চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, হাসপাতাল নেই
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে ১৫ জন চিকিৎসক, ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই। এ কারণে উপজেলার অনেক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয় বহির্বিভাগ চিকিৎসাকেন্দ্রে (আউটডোর ডিসপেনসারি) দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এই কেন্দ্রে জায়গার অভাবে চিকিৎসকদের একটি কক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হয়। প্রতিদিন অনেক রোগী এই কেন্দ্রে সেবা নিতে আসে। এখানে চিকিৎসকেরা রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন। এখান থেকে ওষুধও পায় রোগীরা। কিন্তু কেন্দ্রে কোনো শয্যা নেই। তাই এখানে রোগীদের ভর্তি রাখা যায় না। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা আজিমুদ্দিন, হায়দার আলী ও আবিদা খাতুন বলেন, ‘যেই হাসপাতালোত বিছানা (শয্যা) নাই, সেইটা আবার কেমন হাসপাতাল ব্যাহে?’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। সেই অনুযায়ী নীলফামারীর অন্য সব উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পন্ন হলেও, সৈয়দপুরে নির্মাণ করা হয়নি।
ইতিপূর্বে সৈয়দপুর শহরের অদূরে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট এলাকায় সাড়ে ছয় একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেখানে এখনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে ওঠেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ষষ্ঠীচরণ চক্রবর্তী জানান, সিদ্ধান্তটি আসলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। ওপর থেকে উদ্যোগ নেই বলেই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ থেমে আছে। অথচ ওই হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য সরকারের সব বরাদ্দ রয়েছে। এ হাসপাতালের অনুকূলে ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মঞ্জুরিও রয়েছে। ১৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে তিনজন প্রেষণে অন্যত্র চাকরি করছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। শূন্যপদ রয়েছে ছয়টি। বাকি চিকিৎসকদের কোনো কক্ষ নেই। তাই তাঁরা গ্রাম-গঞ্জে মাঠপর্যায়ে গিয়ে রোগী দেখেন।
তিনি জানান, হাসপাতাল না থাকলেও সরকারিভাবে ওষুধপত্রের স্বাভাবিক বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাসপাতালের শয্যা না থাকায় রোগীদের জন্য বার্ষিক বরাদ্দের টাকা ফেরত যাচ্ছে।
বহির্বিভাগ চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও রোগ নিয়ন্ত্রক (এমওডিসি) নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। উপজেলার ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকও আমাদের আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া টিকাদানসহ রোগ নিয়ন্ত্রণ তথা স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে কাজ করছি। তবে হাসপাতালের কার্যক্রম থাকলে গরিব রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন শওকত আলী বলেন, ‘আসলে সৈয়দপুরে উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকলেও মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। আমাদের চিকিৎসকেরা গ্রামীণ জনপদে সব রকম স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। স্বাস্থ্য খাতের যে বরাদ্দ, তা ওই-সংক্রান্ত কাজে ব্যয় হচ্ছে। তবে যেহেতু এখানে কোনো হাসপাতাল নেই, তাই ওই খাতের টাকা অন্যত্র ব্যয় করছে সরকার।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। সেই অনুযায়ী নীলফামারীর অন্য সব উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পন্ন হলেও, সৈয়দপুরে নির্মাণ করা হয়নি।
ইতিপূর্বে সৈয়দপুর শহরের অদূরে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট এলাকায় সাড়ে ছয় একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেখানে এখনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে ওঠেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ষষ্ঠীচরণ চক্রবর্তী জানান, সিদ্ধান্তটি আসলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। ওপর থেকে উদ্যোগ নেই বলেই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ থেমে আছে। অথচ ওই হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য সরকারের সব বরাদ্দ রয়েছে। এ হাসপাতালের অনুকূলে ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মঞ্জুরিও রয়েছে। ১৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে তিনজন প্রেষণে অন্যত্র চাকরি করছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। শূন্যপদ রয়েছে ছয়টি। বাকি চিকিৎসকদের কোনো কক্ষ নেই। তাই তাঁরা গ্রাম-গঞ্জে মাঠপর্যায়ে গিয়ে রোগী দেখেন।
তিনি জানান, হাসপাতাল না থাকলেও সরকারিভাবে ওষুধপত্রের স্বাভাবিক বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাসপাতালের শয্যা না থাকায় রোগীদের জন্য বার্ষিক বরাদ্দের টাকা ফেরত যাচ্ছে।
বহির্বিভাগ চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও রোগ নিয়ন্ত্রক (এমওডিসি) নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। উপজেলার ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকও আমাদের আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া টিকাদানসহ রোগ নিয়ন্ত্রণ তথা স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে কাজ করছি। তবে হাসপাতালের কার্যক্রম থাকলে গরিব রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন শওকত আলী বলেন, ‘আসলে সৈয়দপুরে উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকলেও মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। আমাদের চিকিৎসকেরা গ্রামীণ জনপদে সব রকম স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। স্বাস্থ্য খাতের যে বরাদ্দ, তা ওই-সংক্রান্ত কাজে ব্যয় হচ্ছে। তবে যেহেতু এখানে কোনো হাসপাতাল নেই, তাই ওই খাতের টাকা অন্যত্র ব্যয় করছে সরকার।’
No comments