সম্ভাবনাময় দেশ-ড্যান মজীনার বক্তব্য এবং সম্ভাবনার বাংলাদেশ by মেসবাহউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, আমি বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ঘুরে দেখেছি। এ দেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় দেশ। ধীরে ধীরে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ এশিয়ার টাইগারে পরিণত হবে। এখন এই দেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ।
বাংলাদেশের এ উন্নতির গতি একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সহায়তা করবে। ডবি্লউ ড্যান মজীনার 'বাংলাদেশ এশিয়ার টাইগারে পরিণত হবে'_ এমন উক্তি ক'দিন পরপরই সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। প্রতিবারই তিনি বেশ কনফিডেন্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে এমন মন্তব্য করছেন। ড্যান মজীনা বাংলাদেশের যে প্রান্তেই গেছেন, বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন এবং অভিভূত হয়েছেন। দেখছেন ধীরে ধীরে দেশটির অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠার দিকটিও। আমিও ডবি্লউ ড্যান মজীনার এ উক্তির সঙ্গে একমত। বাংলাদেশ আসলেই অর্থনৈতিকভাবে দিন দিন সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। এই দেশের কোনো উন্নতি হবে না_ এমন বক্তব্য যারা দেন, আমি তাদের বক্তব্যকে মোটেই মানতে নারাজ। ডবি্লউ ড্যান মজীনার মতো আমারও দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশ একদিন এশিয়ার টাইগারে পরিণত হবে।
ক'দিন আগে একজন লেখকের বর্ণনায় দেখলাম, গ্রামে কৃষিকাজ করার মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তিন বেলা ভাত খাইয়ে ৪০০ টাকার নিচে শ্রমিক পাওয়া যায় না। এতে বোঝা যায়, গ্রামেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গ্রামের ক্ষেতমজুর, দিনমজুর, যারা এক সময় ছেলেমেয়েদের স্কুলে না পাঠিয়ে বাড়তি রোজগারে লাগিয়ে দিতেন, এখন তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। গ্রামের কৃষি শ্রমিকের ছেলেমেয়েরাও এখন এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি পাস করছে। ডবি্লউ ড্যান মজীনার বক্তব্যের ওপর ভর করে আজ নিদ্বর্িধায় বলতে পারি, বিশ্বমন্দার দিনে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্যের উৎপাদন দেখে বিশ্ব অভিভূত।
গত বছর জুলাইয়ের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। পরিবেশ রক্ষায় সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ওই সময় বাংলাদেশ সফর করা বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি এনার্জি হোল্ডিংস ইন্টারন্যাশনাল ইনকরপোরেশনের একটি প্রতিনিধি দলকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপারে তার আশাবাদ প্রকাশ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান জালাল আল গনি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তখন জালাল আল গনি বলেছিলেন, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে জ্বালানি উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, তার সরকার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে দেশে সে সময় ৬ হাজার ১০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে রেকর্ড গড়েছিল। আর তখন থেকেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি, এর ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সময় একটি দেশকে জ্বালানি খাতে ভারমুক্ত হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই। এর পরপরই বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা থেকে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়। আইনটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামো কী হবে, কাজের পরিধি কী হবে ইত্যাদি বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও আইনটি ওই সময় খসড়া বলেই বিবেচিত হয়। তবে এ ধরনের উদ্যোগকে সে সময় সবাই স্বাগত জানান। এমন একেকটি আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে ক্রমধাবমান। আজ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সেচ প্রতিবন্ধকতা আগের মতো নেই। গ্রাম-গ্রামান্তরেও বিদ্যুৎ থেকে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক। সার-বীজসহ সব কৃষি উপকরণ সহজলভ্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়ে শহরমুখী স্রোত ঘুরিয়ে গ্রামমুখী করার নীতি গ্রহণ করেছেন। গ্রামের কৃষক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন, যা ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। সরকারের নীতির ফলে মোবাইল ফোন এখন তাদের হাতে। গ্রামগঞ্জে এখন কৃষক ক্লাব হচ্ছে। ওই ক্লাবের মাধ্যমে তারা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কৃষির নানা সমস্যার সমাধান করছেন। ফলে কৃষিক্ষেত্রে আসছে বৈপ্লবিক সাফল্য। নির্মিত হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো। আধুনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে তাদের জীবনমান। একজন কৃষক গ্রামে বসেই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজগুলো সারতে পারছেন। অনেক ক্ষেত্রে টাকা খরচ করে শহরে আসার আর প্রয়োজন পড়ছে না। এ ধরনের নানা উদ্যোগের ফল দেখতে পাচ্ছেন বলেই ড্যান মজীনারাও অভিভূত হচ্ছেন এবং উপলব্ধি করতে পারছেন আগামী দিনের বাংলাদেশকে।
অতি সম্প্রতি এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি মোবাইল ফোন বিক্রি হতো। আমরা মোবাইলের ব্যবসা উন্মুক্ত করার পর সবাই কম দামে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারছেন। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আইপডসহ সবকিছুর ব্যবসা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এতে এসব জিনিস মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারছে। প্রতিটি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র ডিজিটাল করেছি। এসব তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই পর্চার আবেদন, বিদেশে যাওয়ার আবেদন, ভর্তি পরীক্ষার আবেদনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করেছি। ১৭টি গাড়িতে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা দিচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি মডেল স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা সোলার সিস্টেমের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য মোটেই রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষকে তিনি দ্রুত তৃণমূল পর্যায়ে পেঁৗছে দিয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে ঘটিয়েছেন যুগান্তকারী বিপ্লব। দেশের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ জাতীয়করণ করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ফ্রি পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা করেছেন, যা দেখে প্রতিবেশী দেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন পর্যন্ত অভিভূত।
যেখানে দেশকে এগিয়ে নিতে উৎপাদন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি নিয়ে এত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে দেশ আগামীতে 'এশিয়ার টাইগারে পরিণত হবে'_ এমন ভাবাটা মোটেই অস্বাভাবিক কি?
