পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন- সংশোধনে সরকারের মধ্যেই আপত্তি by অরুণ কর্মকার
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি
কমিশন আইন, ২০০১ সংশোধনের বিষয়ে সরকারের মধ্যেই প্রবল আপত্তি রয়েছে। এ
কারণে সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করার ছয় মাস পরও তা বিল আকারে সংসদে উঠছে
না। কখনো উঠবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
পার্বত্য
চুক্তির অন্যতম মৌলিক বিষয় হচ্ছে ভূমিবিরোধ নিরসন। আর ভূমিবিরোধ নিরসনের
জন্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন অপরিহার্য বলেই সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিরা মনে করেন। বর্তমান সরকারও ওই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের
প্রতিশ্রুতি বারবার ঘোষণা করে এসেছে।
গত বছরের ৩০ জুলাই আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ওই আইনের ১৩টি সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়। তখন জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে (গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত) এগুলো বিল আকারে উত্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। তা হয়নি। গত নভেম্বর মাসে সংসদের আরও একটি অধিবেশন বসে। সেখানেও বিষয়টি ওঠেনি। চলতি অধিবেশনেও ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কারণ, গত বছরের ওই আন্তমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভূমি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সরকারের মধ্য থেকেই সংশোধনীর বিষয়ে লিখিতভাবে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছে।
আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছে, দুই মন্ত্রণালয়ের সূত্র তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আপত্তি কী নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, আন্তমন্ত্রণালয় সভার প্রস্তাব অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। এ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
পাহাড়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ওই অঞ্চলের ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে সংসদ একটি আইন পাস করে। আইন পাসের আগে এ বিষয়ে জেএসএসের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। জেএসএস ওই আইন ও পার্বত্য চুক্তির মধ্যে ২৩টি ‘অসামঞ্জস্য’ বের করে সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় এবং এগুলোর সংশোধন ছাড়া ভূমি কমিশন কার্যকর না করার দাবি তোলা হয়।
২০০২ সাল থেকে প্রতিটি সরকার জেএসএসের প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু কখনোই বিষয়টি চূড়ান্ত করে আইনটি পাস করা হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর হতে পারেনি। ওই অঞ্চলের মানুষের প্রধান সমস্যা ও পার্বত্য চুক্তির অন্যতম মৌলিক বিষয়—ভূমিবিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি।
সর্বশেষ গত বছরের জুন মাসে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি ওই ১৩টি সংশোধনী প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, যা পরে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় অনুমোদিত হয়। কিন্তু সেখানেই অগ্রগতির শেষ।
সরকারের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন পর্যায় থেকে বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যেই পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা অব্যাহতভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়া পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন কেবল কথার কথাই হয়ে থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মনে করে।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক গৌতম দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম হলে চুক্তি বাস্তবায়িত হবে কী করে? চুক্তির একটা প্রধান বিষয়ই তো ভূমি। যে ১৩টি সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই।’
গত বছরের ৩০ জুলাই আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ওই আইনের ১৩টি সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়। তখন জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে (গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত) এগুলো বিল আকারে উত্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। তা হয়নি। গত নভেম্বর মাসে সংসদের আরও একটি অধিবেশন বসে। সেখানেও বিষয়টি ওঠেনি। চলতি অধিবেশনেও ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কারণ, গত বছরের ওই আন্তমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভূমি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সরকারের মধ্য থেকেই সংশোধনীর বিষয়ে লিখিতভাবে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছে।
আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছে, দুই মন্ত্রণালয়ের সূত্র তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আপত্তি কী নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, আন্তমন্ত্রণালয় সভার প্রস্তাব অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। এ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
পাহাড়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ওই অঞ্চলের ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে সংসদ একটি আইন পাস করে। আইন পাসের আগে এ বিষয়ে জেএসএসের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। জেএসএস ওই আইন ও পার্বত্য চুক্তির মধ্যে ২৩টি ‘অসামঞ্জস্য’ বের করে সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় এবং এগুলোর সংশোধন ছাড়া ভূমি কমিশন কার্যকর না করার দাবি তোলা হয়।
২০০২ সাল থেকে প্রতিটি সরকার জেএসএসের প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু কখনোই বিষয়টি চূড়ান্ত করে আইনটি পাস করা হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর হতে পারেনি। ওই অঞ্চলের মানুষের প্রধান সমস্যা ও পার্বত্য চুক্তির অন্যতম মৌলিক বিষয়—ভূমিবিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি।
সর্বশেষ গত বছরের জুন মাসে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি ওই ১৩টি সংশোধনী প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, যা পরে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় অনুমোদিত হয়। কিন্তু সেখানেই অগ্রগতির শেষ।
সরকারের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন পর্যায় থেকে বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যেই পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা অব্যাহতভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়া পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন কেবল কথার কথাই হয়ে থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মনে করে।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক গৌতম দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম হলে চুক্তি বাস্তবায়িত হবে কী করে? চুক্তির একটা প্রধান বিষয়ই তো ভূমি। যে ১৩টি সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই।’
No comments