সিরিয়া সংঘাত-নিরাপত্তা পরিষদকে অবস্থান পরিষ্কারের আহবান ব্রাহিমির
সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন লাখদার ব্রাহিমি। সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘ ও আরব লীগ মনোনীত বিশেষ এই দূত 'শেষবারের' মতো শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশটির সমস্যার সমাধানে এ আহ্বান জানান।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রথম দিন গত শুক্রবার সিরিয়ার প্রশ্নে বিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'দয়া করে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন... সিরিয়া সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দরকার।'
এদিকে সিরিয়ার বিরোধীদের প্রধান জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশনের (এসএনসি) প্রধান মোয়াজ আল খতিব শুক্রবার আবারও সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। মিউনিখ সম্মেলনে তিনি সিরীয় জনগণের 'করুণ পরিস্থিতি' দেখতে কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের 'পাশে দাঁড়ানোর' ব্যাপারটি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'চলমান অব্যবস্থা দূর করতে আপনাদের (বিশ্ব নেতৃত্ব) যেকোনো ধরনের সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাব।'
গত বুধবার হঠাৎ করে এক লাখ ৬০ হাজার বন্দির মুক্তির শর্ত পূরণ সাপেক্ষে দামেস্কের সঙ্গে আলোচলায় বসার প্রস্তাব দেন খতিব। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ব্রাহিমির সঙ্গে বৈঠক করেন খতিব। গতকাল শনিবার সম্মেলনের এক ফাঁকে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। খতিব-ল্যাভরভের এটাই প্রথম বৈঠক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, এ দুজনের সঙ্গে ব্রাহিমি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক হবে।
গতকাল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বাইডেন জানান, সিরিয়ার বিরোধীদের হাত শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। 'একনায়ক' প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপসারণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, 'আসাদবিরোধীদের এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহায়তার মধ্যে প্রাণঘাতী কোনো উপাদান নেই। পাশাপাশি আমরা আমাদের মিত্র দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্রোহীদের সাহায্যেও কাজ করছি।'
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, 'ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা হতে পারে।' এ অবস্থায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে যোগ দেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা শুক্রবার বলেন, সিরিয়ার 'বিশৃঙ্খল' পরিস্থিতিতে আসাদ সরকার লেবাননের কট্টর শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হাতে রাসায়নিক অস্ত্র তুলে দিতে পারে। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।
এদিকে সিরিয়ার বিরোধীদের প্রধান জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশনের (এসএনসি) প্রধান মোয়াজ আল খতিব শুক্রবার আবারও সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। মিউনিখ সম্মেলনে তিনি সিরীয় জনগণের 'করুণ পরিস্থিতি' দেখতে কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের 'পাশে দাঁড়ানোর' ব্যাপারটি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'চলমান অব্যবস্থা দূর করতে আপনাদের (বিশ্ব নেতৃত্ব) যেকোনো ধরনের সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাব।'
গত বুধবার হঠাৎ করে এক লাখ ৬০ হাজার বন্দির মুক্তির শর্ত পূরণ সাপেক্ষে দামেস্কের সঙ্গে আলোচলায় বসার প্রস্তাব দেন খতিব। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ব্রাহিমির সঙ্গে বৈঠক করেন খতিব। গতকাল শনিবার সম্মেলনের এক ফাঁকে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। খতিব-ল্যাভরভের এটাই প্রথম বৈঠক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, এ দুজনের সঙ্গে ব্রাহিমি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক হবে।
গতকাল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বাইডেন জানান, সিরিয়ার বিরোধীদের হাত শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। 'একনায়ক' প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপসারণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, 'আসাদবিরোধীদের এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহায়তার মধ্যে প্রাণঘাতী কোনো উপাদান নেই। পাশাপাশি আমরা আমাদের মিত্র দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্রোহীদের সাহায্যেও কাজ করছি।'
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, 'ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা হতে পারে।' এ অবস্থায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে যোগ দেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা শুক্রবার বলেন, সিরিয়ার 'বিশৃঙ্খল' পরিস্থিতিতে আসাদ সরকার লেবাননের কট্টর শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হাতে রাসায়নিক অস্ত্র তুলে দিতে পারে। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।
No comments