ঢাকা কলেজ থেকে ৫৭ ছাত্র গ্রেফতার, উদ্ধার ৫২ তাজা বুলেট- সংঘর্ষের মূলে সিট বাণিজ্য
ঢাকা কলেজে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ
বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ৫২
রাউন্ড তাজাবুলেট ও নগদ ৩২ হাজার টাকা।
তবে সংঘর্ষের পিছনে জামায়াত-শিবির বা অন্যকোন জঙ্গী গোষ্ঠীর ইন্ধন ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলেজ সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত রাত রাত ৯টার দিকে। তথাকথিত ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ নতুন ছাত্রদের হলে সিট পাইয়ে দিতে হলে হলে ফাঁকা সিটের সন্ধান করতে থাকে। কোন রম্নমে কয়কটি সিট ফাঁকা আছে তার হদিস করে। সে মোতাবেক পছন্দের ছাত্রদের ওইসব সিটে থাকার নির্দেশ দেয়। মুহূর্তে এ খবর ছাত্রলীগের প্রতিপৰ অপর গ্রুপটির কাছে পৌঁছে যায়। তারাও হলে হলে সিট খুঁজতে থাকে। প্রথম গ্রম্নপটি যেসব হলে সিট বুকিং করে রাখে প্রতিপৰ গ্রুপটি ওইসব সিট তাদের বলে দাবি করে। প্রতিপৰের গ্রুপটির দাবি এসব সিটে তাদের পছন্দের ছাত্ররা উঠবে। যেসব ছাত্রদের সিটে রেখে এসেছিল প্রতিপৰ গ্রম্নপটি সেসব ছাত্রদের বের করে দেয়। এ নিয়ে দু'গ্রুপের মধ্যে প্রথমে চরম কথাকাঁটাকাটি হয়। প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে ঢাকা কলেজে কয়েকদফায় ছাত্র সংঘর্ষ হওয়ার পর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মূলত ঢাকা কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগ নেতারা নিজেদের শক্তিমত্তা, প্রভাব ও রাজনীতিতে সক্রিয়তার প্রমাণ দিতেই হলে হলে নতুন ছাত্রদের সিটে তোলে। যাতে কোন মিছিল মিটিংয়ে সিট পাইয়ে দেয়া নেতার পৰে সিট পাওয়া ছাত্ররা কাজ করে। পাশাপাশি নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশের মার্কেট থেকে সুবিধা পাওয়ার আশায় ঢাকা কলেজে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা কৌশলে নিজেদের কর্মী বাহিনী বড় করে থাকে। এজন্য উভয়পৰই নিজেদের কমর্ী বাহিনী বড় করার জন্য নতুন ছাত্রদের কলেজের হলে হলে তুলতে থাকে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যনত্ম উভয় পৰই এভাবেই হলে হলে নতুন ছাত্রদের সিটে তুলে দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে একগ্রম্নপের সিট আরেক গ্রম্নপ দখল করে নেয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রম্নপের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পেঁৗছে। শেষ পর্যনত্ম রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে অনত্মত ১০ ছাত্র আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রম্নত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কলেজ কতর্ৃপৰের সহযোগিতায় রাত ১২টায় ঢাকা কলেজের প্রতিটি হলে তলস্নাশি চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ৭১ জনকে আটক করে। পরে যাচাইবাছাই শেষে ৫৭ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকিদের মুক্তি দেয়া হয়। বিভিন্ন ছাত্রাবাসে তলস্নাশি চালিয়ে ৫টি রামদা, ১০টি লোহাররড় ও প্রচুর পরিমাণ লাঠিসোটা উদ্ধার করে। তলস্নাশিকালে কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিৰার্থী নর্থ হলের ২০৭ নম্বর কৰের আবাসিক ছাত্র আব্দুল বাসেত ওরফে গালিবকে গ্রেফতার করে। তার দেহ তলস্নাশি করে পয়েন্ট ২২ বোরের ৫০ রাউন্ড ও পয়েন্ট ৩২ বোরের ২ রাউন্ড তাজাবুলেট ও নগদ ৩২ হাজার ১শ' টাকা উদ্ধার করা হয়। গালিব কি উদ্দেশ্যে গুলি এনেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গালিবকে রিমান্ডে নিয়ে বুলেট নগদ অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। গালিব ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য। তবে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, রাতের অাঁধারে ঘটে যাওয়া ওই সংঘর্ষে অন্যকোন জঙ্গী সংগঠন বা জামায়াত-শিবির কর্মীরাও উপস্থিত থাকতে পারে। সুযোগ বুঝে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা ব্যাপক সংঘর্ষ বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনাও ঘটাতে পারে। সারাদেশে দূষিত জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযানের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ৰণ্ন্ন করতেই এ ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নিতে পারে তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের ডিসি কৃষ্ণ পদ রায় জানান, আধিপত্য