চিকিৎসাসেবার নমুনা!
সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মায়ের তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। তাই ছেলেরা মাকে নিয়ে ছুটলেন হাসপাতালে। সেখানে পৌঁছে টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা সময় নিয়ে রক্তচাপ মাপলেন।
তারপর ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পরামর্শ দিলেন। কিন্তু ওয়ার্ডে গিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো চিকিৎসা পাননি ওই বৃদ্ধা রোগী।
বৃদ্ধার ছেলেরা মাকে ওয়ার্ডে নিয়ে দেখলেন সেখানে চিকিৎসক নেই। অন্য রোগীদের কাছ থেকে জানলেন শুক্রবার নবীন চিকিৎসক (ইন্টার্নি) ছাড়া কোনো চিকিৎসক থাকেন না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন পরদিন। বৃদ্ধার শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল, তাই উপায় না দেখে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভাবলেন তাঁরা। হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস থাকলেও এই জরুরি সময়ে তা-ও পাওয়া গেল না। অগত্যা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আরেকটি হাসপাতালের উদ্দেশে ছুটলেন তাঁর ছেলেরা।
নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের চিত্র এটি। ২৫ জানুয়ারি বিকেলে শ্বাসকষ্টের রোগী জাহানারা বেগমকে (৭০) ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনো চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর সন্তানেরা। জাহানারা বেগমের ছেলে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দীন হায়দার সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খুব সংকটাপন্ন অবস্থায় মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু কোনো চিকিৎসা পাইনি। পরে মাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও পাইনি।’
জাহানারা বেগমের এক ছেলে আইনজীবী ও আরেক ছেলে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিকেরা ওই হাসপাতালে গিয়ে যদি এমন সেবা পান, তবে সাধারণ মানুষেরা কেমন সেবা পাচ্ছেন সেটা অনুমান করতে কষ্ট হয় না।
সেদিনকার ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে জাহানারা বেগমের ছেলেরা অভিযোগ করে বলেন, ‘অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার কোনো পরিবেশ নেই। মাকে এ রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখলে চিকিৎসা না পেয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি অন্যান্য রোগীরাও চিকিৎসা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’ জাহানারার সন্তানদের অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসকের টেলিফোন সেটের রিসিভারটি মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছিল, যাতে কেউ ফোন করেও যোগাযোগ করতে না পারেন। রোগীকে ফিরিয়ে আনার সময় স্বজনেরা হাসপাতালের অনুসন্ধান ডেস্কের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির কাছে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে কি না জানতে চান। তখন ওই ব্যক্তি জবাব দেওয়ার আগেই তাঁর পেছনে বসা এক লোক বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সে ডাক্তার যাবেন।’ এরপর বেরিয়ে আসার সময় ডেস্কের দায়িত্বে থাকা লোকটি বলে ওঠেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টাকা লাগবে।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
বৃদ্ধার ছেলেরা মাকে ওয়ার্ডে নিয়ে দেখলেন সেখানে চিকিৎসক নেই। অন্য রোগীদের কাছ থেকে জানলেন শুক্রবার নবীন চিকিৎসক (ইন্টার্নি) ছাড়া কোনো চিকিৎসক থাকেন না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন পরদিন। বৃদ্ধার শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল, তাই উপায় না দেখে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভাবলেন তাঁরা। হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস থাকলেও এই জরুরি সময়ে তা-ও পাওয়া গেল না। অগত্যা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আরেকটি হাসপাতালের উদ্দেশে ছুটলেন তাঁর ছেলেরা।
নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের চিত্র এটি। ২৫ জানুয়ারি বিকেলে শ্বাসকষ্টের রোগী জাহানারা বেগমকে (৭০) ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনো চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর সন্তানেরা। জাহানারা বেগমের ছেলে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দীন হায়দার সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খুব সংকটাপন্ন অবস্থায় মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু কোনো চিকিৎসা পাইনি। পরে মাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও পাইনি।’
জাহানারা বেগমের এক ছেলে আইনজীবী ও আরেক ছেলে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিকেরা ওই হাসপাতালে গিয়ে যদি এমন সেবা পান, তবে সাধারণ মানুষেরা কেমন সেবা পাচ্ছেন সেটা অনুমান করতে কষ্ট হয় না।
সেদিনকার ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে জাহানারা বেগমের ছেলেরা অভিযোগ করে বলেন, ‘অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার কোনো পরিবেশ নেই। মাকে এ রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখলে চিকিৎসা না পেয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি অন্যান্য রোগীরাও চিকিৎসা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’ জাহানারার সন্তানদের অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসকের টেলিফোন সেটের রিসিভারটি মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছিল, যাতে কেউ ফোন করেও যোগাযোগ করতে না পারেন। রোগীকে ফিরিয়ে আনার সময় স্বজনেরা হাসপাতালের অনুসন্ধান ডেস্কের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির কাছে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে কি না জানতে চান। তখন ওই ব্যক্তি জবাব দেওয়ার আগেই তাঁর পেছনে বসা এক লোক বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সে ডাক্তার যাবেন।’ এরপর বেরিয়ে আসার সময় ডেস্কের দায়িত্বে থাকা লোকটি বলে ওঠেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টাকা লাগবে।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
No comments