সিগারেট চোরাচালানের পয়সায় পকেট ভরছে আফ্রিকার জঙ্গিরা
এত দিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোতে সন্ত্রাসী হিসেবে মোখতার বেলমোখতারের নাম ঠাঁই পেয়েছে বড়জোর পাদটীকায়। তবে সম্প্রতি আলজেরিয়ার ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে শ্রমিক জিম্মি ও হত্যার ঘটনায় যেন হঠাৎ করেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
এবার সামনে চলে এসেছেন বেলমোখতার। তার সঙ্গে বেরিয়ে আসছে নানা অজানা তথ্য। এর মধ্যে অন্যতম হলো বেলমোখতারের নেতৃত্বাধীন সিগনেটরিজ ইন ব্লাড ব্যাটালিয়নসহ সাব-সাহারান আফ্রিকায় আল-কায়েদা ও আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চরমপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান ও তাদের আয়ের উৎসের খবর।
জানা গেছে, এসব গোষ্ঠীর হাত ধরে উত্তর আফ্রিকায় ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের সিগারেটের চোরাচালান হয়। এসব গোষ্ঠী ও বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি বাহিনীর মধ্যে সহিংসতার অন্যতম কারণও এই অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। বেলমোখতার বর্তমানে সিগনেটরিজ ইন ব্লাড ব্যাটালিয়নের প্রধান। এর আগে তিনি মালিভিত্তিক আল-কায়েদা ইন দি ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন। তারও আগে তিনি আফগানিস্তানে মুজাহিদিনদের হয়ে এবং আলজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধকালে ইসলাপন্থী জিআইএর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
২০০৩ সালে ইউরোপের ৩২ নাগরিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন বেলমোখতার। ওই অপহরণ থেকে আদায় করা অর্থ দিয়ে তিনি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন সাহারান আফ্রিকার ভেতর দিয়ে সল্ট রুট হয়ে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল, মালি, নাইজার, আলজেরিয়ার বিশাল এলাকার মাদকপাচারের রুট। কিন্তু আরেক জঙ্গিগোষ্ঠী তুয়ারেগ তখন ওই এলাকার লবণ, সোনা, সিল্কসহ অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করত। বেলমোখতার তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর পথ তৈরি করেন ওই অঞ্চলের নামি কয়েকটি পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করে। তিনি এসব পরিবারের জামাই হওয়ার সুবাদে সিগারেটের চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন। লোকমুখে তিনি 'মিস্টার মার্লবোরো' নামেও পরিচিতি পান।
অসলো ইউনিভার্সিটির গবেষক ও 'আফ্রিকান গেরিলাস : র্যাগিং অ্যাগেইনস্ট দ্য মেশিন' বইয়ের সম্পাদক মরটেন বোয়াস বলেন, 'বেলমোখতার একিউআইএমের তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না। তাঁর আগ্রহ সব সময় বেশি ছিল নিজের পকেট ভারী করায়।'
সিগারেটের অবৈধ বাণিজ্য আফ্রিকায় সন্ত্রাসের পেছনের অন্যতম কারণ হলেও এত দিন এদিকটিতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে এখন পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সাহারা অঞ্চলের আল-কায়েদার বিভিন্ন উপগোষ্ঠীর অবৈধ বাণিজ্যগুলো খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইসিআইজে) জানায়, একিউআইএম জঙ্গিগোষ্ঠীর অর্থ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় উৎস সিগারেট চোরাচালান। একিউআইএমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর নাম আনসার আল শরিয়া। আইসিআইজে জানায়, উত্তর আফ্রিকায় বছরে ১০০ কোটি ডলারের সিগারেট চোরাচালান হয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) হিসাবমতে, আফ্রিকার লোকজন বছরে ৪০ হাজার কোটি সিগারেট খায়। এর মধ্যে ছয় হাজার কোটিই বিক্রি হয় কালোবাজারে। আফ্রিকার মোট সিগারেটের ৪৪ শতাংশ ভোক্তা আলজেরিয়া, মিসর, লিবিয়া, মরক্কো ও তিউনিসিয়ার লোক। এসব দেশে চোরাই সিগারেটের বিশাল বাজার রয়েছে। লিবিয়ার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সিগারেট আসে চোরাই পথে। সূত্র : গার্ডিয়ান।
জানা গেছে, এসব গোষ্ঠীর হাত ধরে উত্তর আফ্রিকায় ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের সিগারেটের চোরাচালান হয়। এসব গোষ্ঠী ও বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি বাহিনীর মধ্যে সহিংসতার অন্যতম কারণও এই অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। বেলমোখতার বর্তমানে সিগনেটরিজ ইন ব্লাড ব্যাটালিয়নের প্রধান। এর আগে তিনি মালিভিত্তিক আল-কায়েদা ইন দি ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন। তারও আগে তিনি আফগানিস্তানে মুজাহিদিনদের হয়ে এবং আলজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধকালে ইসলাপন্থী জিআইএর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
২০০৩ সালে ইউরোপের ৩২ নাগরিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন বেলমোখতার। ওই অপহরণ থেকে আদায় করা অর্থ দিয়ে তিনি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন সাহারান আফ্রিকার ভেতর দিয়ে সল্ট রুট হয়ে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল, মালি, নাইজার, আলজেরিয়ার বিশাল এলাকার মাদকপাচারের রুট। কিন্তু আরেক জঙ্গিগোষ্ঠী তুয়ারেগ তখন ওই এলাকার লবণ, সোনা, সিল্কসহ অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করত। বেলমোখতার তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর পথ তৈরি করেন ওই অঞ্চলের নামি কয়েকটি পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করে। তিনি এসব পরিবারের জামাই হওয়ার সুবাদে সিগারেটের চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন। লোকমুখে তিনি 'মিস্টার মার্লবোরো' নামেও পরিচিতি পান।
অসলো ইউনিভার্সিটির গবেষক ও 'আফ্রিকান গেরিলাস : র্যাগিং অ্যাগেইনস্ট দ্য মেশিন' বইয়ের সম্পাদক মরটেন বোয়াস বলেন, 'বেলমোখতার একিউআইএমের তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না। তাঁর আগ্রহ সব সময় বেশি ছিল নিজের পকেট ভারী করায়।'
সিগারেটের অবৈধ বাণিজ্য আফ্রিকায় সন্ত্রাসের পেছনের অন্যতম কারণ হলেও এত দিন এদিকটিতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে এখন পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সাহারা অঞ্চলের আল-কায়েদার বিভিন্ন উপগোষ্ঠীর অবৈধ বাণিজ্যগুলো খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইসিআইজে) জানায়, একিউআইএম জঙ্গিগোষ্ঠীর অর্থ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় উৎস সিগারেট চোরাচালান। একিউআইএমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর নাম আনসার আল শরিয়া। আইসিআইজে জানায়, উত্তর আফ্রিকায় বছরে ১০০ কোটি ডলারের সিগারেট চোরাচালান হয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) হিসাবমতে, আফ্রিকার লোকজন বছরে ৪০ হাজার কোটি সিগারেট খায়। এর মধ্যে ছয় হাজার কোটিই বিক্রি হয় কালোবাজারে। আফ্রিকার মোট সিগারেটের ৪৪ শতাংশ ভোক্তা আলজেরিয়া, মিসর, লিবিয়া, মরক্কো ও তিউনিসিয়ার লোক। এসব দেশে চোরাই সিগারেটের বিশাল বাজার রয়েছে। লিবিয়ার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সিগারেট আসে চোরাই পথে। সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments