বগুড়ায় শান্তিপূর্ণ হরতাল, শেরপুরে গাড়ি ভাঙচুর
বগুড়ায় জামায়াতে ইসলামীর ডাকে গতকাল শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। এদিকে বাগেরহাটে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নীলফামারীতে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের ইটপাটকেলে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বগুড়া: সকাল আটটায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে রাখা পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে পিকেটাররা। তবে ককটেলটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাড়ির পেছনে পড়ে। সকাল পৌনে নয়টার দিকে শহরের গোদাপাড়ায় ইসলামী ছাত্রশিবির একটি মিছিল বের করে।
বগুড়া-সান্তাহার সড়কের চারমাথা থেকে এরুলিয়া পর্যন্ত সড়কটি টায়ারে আগুন জ্বেলে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার এই এলাকার শিবিরের কর্মী আবু রূহানী নিহত হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আমাদের শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, সকালে বগুড়ার শেরপুরে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি এলাকায় হরতাল শুরুর আগেই সংবাদপত্রের গাড়িসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে সংবাদপত্রের গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। হরতালকে কেন্দ্র করে শহরে আতঙ্ক থাকায় রিকশা ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলেনি। দূরপাল্লার কোনো বাসও ছেড়ে যায়নি।
বাগেরহাট: জেলার মংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বিকেলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন: রামপাল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ নাছের উদ্দিন, গৌরম্ভা ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, মংলার ছাত্রশিবিরের কর্মী আল আমিন, জামায়াতের কর্মী মোতাছছিন বিল্লাহ ও মোরেলগঞ্জের ছাত্রশিবিরের কর্মী রেজাউল করিম। অন্য একজনের নাম জানা যায়নি।
জেলা জামায়েতের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নীলফামারী: বিকেল চারটার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমেঞ্চদ জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
রাজশাহী: বিকেলে রাজশাহী নগরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মিছিল সমাবেশ করেন। মহানগর পুলিশের কমিশনার এস এম মনির-উজ-জামান জানান, ‘কোনো সহিংসতা ছাড়াই তাঁরা শুধু মিছিল করলে আমরা তাঁদের সুযোগ দেব না কেন? পরীক্ষামূলকভাবে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’পার্বত্য শান্তিচুক্তির অন্যতম মৌলিক বিষয় হচ্ছে ভূমিবিরোধ নিরসন। আর ভূমিবিরোধ নিরসনের জন্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন অপরিহার্য বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। বর্তমান সরকারও ওই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি বারবার ঘোষণা করে এসেছে।
গত বছরের ৩০ জুলাই আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ওই আইনের ১৩টি সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়। তখন জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে (গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত) এগুলো বিল আকারে উত্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। তা হয়নি। গত নভেম্বর মাসে সংসদের আরও একটি অধিবেশন বসে। সেখানেও বিষয়টি ওঠেনি। চলতি অধিবেশনেও ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কারণ, গত বছরের ওই আন্তমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভূমি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সরকারের মধ্য থেকেই সংশোধনীর বিষয়ে লিখিতভাবে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছে।
আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছে, দুই মন্ত্রণালয়ের সূত্র তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আপত্তি কী নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, আন্তমন্ত্রণালয় সভার প্রস্তাব অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। এ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বগুড়া: সকাল আটটায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে রাখা পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে পিকেটাররা। তবে ককটেলটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাড়ির পেছনে পড়ে। সকাল পৌনে নয়টার দিকে শহরের গোদাপাড়ায় ইসলামী ছাত্রশিবির একটি মিছিল বের করে।
বগুড়া-সান্তাহার সড়কের চারমাথা থেকে এরুলিয়া পর্যন্ত সড়কটি টায়ারে আগুন জ্বেলে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার এই এলাকার শিবিরের কর্মী আবু রূহানী নিহত হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আমাদের শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, সকালে বগুড়ার শেরপুরে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি এলাকায় হরতাল শুরুর আগেই সংবাদপত্রের গাড়িসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে সংবাদপত্রের গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। হরতালকে কেন্দ্র করে শহরে আতঙ্ক থাকায় রিকশা ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলেনি। দূরপাল্লার কোনো বাসও ছেড়ে যায়নি।
বাগেরহাট: জেলার মংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বিকেলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন: রামপাল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ নাছের উদ্দিন, গৌরম্ভা ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, মংলার ছাত্রশিবিরের কর্মী আল আমিন, জামায়াতের কর্মী মোতাছছিন বিল্লাহ ও মোরেলগঞ্জের ছাত্রশিবিরের কর্মী রেজাউল করিম। অন্য একজনের নাম জানা যায়নি।
জেলা জামায়েতের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নীলফামারী: বিকেল চারটার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমেঞ্চদ জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
রাজশাহী: বিকেলে রাজশাহী নগরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মিছিল সমাবেশ করেন। মহানগর পুলিশের কমিশনার এস এম মনির-উজ-জামান জানান, ‘কোনো সহিংসতা ছাড়াই তাঁরা শুধু মিছিল করলে আমরা তাঁদের সুযোগ দেব না কেন? পরীক্ষামূলকভাবে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’পার্বত্য শান্তিচুক্তির অন্যতম মৌলিক বিষয় হচ্ছে ভূমিবিরোধ নিরসন। আর ভূমিবিরোধ নিরসনের জন্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন অপরিহার্য বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। বর্তমান সরকারও ওই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি বারবার ঘোষণা করে এসেছে।
গত বছরের ৩০ জুলাই আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ওই আইনের ১৩টি সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়। তখন জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে (গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত) এগুলো বিল আকারে উত্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। তা হয়নি। গত নভেম্বর মাসে সংসদের আরও একটি অধিবেশন বসে। সেখানেও বিষয়টি ওঠেনি। চলতি অধিবেশনেও ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কারণ, গত বছরের ওই আন্তমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভূমি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সরকারের মধ্য থেকেই সংশোধনীর বিষয়ে লিখিতভাবে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছে।
আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছে, দুই মন্ত্রণালয়ের সূত্র তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আপত্তি কী নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, আন্তমন্ত্রণালয় সভার প্রস্তাব অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। এ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
No comments