নতুন কৌশলে জামায়াত-শিবির by একরামুল হক
দলবদ্ধভাবে নয়, একজন-দুজন করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম নগরের নির্দিষ্ট এলাকায় জড়ো হন তাঁরা। এরপর দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বার্তা পেয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট মোড় বা রাস্তায় গিয়ে ঝটিকা মিছিল শুরু করেন। দ্রুতগতির মিছিল থেকে চালান ভাঙচুর।
পুলিশ এলেই মিশে যান পথচারীদের ভিড়ে।
সাম্প্রতিক কালে এভাবেই চলছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর এমন চোরাগোপ্তা কৌশলের কারণে তাঁদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
নগর পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা শিবিরের কর্মীদের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার কর্মসূচির দিন সীতাকুণ্ড, বোয়ালখালী, পশ্চিম পটিয়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নগরে জড়ো হন। একইভাবে শহরের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন মফস্বলের কর্মসূচিতে। ফলে তাঁদের শনাক্ত করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
নগর পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মিছিলে মারমুখী আচরণ করেন এমন নেতা-কর্মীদের ভিডিও ফুটেজ ধরে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের অনেকের নামধাম ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন হামলার ঘটনায় তাঁরা বারবার অংশ নিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছে। তারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়। তাই আমরাও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। মিছিল-সমাবেশ ও চোরাগোপ্তা হামলা যেখানে হচ্ছে, সেখানেই তা ভিডিও করা হচ্ছে।’
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচার চলছে। এই বিচার না হওয়ার ব্যাপারে আইনগতভাবে সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সহিংস পথ বেছে নিয়েছেন। এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক এক নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। যেকোনো দিন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায় ঘোষণা হতে পারে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সম্ভাব্য এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারেও পুলিশ প্রশাসন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
কর্মসূচি সম্পর্কে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘সরকার জামায়াতে ইসলামীর নিরপরাধ নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। বিচারের নামে প্রহসন চালাচ্ছে। এ জন্য দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমে প্রতিবাদ করছে। প্রহসনের বিচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত-শিবির কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।’
চট্টগ্রামে গাড়ি ভাঙচুর ও হামলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘জামায়াত-শিবির কোনো নৈরাজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এসব আওয়ামী লীগের কাজ। তারা ধ্বংসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ওরা আমাদের ওপর দায় চাপাতে চায়।’
আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর মহানগরের আমির ও সাংসদ শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কী কর্মসূচি দেবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। কর্মসূচি দিলে সবাই তা জানবে।’
সাম্প্রতিক কালে এভাবেই চলছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর এমন চোরাগোপ্তা কৌশলের কারণে তাঁদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
নগর পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা শিবিরের কর্মীদের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার কর্মসূচির দিন সীতাকুণ্ড, বোয়ালখালী, পশ্চিম পটিয়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নগরে জড়ো হন। একইভাবে শহরের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন মফস্বলের কর্মসূচিতে। ফলে তাঁদের শনাক্ত করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
নগর পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মিছিলে মারমুখী আচরণ করেন এমন নেতা-কর্মীদের ভিডিও ফুটেজ ধরে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের অনেকের নামধাম ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন হামলার ঘটনায় তাঁরা বারবার অংশ নিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছে। তারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়। তাই আমরাও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। মিছিল-সমাবেশ ও চোরাগোপ্তা হামলা যেখানে হচ্ছে, সেখানেই তা ভিডিও করা হচ্ছে।’
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচার চলছে। এই বিচার না হওয়ার ব্যাপারে আইনগতভাবে সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সহিংস পথ বেছে নিয়েছেন। এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক এক নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। যেকোনো দিন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায় ঘোষণা হতে পারে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সম্ভাব্য এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারেও পুলিশ প্রশাসন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
কর্মসূচি সম্পর্কে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘সরকার জামায়াতে ইসলামীর নিরপরাধ নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। বিচারের নামে প্রহসন চালাচ্ছে। এ জন্য দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমে প্রতিবাদ করছে। প্রহসনের বিচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত-শিবির কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।’
চট্টগ্রামে গাড়ি ভাঙচুর ও হামলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘জামায়াত-শিবির কোনো নৈরাজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এসব আওয়ামী লীগের কাজ। তারা ধ্বংসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ওরা আমাদের ওপর দায় চাপাতে চায়।’
আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর মহানগরের আমির ও সাংসদ শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কী কর্মসূচি দেবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। কর্মসূচি দিলে সবাই তা জানবে।’
No comments