অভ্যন্তরীণ বিষয় বনাম আন্তর্জাতিক উদ্বেগ by আবুল ফারাহ মাসুম
আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের
মধ্যে নিরঙ্কুশ থাকে। আবার বিশ্বের একটি অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক
বিধিব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিশ্ব আইনও মেনে চলতে হয় দেশটিকে।
এ জন্য একটি
দেশ স্বাধীন কি না সেটি নিশ্চিত হতে হলে দেশটির গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি রয়েছে কি না সেটিও দেখতে হয়। দেশটিকে হতে হয় জাতিসঙ্ঘ ও
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। এ কারণে কোনো দেশের সরকার আন্তর্জাতিক
আইন বা বিধিব্যবস্থার পরিপন্থী কিছু করলে আন্তর্জাতিক ফোরাম ও কূটনৈতিক
অংশীদারদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয়। বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের
সরকার ইচ্ছা করলেই তার দেশের নাগরিকদের কারণে-অকারণে হত্যা করতে পারে না ।
যেকোনো দেশেই মানবাধিকার হরণের কোনো কিছু ঘটলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
মানবাধিকার সংস্থা ও ফোরাম সোচ্চার হয়। এমনকি একটি দেশের নিজস্ব সার্বভৌম
এলাকায় মানবতাবিরোধী কোনো অপরাধ করলে তার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত
(আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। একাধিক সরকারপ্রধানের
বিরুদ্ধে এ ধরনের পরোয়ানা জারির দৃষ্টান্তও রয়েছে। এ বিষয়টি নতুন করে
আলোচনায় এসেছে নিরপে আইনবিদ ও মানবাধিকার কর্মীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন
ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্টস ইউনিয়নের (আইজেইউ) বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধ
আদালতের (আইসিটি) বিচার নিয়ে দেয়া এক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। ৩২টি
দেশের আইনবিদ ও মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে গঠিত আইজেইউ গত ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের আইসিটির কার্যক্রম পর্যবেণ করতে ১৪ সদস্যের একটি দল পাঠায়।
তারা ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছে পাঁচ দিন অবস্থানকালে আইনমন্ত্রী,
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি, প্রধান বিরোধী দলের
নেতা, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি, তদন্তকারী কমিটির এক সদস্য ও আসামিপরে
আইনজীবীদের সাথে সাাৎ করেন। তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর
বিচারকার্যক্রমও প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় আইজেইউর প্রতিনিধিদলের কার্যক্রম
নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্কও সৃষ্টি করা হয়। এ প্রসঙ্গে সংস্থার বক্তব্যটি বেশ
তাৎপর্যপূর্ণ।
আইজেইউ বলেছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অন্য যেকোনো দেশের মতোই অলঙ্ঘনীয়। তবে সার্বভৌমত্বের সমসাময়িক ধারণায় বলা হয়েছে, কোনো রাষ্ট্র তার মতার অপব্যবহার এবং তাদের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করার েেত্র সীমাহীন কর্তৃত্বের অধিকারী নয়। এ কারণে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক না কেন, বিশ্বসম্প্রদায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবেই। এ কারণেই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিপন্থী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আইসিটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং তা আন্তর্জাতিক মানদ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্ব মানবাধিকার সনদেও একই অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কোনো দেশের সরকার এর ব্যত্যয় ঘটালে তার প্রতিবাদ দেশের ভেতরে-বাইরে হতেই পারে। এ ধরনের প্রতিবাদ যৌক্তিকও হতে পারে আবার হতে পারে অযৌক্তিকও। আর এর যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার নিতে পারে পদক্ষেপ। কিন্তু ‘কথা বলা যাবে না’ বলে মুখ বন্ধ করতে চাইলে সেটাকে ফ্যাসিবাদী কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণভাবে রাস্তায় কোনো খুনের ঘটনার পর খুনিরা পালিয়ে যেতে পারে। পুলিশ এ ধরনের ঘটনায় সন্দেহের কারণে অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আটক করতে পারে। নির্দোষ কাউকে গ্রেফতার করা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে যে কেউ তার এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকার কথা বলতেই পারেন। এতে এ কথা বলা যাবে না যে, খুনের মামলার বিচারে বাধা সৃষ্টি করার জন্য এটি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে এ রকম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে। এই অভিযোগ অবশ্যই বিবেচনা করার দাবি রাখে। এ প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্টস ইউনিয়ন আইসিটির ব্যাপারে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা নিরাসক্তভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
আইজেইউ তাদের প্রতিবেদনে নিরপে বিচারকাজ নিশ্চিত করার জন্য ১২টি বিষয় উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে মামলাকে অবশ্যই রাজনীতিমুক্ত হতে হবে এবং কেবল আইনগত ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আইসিটির অপরাধগুলোর সুস্পষ্ট সংজ্ঞা থাকতে হবে, নিরপেতা নিশ্চিত করতে নতুন করে বিচারক নিয়োগ করতে হবে, আইনবিদদের নিয়ে গড়া একটি নিরপে কমিটির মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ করতে হবে। আইজেইউ আরো বলেছে, অনুপস্থিত বিচারকের সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, মামলার অন্য বিচারক এবং কৌঁসুলিদের সরিয়ে তাদের স্থলে নতুন বিচারক ও কৌঁসুলি নিয়োগ করতে হবে আর একই সাথে যেসব কর্মকর্তা তাদের কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেছেন তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আইজেইউ আরো বলেছে, দেশীয় আইনে অন্যান্য আসামিকে যেসব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়, এই মামলার অভিযুক্তদেরও সেইসব সুযোগ দিতে হবে আর মতার পৃথকীকরণের নীতির ভিত্তিতে বিচার বিভাগকে অবশ্যই রাজনৈতিক চাপমুক্ত করতে হবে। সেই সাথে যারা বিচার বিভাগকে চাপে রেখেছে, তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আইজেইউ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের আলোকে বিচারকাজ করা এবং বিচারকার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পর্যবেকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।
আইজেইউর পর্যবেক্ষণ অনুসারে আইসিটির চলমান বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে না। এতে বিচারক, কৌঁসুলি, তদন্ত কমিটিÑ সবকিছুই বর্তমান সরকার নিয়োগ করেছে এবং আসামিরা সরকারবিরোধী দু’টি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য। এমন এক অবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ যদি বিচারের বিষয়টি আইসিসির কাছে না পাঠায় কিংবা নিরপে বিচারকাজ নিশ্চিত না করে, তবে জাতিসঙ্ঘ তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে। আর ওই কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি রোম সংবিধির ধারা ১৩(খ) বলে আইসিসির কৌঁসুলির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আইজেইউর মতে, বাংলাদেশ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যাপারে সৎ থাকে, তবে তার উচিত জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিল অনুমোদিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা।
আইজেইউর এই বক্তব্য ও পর্যবেক্ষণ এর আগে একই বিষয়ে দেয়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এবং অন্যান্য সংস্থার বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব বক্তব্যকে আমলে না নিয়ে একতরফা কিছু করতে গেলে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা তৈরি করতে পারে সরকারের জন্য।
আইজেইউ বলেছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অন্য যেকোনো দেশের মতোই অলঙ্ঘনীয়। তবে সার্বভৌমত্বের সমসাময়িক ধারণায় বলা হয়েছে, কোনো রাষ্ট্র তার মতার অপব্যবহার এবং তাদের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করার েেত্র সীমাহীন কর্তৃত্বের অধিকারী নয়। এ কারণে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক না কেন, বিশ্বসম্প্রদায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবেই। এ কারণেই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিপন্থী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আইসিটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং তা আন্তর্জাতিক মানদ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্ব