মুখে মুখে চিকিৎসাপত্র-চিকিৎসকের জরিমানা
ভারতের রাজধানী দিল্লির এক চক্ষুচিকিৎসক তাঁর রোগীকে লিখিত ব্যবস্থাপত্র না দিয়ে মৌখিকভাবে ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগী দীর্ঘদিন ধরে ওই ওষুধ ব্যবহারের ফলে তাঁর চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান।
এই অভিযোগে চিকিৎসককে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশটির ভোক্তা কমিশন। চিকিৎসক বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা বিরোধ প্রতিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশন গত ১৬ জানুয়ারি ভোক্তা কমিশনের রায়ই বহাল রেখেছে। রায়ে চিকিৎসকে রোগীর প্রতি 'সীমিত অবহেলার' অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়।
জানা যায়, ১৯৯৩ সালে বাঁ চোখের সমস্যা নিয়ে দেবিন্দর সিং গুপ্ত নামের এক ব্যক্তি যান ডাক্তার বিবেক পালের কাছে। বিবেক পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর চোখে ছানি পড়েছে। তিনি রোগীকে ছানি কাটার পরামর্শ দেন। সেই মতো অস্ত্রোপচারও হয়। এরপর তাঁকে মুখে খাওয়ার ও চোখে ব্যবহারের ওষুধ দেন। দেবিন্দরের অভিযোগ, কয়েক দিন পরে তিনি চোখে ব্যথা অনুভব করায় আবারও বিবেকের কাছে যান এবং বিবেক তাঁকে ব্যবস্থাপত্র লিখে না দিয়ে মৌখিকভাবে 'মিটোমাইসিন-সি' ড্রপ ব্যবহার করতে বলেন। দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ওই ওষুধটি বদলে অন্য একটি ওষুধ ব্যবহার করতে বলেন। পুরো প্রক্রিয়াটিই মৌখিক। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় দেবিন্দর পরে অন্য দুজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। ওই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 'মিটোমাইসিন-সি' দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে তাঁর ওই চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর দেবিন্দর ভোক্তা কমিশনে বিবেকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। কমিশন ২০০৬ সালে রোগীর চিকিৎসায় 'সীমিত অবহেলার' অভিযোগে বিবেককে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করে।
বিবেক ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে কমিশনের উচ্চ আদালতজাতীয় ভোক্তা বিরোধ প্রতিকার কমিশনে আপিল করলে তারাও একই আদেশ বহাল রাখে।
বিবেক আগাগোড়াই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁর ওই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। তিনি রোগীকে এক সপ্তাহ পর মিটোমাইসিন-সি মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য ব্যবহারের নির্দেশ দেন। সে সময় রোগীকে মৌখিকভাবেও সতর্ক করে দেওয়া হয় যে, কোনোক্রমেই যেন ওষুধটি দুই সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা না হয়। বিবেকের অভিযোগ, রোগী তাঁর উপদেশে কান দেননি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জানা যায়, ১৯৯৩ সালে বাঁ চোখের সমস্যা নিয়ে দেবিন্দর সিং গুপ্ত নামের এক ব্যক্তি যান ডাক্তার বিবেক পালের কাছে। বিবেক পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর চোখে ছানি পড়েছে। তিনি রোগীকে ছানি কাটার পরামর্শ দেন। সেই মতো অস্ত্রোপচারও হয়। এরপর তাঁকে মুখে খাওয়ার ও চোখে ব্যবহারের ওষুধ দেন। দেবিন্দরের অভিযোগ, কয়েক দিন পরে তিনি চোখে ব্যথা অনুভব করায় আবারও বিবেকের কাছে যান এবং বিবেক তাঁকে ব্যবস্থাপত্র লিখে না দিয়ে মৌখিকভাবে 'মিটোমাইসিন-সি' ড্রপ ব্যবহার করতে বলেন। দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ওই ওষুধটি বদলে অন্য একটি ওষুধ ব্যবহার করতে বলেন। পুরো প্রক্রিয়াটিই মৌখিক। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় দেবিন্দর পরে অন্য দুজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। ওই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 'মিটোমাইসিন-সি' দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে তাঁর ওই চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর দেবিন্দর ভোক্তা কমিশনে বিবেকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। কমিশন ২০০৬ সালে রোগীর চিকিৎসায় 'সীমিত অবহেলার' অভিযোগে বিবেককে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করে।
বিবেক ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে কমিশনের উচ্চ আদালতজাতীয় ভোক্তা বিরোধ প্রতিকার কমিশনে আপিল করলে তারাও একই আদেশ বহাল রাখে।
বিবেক আগাগোড়াই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁর ওই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। তিনি রোগীকে এক সপ্তাহ পর মিটোমাইসিন-সি মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য ব্যবহারের নির্দেশ দেন। সে সময় রোগীকে মৌখিকভাবেও সতর্ক করে দেওয়া হয় যে, কোনোক্রমেই যেন ওষুধটি দুই সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা না হয়। বিবেকের অভিযোগ, রোগী তাঁর উপদেশে কান দেননি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments