শিডিউল বিপর্যয়ে বিমানের লাখ লাখ ডলার গচ্চা- সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একগুঁয়েমি by মনির হোসেন
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ‘একগুঁয়েমি’ সিদ্ধান্তের কারণে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বেশ কিছু শিডিউল ফাইট বাতিল করতে হয়েছে।
আর
এই ফাইটগুলো বাতিল হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে লাখ লাখ ডলার লোকসান গুনতে হয়েছে।
শুধু তাই নয়, দেশ-বিদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ফাইট শেষ মুহূর্তে বাতিল
হওয়ায় অনেকেই ব্যবসায়িক ক্ষতি ছাড়াও বিমানবন্দরে গিয়ে চরম দুর্ভোগের
শিকার হচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বোয়িং-৭৩৭) মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ার আগেই সেটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ১৫ মিনিটের মধ্যে আবার সেটি সচল করা হলেও ওড়ার কিয়ারেন্স দেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। যার কারণে বিমানকে ওই ফাইট বাতিল করতে হয়েছে। আর ফাইট বাতিল করায় বিমানের ১৬২ যাত্রী তাৎক্ষণিক বিমানবন্দরে হইচই শুরু করে দেন। পরে কর্মকর্তারা যাত্রীদের বুঝিয়ে হোটেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে ফিরতি ফাইটে ১৬২ যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে সেখানেও যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে এসে জানতে পারেন ফাইট বাতিলের কথা। পরে ঢাকাগামী যাত্রীদের মালয়েশিয়ার হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। শুধু যে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি রানওয়ে সংস্কারকাজের দোহাই দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতের ফাইট বাতিল করেছে তা কিন্তু নয়, এর আগেও বেশ কিছু ফাইটের সময় অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি আকাশে ওড়ার অনুমতি দিতে অপারগতা জানায়। যদিও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি দুটোই সরকারের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফাইট অপারেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ১৬২ যাত্রী নিয়ে বিমানের (বিজি-০৮৬) উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে। ঠিক ওই মুহূর্তে ককপিটের সিগন্যালে ইমারেজন্সি লাইট জ্বলে ওঠে। বিষয়টি অপারেশনের নজরে এলে সেটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লেগে যায়। এতে রাত ১১টা বেজে যায়। কিন্তু সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি রাত ১১টা বেজে যাওয়ায় ওই ফাইট আর ওড়ার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষকে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে আক্ষেপ করে বলেন, কুয়ালালামপুরগামী ফাইটটি নির্ধারিত সময়ে ওড়ার অনুমতি না পাওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষকে ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের ৩২৪ জন যাত্রীকে হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করতে হয়। এতে বিমানকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কুয়ালালামপুরে একজন যাত্রীর জন্য ১২০ রিংগিটে হোটেল বুকিং দিতে হয়েছে। একইভাবে ঢাকায় একই পরিমাণ টাকা খরচ করে যাত্রীদের হোটেলে তুলতে হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, রানওয়ে সংস্কারকাজের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৮টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই দোহাই দিয়ে কুয়ালালামপুরগামী বিমানকে উড্ডয়নের অনুমতি দেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন। তার মতে, এই ১০-২০ মিনিট সময় অতিক্রম হওয়ার জন্য ফাইট বাতিল করাটা মোটেও ঠিক হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যায়। এতে বিমান লাখ লাখ ডলার লোকসান থেকে বাঁচতে পারত। বিমান আর সিভিল অ্যাভিয়েশন দুটোতো একই প্রতিষ্ঠান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে ফাইটটি ওড়ার অনুমতি দিলে তেমন অসুবিধা হতো না। তিনি আরো বলেন, এর আগেও বিমানের বোয়িং ৭৭৭ গন্তব্যে রওনা দেয়ার আগেই সিভিল অ্যাভিয়েশনের গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় একইভাবে একাধিক ফাইট বাতিল হয়েছে।
গত রাতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। রাতে বিমানের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ফাইট বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যাত্রীদের যেমন দুর্ভোগ হয়েছে তেমনি বিমানেরও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে কুয়ালালামপুরগামী যাত্রী ঢাকার বনানীর বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, এমনিতেই বিমানে টিকিট কেটে মালয়েশিয়া যাওয়া অনেকটা ঝুঁকি। তারপর বিমানের ফাইট শিডিউল ঠিক না থাকলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে যায়। মালয়েশিয়া যাওয়া ঝুঁকি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈধভাবে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পরও বিমানবন্দর থেকে দেখছি প্রায় যাত্রীদের ফিরতি ফাইটে ফেরত পাঠাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বোয়িং-৭৩৭) মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ার আগেই সেটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ১৫ মিনিটের মধ্যে আবার সেটি সচল করা হলেও ওড়ার কিয়ারেন্স দেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। যার কারণে বিমানকে ওই ফাইট বাতিল করতে হয়েছে। আর ফাইট বাতিল করায় বিমানের ১৬২ যাত্রী তাৎক্ষণিক বিমানবন্দরে হইচই শুরু করে দেন। পরে কর্মকর্তারা যাত্রীদের বুঝিয়ে হোটেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে ফিরতি ফাইটে ১৬২ যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে সেখানেও যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে এসে জানতে পারেন ফাইট বাতিলের কথা। পরে ঢাকাগামী যাত্রীদের মালয়েশিয়ার হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। শুধু যে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি রানওয়ে সংস্কারকাজের দোহাই দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতের ফাইট বাতিল করেছে তা কিন্তু নয়, এর আগেও বেশ কিছু ফাইটের সময় অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি আকাশে ওড়ার অনুমতি দিতে অপারগতা জানায়। যদিও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি দুটোই সরকারের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফাইট অপারেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ১৬২ যাত্রী নিয়ে বিমানের (বিজি-০৮৬) উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে। ঠিক ওই মুহূর্তে ককপিটের সিগন্যালে ইমারেজন্সি লাইট জ্বলে ওঠে। বিষয়টি অপারেশনের নজরে এলে সেটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লেগে যায়। এতে রাত ১১টা বেজে যায়। কিন্তু সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি রাত ১১টা বেজে যাওয়ায় ওই ফাইট আর ওড়ার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষকে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে আক্ষেপ করে বলেন, কুয়ালালামপুরগামী ফাইটটি নির্ধারিত সময়ে ওড়ার অনুমতি না পাওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষকে ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের ৩২৪ জন যাত্রীকে হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করতে হয়। এতে বিমানকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কুয়ালালামপুরে একজন যাত্রীর জন্য ১২০ রিংগিটে হোটেল বুকিং দিতে হয়েছে। একইভাবে ঢাকায় একই পরিমাণ টাকা খরচ করে যাত্রীদের হোটেলে তুলতে হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, রানওয়ে সংস্কারকাজের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৮টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই দোহাই দিয়ে কুয়ালালামপুরগামী বিমানকে উড্ডয়নের অনুমতি দেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন। তার মতে, এই ১০-২০ মিনিট সময় অতিক্রম হওয়ার জন্য ফাইট বাতিল করাটা মোটেও ঠিক হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যায়। এতে বিমান লাখ লাখ ডলার লোকসান থেকে বাঁচতে পারত। বিমান আর সিভিল অ্যাভিয়েশন দুটোতো একই প্রতিষ্ঠান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে ফাইটটি ওড়ার অনুমতি দিলে তেমন অসুবিধা হতো না। তিনি আরো বলেন, এর আগেও বিমানের বোয়িং ৭৭৭ গন্তব্যে রওনা দেয়ার আগেই সিভিল অ্যাভিয়েশনের গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় একইভাবে একাধিক ফাইট বাতিল হয়েছে।
গত রাতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। রাতে বিমানের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ফাইট বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যাত্রীদের যেমন দুর্ভোগ হয়েছে তেমনি বিমানেরও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে কুয়ালালামপুরগামী যাত্রী ঢাকার বনানীর বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, এমনিতেই বিমানে টিকিট কেটে মালয়েশিয়া যাওয়া অনেকটা ঝুঁকি। তারপর বিমানের ফাইট শিডিউল ঠিক না থাকলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে যায়। মালয়েশিয়া যাওয়া ঝুঁকি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈধভাবে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পরও বিমানবন্দর থেকে দেখছি প্রায় যাত্রীদের ফিরতি ফাইটে ফেরত পাঠাচ্ছে।
No comments