শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন by মোজাম্মেল হোসেন মুন্না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব
শিশুকে জাতির জনকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে লেখাপড়া শেষ করে যোগ্য নাগরিক
হিসেবে দেশের কর্ণধার হওয়ার উপযুক্ত হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি
শিশুদের জন্য তাঁর সরকারের নানা কর্মসূচী নেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর
সরকার দেশকে শিশুদের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে শিশুদের উন্নত জীবনের
নিশ্চয়তা দিতে শিশু নির্যাতন রোধ করা ছাড়াও শিশুরা যাতে শিৰার আলোতে আলোকিত
হতে পারে তার জন্য এ সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য-শিক্ষা, উন্নত জীবন ও সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু যেমন কাজ করে গেছেন, আমরাও শিশুদের অধিকার বাসত্মবায়ন করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নয়, মাধ্যমিক পর্যায়েও ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, শিশু নির্যাতনকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। শিশুদের দিয়ে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবে না। তিনি শিশু স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের অধিকার। শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পদপে নিয়েছি। তিনি বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরৰায় দেশের প্রতিটি উপজেলায় একজন করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়েও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। তাদের প্রশিণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপেস্নক্সের পাবলিক পস্নাজায় অনুষ্ঠিত শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে শিশুবন্ধু তাসমিয়া জামান শুভেচ্ছা। এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আফম রম্নহুল হক বক্তব্য রাখেন। এছাড়া শিশুদের পরোমাকৃষ্ণ বিশ্বাস স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিসৌধের বেদীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী সমাধিসৌধের বেদীতে তাঁরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে এবং ১৫ আগস্ট জাতির জনকসহ তাঁর পরিবারের শাহাদত বরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এ সময় তিন বাহিনী প্রধানগণ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারম্নক খান, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রমমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশারফ হোসেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রম্নহুল হক,সমাজসেবা মন্ত্রী এনামুল হক মোসত্মফা শহিদ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, শেখ মোহাম্মদ আব্দুলস্নাহ, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, রাজিউদ্দিন রাজু, নাজমা আক্তার, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মোহাম্মদ আলী খান আবু মিয়া, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজিয়া বেগম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারম্নন, পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস আমিনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন্ত্রিপরিষদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং বিভিন্ন সংগঠনের পৰ থেকে বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষপমাল্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপল েআয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি জাতীয় শিশু দিবস উপল েআয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন। শিশু সমাবেশটি মূলত শিশুরাই পরিচালনা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এদিন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে গরিব ছাত্রছাত্রী ও ক্যান্সার আক্রানত্মদের আর্থিক সাহায্যের চেক হসত্মানত্মর করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের স্বাস্থ্যসেবা অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান করা ছাড়াও তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন। এছাড়া এদিন তিনি জাতির জনকের জন্মদিন উপল েস্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রকল্প আদর্শ গ্রাম প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপল েআয়োজিত শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে শিশুবন্ধু তাসমিয়া জামান শুভেচ্ছা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন হাফেজ শরাফত শেখ এবং পবিত্র গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন যথাক্রমে মানস বালা, এনডি লর্না বালা ও শ্রীমথ সংঘ রত্ন শ্রমণ। পুরো অনুষ্ঠানটিই পরিচালনা করে যাদের জন্য এ অনুষ্ঠান, সেই সব শিশু। উপভোগ্য আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি চলে প্রায় দু'ঘণ্টা।
'বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস'_ সমবেত এ গানের মধ্য দিয়ে 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' কাব্য-নৃত্য-গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও গোপালগঞ্জ জেলার শিশুশিল্পীরা মিলে মনোজ্ঞ এ অনুষ্ঠানটি পরিবেশন করে। ১শ' ২৫ শিশুশিল্পী এ আলেখ্যানুষ্ঠানে অংশ নেয়। শুধু টুঙ্গিপাড়ায়ই নয়, গোপালগঞ্জের সর্বত্রই দিনটি পালন উপল েছিল আনন্দঘন পরিবেশ; সর্বত্রই ছিল সাজ সাজ রব।
এক ঘণ্টার কাব্য-নৃত্য-গীতি আলেখ্যানুষ্ঠানটি দর্শক সারিতে বসে প্রধানমন্ত্রী, বিশেষ অতিথি, অতিথিবৃন্দ এবং অভ্যাগতরা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ দলীয় সঙ্গীত 'যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই....'-এর মধ্য দিয়ে 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' আলেখ্যানুষ্ঠানের শেষ হতেই মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অভ্যাগতরা শিশুদের উৎসাহ দেন। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা, উপস্থিত বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির জনকের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপল েপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমান ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগনণ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এদিন টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। সারাদেশ থেকেও এদিন হাজার হাজার বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক জাতির জনককে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। দিনটি উপল েটুঙ্গিপাড়া মাজার কমপেস্নক্স ও এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত সোমবার থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন রাসত্মার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তলস্নাশি অভিযান চালানো হয় । এসব কর্মসূচী শেষ করে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য-শিক্ষা, উন্নত জীবন ও সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু যেমন কাজ করে গেছেন, আমরাও শিশুদের অধিকার বাসত্মবায়ন করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নয়, মাধ্যমিক পর্যায়েও ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, শিশু নির্যাতনকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। শিশুদের দিয়ে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবে না। তিনি শিশু স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের অধিকার। শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পদপে নিয়েছি। তিনি বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরৰায় দেশের প্রতিটি উপজেলায় একজন করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়েও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। তাদের প্রশিণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপেস্নক্সের পাবলিক পস্নাজায় অনুষ্ঠিত শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে শিশুবন্ধু তাসমিয়া জামান শুভেচ্ছা। এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আফম রম্নহুল হক বক্তব্য রাখেন। এছাড়া শিশুদের পরোমাকৃষ্ণ বিশ্বাস স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিসৌধের বেদীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী সমাধিসৌধের বেদীতে তাঁরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে এবং ১৫ আগস্ট জাতির জনকসহ তাঁর পরিবারের শাহাদত বরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এ সময় তিন বাহিনী প্রধানগণ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারম্নক খান, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রমমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশারফ হোসেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রম্নহুল হক,সমাজসেবা মন্ত্রী এনামুল হক মোসত্মফা শহিদ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, শেখ মোহাম্মদ আব্দুলস্নাহ, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, রাজিউদ্দিন রাজু, নাজমা আক্তার, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মোহাম্মদ আলী খান আবু মিয়া, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজিয়া বেগম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারম্নন, পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস আমিনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন্ত্রিপরিষদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং বিভিন্ন সংগঠনের পৰ থেকে বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষপমাল্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপল েআয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি জাতীয় শিশু দিবস উপল েআয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন। শিশু সমাবেশটি মূলত শিশুরাই পরিচালনা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এদিন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে গরিব ছাত্রছাত্রী ও ক্যান্সার আক্রানত্মদের আর্থিক সাহায্যের চেক হসত্মানত্মর করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের স্বাস্থ্যসেবা অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান করা ছাড়াও তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন। এছাড়া এদিন তিনি জাতির জনকের জন্মদিন উপল েস্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রকল্প আদর্শ গ্রাম প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপল েআয়োজিত শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে শিশুবন্ধু তাসমিয়া জামান শুভেচ্ছা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন হাফেজ শরাফত শেখ এবং পবিত্র গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন যথাক্রমে মানস বালা, এনডি লর্না বালা ও শ্রীমথ সংঘ রত্ন শ্রমণ। পুরো অনুষ্ঠানটিই পরিচালনা করে যাদের জন্য এ অনুষ্ঠান, সেই সব শিশু। উপভোগ্য আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি চলে প্রায় দু'ঘণ্টা।
'বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস'_ সমবেত এ গানের মধ্য দিয়ে 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' কাব্য-নৃত্য-গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও গোপালগঞ্জ জেলার শিশুশিল্পীরা মিলে মনোজ্ঞ এ অনুষ্ঠানটি পরিবেশন করে। ১শ' ২৫ শিশুশিল্পী এ আলেখ্যানুষ্ঠানে অংশ নেয়। শুধু টুঙ্গিপাড়ায়ই নয়, গোপালগঞ্জের সর্বত্রই দিনটি পালন উপল েছিল আনন্দঘন পরিবেশ; সর্বত্রই ছিল সাজ সাজ রব।
এক ঘণ্টার কাব্য-নৃত্য-গীতি আলেখ্যানুষ্ঠানটি দর্শক সারিতে বসে প্রধানমন্ত্রী, বিশেষ অতিথি, অতিথিবৃন্দ এবং অভ্যাগতরা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ দলীয় সঙ্গীত 'যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই....'-এর মধ্য দিয়ে 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' আলেখ্যানুষ্ঠানের শেষ হতেই মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অভ্যাগতরা শিশুদের উৎসাহ দেন। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা, উপস্থিত বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির জনকের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপল েপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমান ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগনণ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এদিন টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। সারাদেশ থেকেও এদিন হাজার হাজার বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক জাতির জনককে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। দিনটি উপল েটুঙ্গিপাড়া মাজার কমপেস্নক্স ও এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত সোমবার থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন রাসত্মার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তলস্নাশি অভিযান চালানো হয় । এসব কর্মসূচী শেষ করে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।
No comments