স্বরূপে বদি, এবার লাঞ্ছিত বীর বাহাদুর by আব্দুল কুদ্দুস
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংসদ বীর বাহাদুরকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করে বেকায়দায় পড়েছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বিতর্কিত সাংসদ আবদুর রহমান ওরফে বদি।
দলের নেতারা বলেন, বদ মেজাজ আর নানা অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এখন জনবিচ্ছিন্ন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁর হাতে মারধর ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাজিস্ট্রেট, শিক্ষক, আইনজীবী, পুলিশ, ব্যাংক-কর্মকর্তাসহ অনেকে।
সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পরিচালনা করতে গিয়ে সাংসদ বদির লাঞ্ছনার শিকার হলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা সাংসদ বীর বাহাদুর। তবে এ ঘটনায় সাংসদ বদি চাপের মুখে পড়েন। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়েও তিনি বেশ বেকায়দায়। অনেকে বলছেন, এবার সাংসদ বদির ‘আম গেল-ছালাও গেল অবস্থা’। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২৯ জানুয়ারি বিকেল তিনটায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন চলাকালে সাংসদ বদি দলবল নিয়ে মিলনায়তনে গিয়ে সাংসদ বীর বাহাদুরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এখানে সম্মেলন করার তুই কে? তুই যেমন এমপি-আমিও এমপি, টেকনাফের সম্মেলন করতে কে তোকে পাঠিয়েছে?’ একপর্যায়ে সাংসদ বদি চেয়ার নিয়ে বীর বাহাদুরের ওপর হামলা
করেন। বীর বাহাদুর ঘটনার কথা সঙ্গে সঙ্গে দলের শীর্ষ মহলকে অবগত করেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভোটাভুটিতে নেতা নির্বাচনের পক্ষে বীর বাহাদুর অটল থাকায় সাংসদ বদি ক্ষুব্ধ হন, সবার সামনে বীর বাহাদুরকে মারধর করেন।
দলের নেতারা বলেন, সাংসদ বদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান। এই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্পাদক নির্বাচিত হন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল বশর। আর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এই আসনের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সাংসদ বদির মাথা সব সময় খারাপ বা গরম থাকে। কখন কার সঙ্গে কী ব্যবহার করতে হয়, তাঁর জানা থাকে না। সামনে যাকে পান, মারতে সাধ জাগে।’ উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, দূরদর্শিতার অভাব আর বদ মেজাজের কারণে সাংসদ বদি জনবিচ্ছিন্ন নেতা হয়ে পড়েছেন। বীর বাহাদুরের ওপর হাত তুলে তিনি এখন মহাবিপদে রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংসদ বদি বলেন, ‘বীর বাহাদুরকে আমি মারিনি। সন্মেলনের স্থান পরিবর্তন নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে ক্ষমা চেয়েছি। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে আমি নুরুল বশরকে জিতিয়েছি। দলের কতিপয় নেতার কাছে আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেও আমার সঙ্গে জনগণ আছেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ বলে দেবে, এই আসনে সাংসদ বদির বিকল্প নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমি কাউকে মারিনি। সবই অপপ্রচার।’
টেকনাফে মারধর প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হননি সাংসদ বীর বাহাদুর। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম। বীর বাহাদুরের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সাংসদ বদি পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পর তার অবসান হয়েছে। বীর বাহাদুর তাঁঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন এসব নিয়ে লেখালেখি না করাই ভালো।’
সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পরিচালনা করতে গিয়ে সাংসদ বদির লাঞ্ছনার শিকার হলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা সাংসদ বীর বাহাদুর। তবে এ ঘটনায় সাংসদ বদি চাপের মুখে পড়েন। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়েও তিনি বেশ বেকায়দায়। অনেকে বলছেন, এবার সাংসদ বদির ‘আম গেল-ছালাও গেল অবস্থা’। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২৯ জানুয়ারি বিকেল তিনটায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন চলাকালে সাংসদ বদি দলবল নিয়ে মিলনায়তনে গিয়ে সাংসদ বীর বাহাদুরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এখানে সম্মেলন করার তুই কে? তুই যেমন এমপি-আমিও এমপি, টেকনাফের সম্মেলন করতে কে তোকে পাঠিয়েছে?’ একপর্যায়ে সাংসদ বদি চেয়ার নিয়ে বীর বাহাদুরের ওপর হামলা
করেন। বীর বাহাদুর ঘটনার কথা সঙ্গে সঙ্গে দলের শীর্ষ মহলকে অবগত করেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভোটাভুটিতে নেতা নির্বাচনের পক্ষে বীর বাহাদুর অটল থাকায় সাংসদ বদি ক্ষুব্ধ হন, সবার সামনে বীর বাহাদুরকে মারধর করেন।
দলের নেতারা বলেন, সাংসদ বদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান। এই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্পাদক নির্বাচিত হন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল বশর। আর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এই আসনের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সাংসদ বদির মাথা সব সময় খারাপ বা গরম থাকে। কখন কার সঙ্গে কী ব্যবহার করতে হয়, তাঁর জানা থাকে না। সামনে যাকে পান, মারতে সাধ জাগে।’ উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, দূরদর্শিতার অভাব আর বদ মেজাজের কারণে সাংসদ বদি জনবিচ্ছিন্ন নেতা হয়ে পড়েছেন। বীর বাহাদুরের ওপর হাত তুলে তিনি এখন মহাবিপদে রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংসদ বদি বলেন, ‘বীর বাহাদুরকে আমি মারিনি। সন্মেলনের স্থান পরিবর্তন নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে ক্ষমা চেয়েছি। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে আমি নুরুল বশরকে জিতিয়েছি। দলের কতিপয় নেতার কাছে আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেও আমার সঙ্গে জনগণ আছেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ বলে দেবে, এই আসনে সাংসদ বদির বিকল্প নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমি কাউকে মারিনি। সবই অপপ্রচার।’
টেকনাফে মারধর প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হননি সাংসদ বীর বাহাদুর। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম। বীর বাহাদুরের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সাংসদ বদি পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পর তার অবসান হয়েছে। বীর বাহাদুর তাঁঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন এসব নিয়ে লেখালেখি না করাই ভালো।’
No comments