মানবাধিকার সনদেও একই অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কোনো দেশের সরকার এর ব্যত্যয় ঘটালে তার প্রতিবাদ দেশের ভেতরে-বাইরে হতেই পারে। এ ধরনের প্রতিবাদ যৌক্তিকও হতে পারে আবার হতে পারে অযৌক্তিকও। আর এর যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার নিতে পারে পদক্ষেপ। কিন্তু ‘কথা বলা যাবে না’ বলে মুখ বন্ধ করতে চাইলে সেটাকে ফ্যাসিবাদী কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণভাবে রাস্তায় কোনো খুনের ঘটনার পর খুনিরা পালিয়ে যেতে পারে। পুলিশ এ ধরনের ঘটনায় সন্দেহের কারণে অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আটক করতে পারে। নির্দোষ কাউকে গ্রেফতার করা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে যে কেউ তার এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকার কথা বলতেই পারেন। এতে এ কথা বলা যাবে না যে, খুনের মামলার বিচারে বাধা সৃষ্টি করার জন্য এটি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে এ রকম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে। এই অভিযোগ অবশ্যই বিবেচনা করার দাবি রাখে। এ প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্টস ইউনিয়ন আইসিটির ব্যাপারে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা নিরাসক্তভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
আইজেইউ তাদের প্রতিবেদনে নিরপে বিচারকাজ নিশ্চিত করার জন্য ১২টি বিষয় উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে মামলাকে অবশ্যই রাজনীতিমুক্ত হতে হবে এবং কেবল আইনগত ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আইসিটির অপরাধগুলোর সুস্পষ্ট সংজ্ঞা থাকতে হবে, নিরপেতা নিশ্চিত করতে নতুন করে বিচারক নিয়োগ করতে হবে, আইনবিদদের নিয়ে গড়া একটি নিরপে কমিটির মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ করতে হবে। আইজেইউ আরো বলেছে, অনুপস্থিত বিচারকের সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, মামলার অন্য বিচারক এবং কৌঁসুলিদের সরিয়ে তাদের স্থলে নতুন বিচারক ও কৌঁসুলি নিয়োগ করতে হবে আর একই সাথে যেসব কর্মকর্তা তাদের কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেছেন তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আইজেইউ আরো বলেছে, দেশীয় আইনে অন্যান্য আসামিকে যেসব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়, এই মামলার অভিযুক্তদেরও সেইসব সুযোগ দিতে হবে আর মতার পৃথকীকরণের নীতির ভিত্তিতে বিচার বিভাগকে অবশ্যই রাজনৈতিক চাপমুক্ত করতে হবে। সেই সাথে যারা বিচার বিভাগকে চাপে রেখেছে, তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আইজেইউ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের আলোকে বিচারকাজ করা এবং বিচারকার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পর্যবেকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।
আইজেইউর পর্যবেক্ষণ অনুসারে আইসিটির চলমান বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে না। এতে বিচারক, কৌঁসুলি, তদন্ত কমিটিÑ সবকিছুই বর্তমান সরকার নিয়োগ করেছে এবং আসামিরা সরকারবিরোধী দু’টি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য। এমন এক অবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ যদি বিচারের বিষয়টি আইসিসির কাছে না পাঠায় কিংবা নিরপে বিচারকাজ নিশ্চিত না করে, তবে জাতিসঙ্ঘ তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে। আর ওই কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি রোম সংবিধির ধারা ১৩(খ) বলে আইসিসির কৌঁসুলির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আইজেইউর মতে, বাংলাদেশ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যাপারে সৎ থাকে, তবে তার উচিত জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিল অনুমোদিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা।
আইজেইউর এই বক্তব্য ও পর্যবেক্ষণ এর আগে একই বিষয়ে দেয়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এবং অন্যান্য সংস্থার বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব বক্তব্যকে আমলে না নিয়ে একতরফা কিছু করতে গেলে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা তৈরি করতে পারে সরকারের জন্য।
No comments