প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ক'দিন আগে একজন লেখকের বর্ণনায় দেখলাম, গ্রামে কৃষিকাজ করার মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তিন বেলা ভাত খাইয়ে ৪০০ টাকার নিচে শ্রমিক পাওয়া যায় না। এতে বোঝা যায়, গ্রামেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গ্রামের ক্ষেতমজুর, দিনমজুর, যারা এক সময় ছেলেমেয়েদের স্কুলে না পাঠিয়ে বাড়তি রোজগারে লাগিয়ে দিতেন, এখন তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। গ্রামের কৃষি শ্রমিকের ছেলেমেয়েরাও এখন এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি পাস করছে। ডবি্লউ ড্যান মজীনার বক্তব্যের ওপর ভর করে আজ নিদ্বর্িধায় বলতে পারি, বিশ্বমন্দার দিনে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্যের উৎপাদন দেখে বিশ্ব অভিভূত।
গত বছর জুলাইয়ের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। পরিবেশ রক্ষায় সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ওই সময় বাংলাদেশ সফর করা বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি এনার্জি হোল্ডিংস ইন্টারন্যাশনাল ইনকরপোরেশনের একটি প্রতিনিধি দলকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপারে তার আশাবাদ প্রকাশ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান জালাল আল গনি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তখন জালাল আল গনি বলেছিলেন, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে জ্বালানি উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, তার সরকার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে দেশে সে সময় ৬ হাজার ১০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে রেকর্ড গড়েছিল। আর তখন থেকেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি, এর ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সময় একটি দেশকে জ্বালানি খাতে ভারমুক্ত হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই। এর পরপরই বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা থেকে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়। আইনটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামো কী হবে, কাজের পরিধি কী হবে ইত্যাদি বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও আইনটি ওই সময় খসড়া বলেই বিবেচিত হয়। তবে এ ধরনের উদ্যোগকে সে সময় সবাই স্বাগত জানান। এমন একেকটি আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে ক্রমধাবমান। আজ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সেচ প্রতিবন্ধকতা আগের মতো নেই। গ্রাম-গ্রামান্তরেও বিদ্যুৎ থেকে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক। সার-বীজসহ সব কৃষি উপকরণ সহজলভ্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়ে শহরমুখী স্রোত ঘুরিয়ে গ্রামমুখী করার নীতি গ্রহণ করেছেন। গ্রামের কৃষক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন, যা ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। সরকারের নীতির ফলে মোবাইল ফোন এখন তাদের হাতে। গ্রামগঞ্জে এখন কৃষক ক্লাব হচ্ছে। ওই ক্লাবের মাধ্যমে তারা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কৃষির নানা সমস্যার সমাধান করছেন। ফলে কৃষিক্ষেত্রে আসছে বৈপ্লবিক সাফল্য। নির্মিত হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো। আধুনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে তাদের জীবনমান। একজন কৃষক গ্রামে বসেই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজগুলো সারতে পারছেন। অনেক ক্ষেত্রে টাকা খরচ করে শহরে আসার আর প্রয়োজন পড়ছে না। এ ধরনের নানা উদ্যোগের ফল দেখতে পাচ্ছেন বলেই ড্যান মজীনারাও অভিভূত হচ্ছেন এবং উপলব্ধি করতে পারছেন আগামী দিনের বাংলাদেশকে।
অতি সম্প্রতি এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি মোবাইল ফোন বিক্রি হতো। আমরা মোবাইলের ব্যবসা উন্মুক্ত করার পর সবাই কম দামে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারছেন। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আইপডসহ সবকিছুর ব্যবসা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এতে এসব জিনিস মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারছে। প্রতিটি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র ডিজিটাল করেছি। এসব তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই পর্চার আবেদন, বিদেশে যাওয়ার আবেদন, ভর্তি পরীক্ষার আবেদনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করেছি। ১৭টি গাড়িতে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা দিচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি মডেল স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা সোলার সিস্টেমের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য মোটেই রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষকে তিনি দ্রুত তৃণমূল পর্যায়ে পেঁৗছে দিয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে ঘটিয়েছেন যুগান্তকারী বিপ্লব। দেশের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ জাতীয়করণ করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ফ্রি পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা করেছেন, যা দেখে প্রতিবেশী দেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন পর্যন্ত অভিভূত।
যেখানে দেশকে এগিয়ে নিতে উৎপাদন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি নিয়ে এত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে দেশ আগামীতে 'এশিয়ার টাইগারে পরিণত হবে'_ এমন ভাবাটা মোটেই অস্বাভাবিক কি?
প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
No comments