হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট- আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার উদ্বেগজনক চিত্র
নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের
মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেছে, দেশটিতে
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
এই
রিপোর্টে বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কাজ সীমিত
করা, ত্রুটিপূর্ণ বিচার এবং মানবতাবিরোধী বিচারের নামে রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনের শাসনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের
সমর্থকদের ক্ষেত্রে নমনীয় নীতি এবং এর বিপরীতে, ভিন্নমতাবলম্বী বা বিরোধী
দল সমর্থকদের বেলায় কঠোর নীতি গ্রহণ করা হয় বলে রিপোর্টে অভিযোগ করা
হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার দুঃখজনক বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নিছক দলীয় রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। ফলে মানুষের বিভিন্ন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে চরমভাবে। সরকার বিচার বিভাগকে কৌশলে ব্যবহার করে বিরোধী দল দমনের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সভা সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার ফলে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে এই সহিংসতা আরো বাড়তে পারে।
ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড খানিকটা কমে গেলেও বেড়ে গেছে গুমের ঘটনা । এসব ঘটনার সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত থাকার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। গার্মেন্টসশ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম এবং বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনার এখন পর্যন্ত কূলকিনারা হয়নি। অব্যাহতভাবে বেড়ে গেছে খুনের ঘটনা। এমনকি দেশজুড়ে আলোড়ন জাগানো খুনের ঘটনারও সুরাহা হচ্ছে না। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের শনাক্ত করতে না পারা এর বড় প্রমাণ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের তদন্ত রিপোর্টকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ, মাওলানা সাঈদীর পক্ষের একজন সাক্ষীকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গুম করা এবং ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের বিতর্কিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর এই বিচারের পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আরো স্পষ্ট হয়ে গেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই বিচারকার্যক্রম সম্পর্কে তাদের রিপোর্টে বলেছে, এ ক্ষেত্রে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের উপর্যুপরি আহ্বানকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। এ ক্ষেত্রে আইনের শাসনের চেয়ে নির্বাচনে জেতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। তদুপরি, অপরাধের বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানও করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল গভীর সমস্যাযুক্ত।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও আইনের শাসনের যে উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে, অবিলম্বে তা থেকে উত্তরণে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিচারবহির্ভূত সব হত্যা ও গুম। বিচারের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের সঙ্কীর্ণ অপচেষ্টা দেশকে ভয়াবহ সঙ্ঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির মূল্যায়নকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার দুঃখজনক বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নিছক দলীয় রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। ফলে মানুষের বিভিন্ন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে চরমভাবে। সরকার বিচার বিভাগকে কৌশলে ব্যবহার করে বিরোধী দল দমনের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সভা সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার ফলে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে এই সহিংসতা আরো বাড়তে পারে।
ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড খানিকটা কমে গেলেও বেড়ে গেছে গুমের ঘটনা । এসব ঘটনার সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত থাকার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। গার্মেন্টসশ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম এবং বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনার এখন পর্যন্ত কূলকিনারা হয়নি। অব্যাহতভাবে বেড়ে গেছে খুনের ঘটনা। এমনকি দেশজুড়ে আলোড়ন জাগানো খুনের ঘটনারও সুরাহা হচ্ছে না। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের শনাক্ত করতে না পারা এর বড় প্রমাণ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের তদন্ত রিপোর্টকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ, মাওলানা সাঈদীর পক্ষের একজন সাক্ষীকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গুম করা এবং ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের বিতর্কিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর এই বিচারের পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আরো স্পষ্ট হয়ে গেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই বিচারকার্যক্রম সম্পর্কে তাদের রিপোর্টে বলেছে, এ ক্ষেত্রে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের উপর্যুপরি আহ্বানকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। এ ক্ষেত্রে আইনের শাসনের চেয়ে নির্বাচনে জেতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। তদুপরি, অপরাধের বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানও করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল গভীর সমস্যাযুক্ত।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও আইনের শাসনের যে উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে, অবিলম্বে তা থেকে উত্তরণে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিচারবহির্ভূত সব হত্যা ও গুম। বিচারের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের সঙ্কীর্ণ অপচেষ্টা দেশকে ভয়াবহ সঙ্ঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির মূল্যায়নকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
No comments