যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার পাবনায় জনসভা এবং জেলার বেড়া উপজেলা ও সিরাজগঞ্জে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াত জোটের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, তারা হরতাল ডেকে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, পেট্রল ঢেলে গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করছে।
এটা করা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত ও বানচাল করার জন্য। কিন্তু এসব করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এর আগের কয়েকটি জনসভায় পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বললেও গতকাল এ প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তিনটি স্থানেই তিনি এলাকাবাসীর প্রতি আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট এবং বেড়ায় ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
গতকাল বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। রায় প্রদানও শুরু হয়েছে। চারদলীয় জোট বিএনপি-জামায়াত দেশকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করেছি। বিএনপি ও এর দোসররা ক্ষমতায় থাকাকালে জনগণের সম্পদ লুটে নেয় আর আওয়ামী লীগ জনগণকে দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি ও তাঁর সন্তানরা দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এমনকি এতিমদের টাকাও তাঁরা আত্মসাৎ করেছেন। সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে তিনি জনগণকে আরো একবার নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স তাঁর বক্তব্যে পাবনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'আপনি পাবনায় অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা নতুন করে কিছুই চাই না। তবে আমরা জানি, জনগণ ভোট দিয়ে যদি আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করে তাহলে আপনি পাবনার যা কিছু বাকি আছে তা করে দেবেন। আমি জানি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে পাবনা শহরকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করবেন, পাবনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবেন, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করবেন। এডওয়ার্ড কলেজের উন্নয়নে দৃষ্টি দেবেন।'
বিকেল ৩টার দিকে জেলা সদরে পৌঁছে তিনি পাবনা মেডিক্যাল কলেজের ভবন, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নবনির্মিত ভবন, পাবনা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন, বনমালী ইনস্টিটিউটের নতুন ভবন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ভবন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর, ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ প্রকল্প, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবন, ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়ক এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
বেড়ায় একই প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী সকালে জেলার বেড়া উপজেলায় ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্ট এবং বেড়া পৌরসভার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর বেড়া কলেজ মাঠে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করে যুদ্ধপরাধীদের বাঁচানো যাবে না। দুপুর সাড়ে ১২টায় বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওই সভায় তিনি এলাকাবাসীর দাবি প্রসঙ্গে বলেন, পুনরায় নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে আপনাদের সব দাবি পূরণ করা হবে। দলের পাবনা জেলা সাধারণ সম্পাদক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওয়াদা করেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। মোবাইল ফোনের দাম কমিয়েছি, প্রত্যেক উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নত করেছি ও প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে রাজাকার ও আলবদরমুক্ত করে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরব। এই এলাকার রাজাকার-আলবদরের প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত করায় প্রধানমন্ত্রী বেড়া-সাঁথিয়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-আলম-হানিফ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টি এইচ ইমাম, ড. মির্জা আবদুল জলিল, আবদুল লতিফ বিশ্বাস, শেখ হেলাল, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুসলিমা সামস প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জে ১৫০ মেগাওয়াট প্লান্ট উদ্বোধন
শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ১০ একর জমির ওপর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং একই স্থানে ৭৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় করতোয়া নদীর ওপর ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪৭.২৯৫ মিটার দীর্ঘ সোনতলা সড়ক সেতুর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধনকালে বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পর্যায়ক্রমে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতায় উন্নীত করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের ফলে এই যমুনাপারের মানুষ আর অবহেলিত নেই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টের শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণ ও শিল্পপার্ক স্থাপনের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে ইকোনমিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলেই কেবল আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সুন্দর, স্বনির্ভর সোনার বাংলা উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে।
ওই দুটি স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শফি, তানভীর শাকিল জয় প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট এবং বেড়ায় ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
গতকাল বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। রায় প্রদানও শুরু হয়েছে। চারদলীয় জোট বিএনপি-জামায়াত দেশকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করেছি। বিএনপি ও এর দোসররা ক্ষমতায় থাকাকালে জনগণের সম্পদ লুটে নেয় আর আওয়ামী লীগ জনগণকে দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি ও তাঁর সন্তানরা দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এমনকি এতিমদের টাকাও তাঁরা আত্মসাৎ করেছেন। সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে তিনি জনগণকে আরো একবার নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স তাঁর বক্তব্যে পাবনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'আপনি পাবনায় অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা নতুন করে কিছুই চাই না। তবে আমরা জানি, জনগণ ভোট দিয়ে যদি আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করে তাহলে আপনি পাবনার যা কিছু বাকি আছে তা করে দেবেন। আমি জানি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে পাবনা শহরকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করবেন, পাবনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবেন, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করবেন। এডওয়ার্ড কলেজের উন্নয়নে দৃষ্টি দেবেন।'
বিকেল ৩টার দিকে জেলা সদরে পৌঁছে তিনি পাবনা মেডিক্যাল কলেজের ভবন, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নবনির্মিত ভবন, পাবনা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন, বনমালী ইনস্টিটিউটের নতুন ভবন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ভবন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর, ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ প্রকল্প, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবন, ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়ক এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
বেড়ায় একই প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী সকালে জেলার বেড়া উপজেলায় ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্ট এবং বেড়া পৌরসভার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর বেড়া কলেজ মাঠে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করে যুদ্ধপরাধীদের বাঁচানো যাবে না। দুপুর সাড়ে ১২টায় বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওই সভায় তিনি এলাকাবাসীর দাবি প্রসঙ্গে বলেন, পুনরায় নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে আপনাদের সব দাবি পূরণ করা হবে। দলের পাবনা জেলা সাধারণ সম্পাদক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওয়াদা করেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। মোবাইল ফোনের দাম কমিয়েছি, প্রত্যেক উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নত করেছি ও প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে রাজাকার ও আলবদরমুক্ত করে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরব। এই এলাকার রাজাকার-আলবদরের প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত করায় প্রধানমন্ত্রী বেড়া-সাঁথিয়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-আলম-হানিফ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টি এইচ ইমাম, ড. মির্জা আবদুল জলিল, আবদুল লতিফ বিশ্বাস, শেখ হেলাল, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুসলিমা সামস প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জে ১৫০ মেগাওয়াট প্লান্ট উদ্বোধন
শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ১০ একর জমির ওপর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং একই স্থানে ৭৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় করতোয়া নদীর ওপর ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪৭.২৯৫ মিটার দীর্ঘ সোনতলা সড়ক সেতুর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধনকালে বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পর্যায়ক্রমে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতায় উন্নীত করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের ফলে এই যমুনাপারের মানুষ আর অবহেলিত নেই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টের শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণ ও শিল্পপার্ক স্থাপনের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে ইকোনমিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলেই কেবল আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সুন্দর, স্বনির্ভর সোনার বাংলা উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে।
ওই দুটি স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শফি, তানভীর শাকিল জয় প্রমুখ।
No comments