংস্থাটি নিউজিল্যান্ডের মনসেল এইকম লিমিটেডকে নিয়োগের জন্য বাছাই করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময় নিয়োগের এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। বর্তমান সরকার মনসেল এইকমকেই কাজটি দেয়। এর চুক্তি-মূল্য ছিল এক কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৮ ডলার। বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা।
মনসেল প্রণীত নকশার পরীক্ষার জন্য আরেক পরামর্শকের পেছনে ব্যয় হয় ১৩ লাখ সাত হাজার ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা)। এ ছাড়া ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫২ ডলার ব্যয়ে ২৮টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ৩৭টি অতিরিক্ত সমীক্ষাও সম্পাদন করা হয়। এ জন্য এডিবি থেকে আরো এক কোটি ডলার নতুন ঋণ নেওয়া হয়। পরে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য মনসেল এইকমের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করে চুক্তি-মূল্য বাড়ানো হয়। এতে মূল চুক্তি-মূল্য বেড়ে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫৫ ডলার হয়েছে। বৃদ্ধির হার ৪৪ শতাংশ।
বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে যে বিশদ নকশা প্রণয়ন ও যাচাই করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত সমীক্ষাগুলো করানো হয়েছে, এখন নতুন নকশায় পদ্মা সেতু নির্মিত হলে এসবের উপযোগিতা স্বাভাবিকভাবেই থাকবে না।
সরে গেল জাইকাও
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের টানাপড়েনের মধ্যে গত মাসে হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রথমে সেনাবাহিনীকে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের জন্য বলেন। এখন পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সড়ক-রেল সেতুর পরিবর্তে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের আলোচনা ওঠায় নতুন করে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি প্রকল্প প্রস্তাব ২০০৭ সালের ২ মে সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এডিবির সঙ্গে সরকারের এ সম্পর্কিত 'কারিগরি সহায়তা ঋণচুক্তি' ও 'প্রকল্প চুক্তি' নামে দুটি চুক্তি হয়। এডিবির আগ্রহে এডিবিকেই সেতুর ডিজাইন পরামর্শক নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে সরকার সম্মতি দেয়। সংস্থাটি নিউজিল্যান্ডের মনসেল এইকম লিমিটেডকে নিয়োগের জন্য বাছাই করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময় নিয়োগের এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। বর্তমান সরকার মনসেল এইকমকেই কাজটি দেয়। এর চুক্তি-মূল্য ছিল এক কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৮ ডলার। বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা।
মনসেল প্রণীত নকশার পরীক্ষার জন্য আরেক পরামর্শকের পেছনে ব্যয় হয় ১৩ লাখ সাত হাজার ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা)। এ ছাড়া ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫২ ডলার ব্যয়ে ২৮টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ৩৭টি অতিরিক্ত সমীক্ষাও সম্পাদন করা হয়। এ জন্য এডিবি থেকে আরো এক কোটি ডলার নতুন ঋণ নেওয়া হয়। পরে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য মনসেল এইকমের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করে চুক্তি-মূল্য বাড়ানো হয়। এতে মূল চুক্তি-মূল্য বেড়ে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫৫ ডলার হয়েছে। বৃদ্ধির হার ৪৪ শতাংশ।
বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে যে বিশদ নকশা প্রণয়ন ও যাচাই করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত সমীক্ষাগুলো করানো হয়েছে, এখন নতুন নকশায় পদ্মা সেতু নির্মিত হলে এসবের উপযোগিতা স্বাভাবিকভাবেই থাকবে না।
সরে গেল জাইকাও
No comments