কেমন করে গেলাম- দুর্বিষহ!
কনকনে শীতের রাত। রাত ভোর তিনটা। চারদিকে পাহাড়। সাদা বরফের চাদরে ঢাকা। আমরা ১২ জন ঠান্ডায় কাঁপছি। সেই মুহূর্তে ঠিক কোথায় ছিলাম, জানি না। অনুমান করে বলতে পারি, ইরান ও তুরস্কের মধ্যবর্তী কোনো জায়গায়।
আমরা ১১ জন দুবাই এবং একজন বাংলাদেশ থেকে রওনা দিয়েছিলাম গ্রিসে। প্রথমে দুবাই থেকে ওমান। ওখান থেকে ছোট এক স্পিডবোট ২২ জনকে নিয়ে রওনা হয় ইরানের পথে। ১২ ঘণ্টার সমুদ্রপথে বোট স্রোতের সঙ্গে ধাক্কা খেতে খেতে, কখনো কখনো ১০-১৫ হাত ওপরে উঠে তীরে এসে ভেড়ে। ততক্ষণে আমাদের সবার হাড়ের প্রতিটি জোড়া যেন ব্যথায় ভরে গেছে।
ইরানে আমাদের রাখা হয় এক সমুদ্র তীরবর্তী গহিন জঙ্গলে। সেখানে হেঁটে যাই প্রায় সাত-আট ঘণ্টায়। খেয়েছিলাম সেই ৩০ ঘণ্টা আগে। দালাল বলেছিল, জঙ্গলের ভেতরে খাবার দেবে। কিন্তু সেটা মিলেছে ৪০ ঘণ্টা পর, তা-ও অর্ধেক রুটি। এর মধ্যে শুধু এক লিটার পানিই ছিল আমাদের খাদ্য। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শোকর যে আমরা এখনো বেঁচে আছি। এরপর আমাদের আরও ভয়ংকর অবস্থা হয়। তবে এটা ঠিক, আমি এখন গ্রিসে আছি। সবাই ভালো থাকুন।
আসাদুজ্জামান, এথেন্স, গ্রিস, imtitu007@yahoo.com
ইরানে আমাদের রাখা হয় এক সমুদ্র তীরবর্তী গহিন জঙ্গলে। সেখানে হেঁটে যাই প্রায় সাত-আট ঘণ্টায়। খেয়েছিলাম সেই ৩০ ঘণ্টা আগে। দালাল বলেছিল, জঙ্গলের ভেতরে খাবার দেবে। কিন্তু সেটা মিলেছে ৪০ ঘণ্টা পর, তা-ও অর্ধেক রুটি। এর মধ্যে শুধু এক লিটার পানিই ছিল আমাদের খাদ্য। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শোকর যে আমরা এখনো বেঁচে আছি। এরপর আমাদের আরও ভয়ংকর অবস্থা হয়। তবে এটা ঠিক, আমি এখন গ্রিসে আছি। সবাই ভালো থাকুন।
আসাদুজ্জামান, এথেন্স, গ্রিস, imtitu007@yahoo.com
No comments