রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবিরের সংঘর্ষ ॥ আহত ১৫, আটক ২০- নীলফামারীতে গ্রেফতার ২০
স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী, নীলফামারী ॥ রাজশাহী মহানগরের সোনাদিঘীর মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক ও শিবির নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন স্থানে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিবির সন্দেহে ২০ জনকে আটক করেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে মহানগরের সোনাদিঘী মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে লোকনাথ স্কুল ও রাজশাহী সিটি কলেজ ও সদর হাসপাতালের মোড় সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর পুলিশ আটক অভিযান শুরু করেছে। এ সময় সোনাদিঘী মোড় ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জন সন্দেহভাজন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করে।
নীলফামারী
ডোমার থানা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার দায়েরকৃত মামলায় ডোমার উপজেলার জামায়াত-শিবিরের ৩৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ৩৮জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার নীলফামারীর সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করে। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। পরে দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ পাহারায় আটককৃতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আটককৃতের মধ্যে রয়েছে ডোমার উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী আবু জাফর বাবলু, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল হাকিম, ডোমার উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নুল আবেদীন, উপজেলা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিল ইসলাম, ডোমার সরকারী ডিগ্রি কলেজের শিবিরের সভাপতি সোহেল রানা ও সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম ।
কক্সবাজার
নিজস্ব সংবাদদাতা কক্সবাজার থেকে জানান, শহরে শিবিরের একদল কর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, এক যাত্রীকে মারধর ও পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিবিরের ৫২ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর
চট্টগ্রাম অফিস জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের ওপর হামলা, তাণ্ডব ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫২ জন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আসামিদের সকলেই ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মজিবুর রহমানের আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
No comments