বিসত্মার ও সিট দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে উদ্ধারকৃত বুলেট, বোমাবাজি ও গুলাগুলির বিষয়টি ৰতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলেজ সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত রাত রাত ৯টার দিকে। তথাকথিত ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ নতুন ছাত্রদের হলে সিট পাইয়ে দিতে হলে হলে ফাঁকা সিটের সন্ধান করতে থাকে। কোন রম্নমে কয়কটি সিট ফাঁকা আছে তার হদিস করে। সে মোতাবেক পছন্দের ছাত্রদের ওইসব সিটে থাকার নির্দেশ দেয়। মুহূর্তে এ খবর ছাত্রলীগের প্রতিপৰ অপর গ্রুপটির কাছে পৌঁছে যায়। তারাও হলে হলে সিট খুঁজতে থাকে। প্রথম গ্রম্নপটি যেসব হলে সিট বুকিং করে রাখে প্রতিপৰ গ্রুপটি ওইসব সিট তাদের বলে দাবি করে। প্রতিপৰের গ্রুপটির দাবি এসব সিটে তাদের পছন্দের ছাত্ররা উঠবে। যেসব ছাত্রদের সিটে রেখে এসেছিল প্রতিপৰ গ্রম্নপটি সেসব ছাত্রদের বের করে দেয়। এ নিয়ে দু'গ্রুপের মধ্যে প্রথমে চরম কথাকাঁটাকাটি হয়। প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে ঢাকা কলেজে কয়েকদফায় ছাত্র সংঘর্ষ হওয়ার পর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মূলত ঢাকা কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগ নেতারা নিজেদের শক্তিমত্তা, প্রভাব ও রাজনীতিতে সক্রিয়তার প্রমাণ দিতেই হলে হলে নতুন ছাত্রদের সিটে তোলে। যাতে কোন মিছিল মিটিংয়ে সিট পাইয়ে দেয়া নেতার পৰে সিট পাওয়া ছাত্ররা কাজ করে। পাশাপাশি নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশের মার্কেট থেকে সুবিধা পাওয়ার আশায় ঢাকা কলেজে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা কৌশলে নিজেদের কর্মী বাহিনী বড় করে থাকে। এজন্য উভয়পৰই নিজেদের কমর্ী বাহিনী বড় করার জন্য নতুন ছাত্রদের কলেজের হলে হলে তুলতে থাকে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যনত্ম উভয় পৰই এভাবেই হলে হলে নতুন ছাত্রদের সিটে তুলে দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে একগ্রম্নপের সিট আরেক গ্রম্নপ দখল করে নেয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রম্নপের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পেঁৗছে। শেষ পর্যনত্ম রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে অনত্মত ১০ ছাত্র আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রম্নত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কলেজ কতর্ৃপৰের সহযোগিতায় রাত ১২টায় ঢাকা কলেজের প্রতিটি হলে তলস্নাশি চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ৭১ জনকে আটক করে। পরে যাচাইবাছাই শেষে ৫৭ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকিদের মুক্তি দেয়া হয়। বিভিন্ন ছাত্রাবাসে তলস্নাশি চালিয়ে ৫টি রামদা, ১০টি লোহাররড় ও প্রচুর পরিমাণ লাঠিসোটা উদ্ধার করে। তলস্নাশিকালে কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিৰার্থী নর্থ হলের ২০৭ নম্বর কৰের আবাসিক ছাত্র আব্দুল বাসেত ওরফে গালিবকে গ্রেফতার করে। তার দেহ তলস্নাশি করে পয়েন্ট ২২ বোরের ৫০ রাউন্ড ও পয়েন্ট ৩২ বোরের ২ রাউন্ড তাজাবুলেট ও নগদ ৩২ হাজার ১শ' টাকা উদ্ধার করা হয়। গালিব কি উদ্দেশ্যে গুলি এনেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গালিবকে রিমান্ডে নিয়ে বুলেট নগদ অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। গালিব ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য। তবে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, রাতের অাঁধারে ঘটে যাওয়া ওই সংঘর্ষে অন্যকোন জঙ্গী সংগঠন বা জামায়াত-শিবির কর্মীরাও উপস্থিত থাকতে পারে। সুযোগ বুঝে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা ব্যাপক সংঘর্ষ বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনাও ঘটাতে পারে। সারাদেশে দূষিত জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযানের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ৰণ্ন্ন করতেই এ ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নিতে পারে তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের ডিসি কৃষ্ণ পদ রায় জানান, আধিপত্য বিসত্মার ও সিট দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে উদ্ধারকৃত বুলেট, বোমাবাজি ও গুলাগুলির বিষয়টি ৰতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments