ধর্ম- যুবসমাজের নৈতিক চরিত্র গঠন by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
মানবজাতির গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হচ্ছে যুবসমাজ। তাদের যথাযথভাবে সংগঠিত করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সমাজের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। তাই ইসলাম যুবসমাজকে সৎ, উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত, নৈতিক আদর্শে বলীয়ান হওয়ার জন্য সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য জীবনবিধান পেশ করেছে।
যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার লক্ষ্যে ইসলাম যেসব দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, যুবসমাজকে হতে হবে আদর্শ ও চরিত্রবান। সৎ চরিত্র গঠনে ইসলাম যুবসমাজকে সৌজন্যমূলক ব্যবহার, আল্লাহভীতি, আত্মশুদ্ধি, জিকির বা আল্লাহকে স্মরণ করা, ধৈর্য ধারণ, কৃতজ্ঞতা, ক্ষমা, ন্যায়বিচার, সুন্দর ব্যবহার, গভীরভাবে গবেষণা করা, সহনশীল হওয়া প্রভৃতি উত্তম চরিত্র গঠনের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
মানুষের সঙ্গে সদাচরণ, আল্লাহর ভয়ে সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার বর্জন, কাজে-কর্মে আল্লাহকে স্মরণ, বিপদ-আপদে বিচলিত না হয়ে চরম ধৈর্য ধারণ, আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত উপভোগের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, অপরাধীর অপরাধ ক্ষমা প্রদর্শন প্রভৃতির মাধ্যমে যুবসমাজ স্বীয় চারিত্রিক মাধুর্যের আলোকে দেশ থেকে যাবতীয় কালিমা দূরীভূত করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। মানবজাতিকে সচ্চরিত্রের গুণাবলি সমাজজীবনে বাস্তবায়ন করে উন্নত জীবন গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর আখলাকে চরিত্রবান হও।’
জাতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুবসমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম যুবসমাজকে জাতির বৃহত্তম স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার শিক্ষা দেয়। জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে চেষ্টা ও সাধনা করার উৎসাহ ও সঞ্জীবনী শক্তি যুবসমাজকে প্রদান করে ইসলাম। চেষ্টা ও সাধনাই মানবজাতির উন্নতির চাবিকাঠি। যে জাতি যত বেশি চেষ্টা করে, সে জাতি ততই উন্নতির উচ্চশিখরে আরোহণ করে থাকে। মানুষ চেষ্টার মাধ্যমে তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায়। তাই জাতির উন্নয়নে যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক, যুবসমাজকে তা কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটান না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।’ (সূরা আর-রাদ, আয়াত: ১১)
পৃথিবীর বহু জাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে, তার মূলে রয়েছে যুবসমাজের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত সাধনা। যুবসমাজের চেষ্টা, পরিশ্রম ও গবেষণা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। সে জন্য জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুবসমাজকে সম্পৃক্তকরণে ইসলাম মানুষকে চেষ্টা ও সাধনার দীক্ষা প্রদান করে ঘোষণা করেছে, ‘মানুষ চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া কিছুই অর্জন করতে পারে না।’ (সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৩৯)
ইসলাম যুবসমাজকে সারা বিশ্বে শান্তি-শৃঙ্খলা ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। ভ্রাতৃত্ববোধ যুবসমাজকে পারস্পরিক সম্প্রীতি স্থাপন ও কলহ-বিবাদ পরিহার, ঐক্যবদ্ধ থাকা ও বিচ্ছিন্ন না হওয়া, একজন অন্যজনের বিপদে সাহায্য করা, জুলুম-নির্যাতন থেকে আরেকজনকে রক্ষা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানায়। ইসলামের আদর্শিক চেতনা, মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মীয় অনুভূতি, উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, নৈতিক শিক্ষার আলোকে গঠিত মহৎ মানবিক গুণাবলি যুবসমাজকে ভ্রাতৃত্ববোধে সর্বদাই অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এহেন ভ্রাতৃত্বের কারণেই মুসলমান একে অন্যের সুখ-দুঃখের সম-অংশীদার হয়ে থাকে।
মানুষের মধ্যে রয়েছে নফস বা প্রবৃত্তি: কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি রিপু। ইসলাম যুবসমাজকে রিপুর বা কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহ্বান জানায়। পবিত্র কোরআনের ভাষায়: ‘মানুষের মন অবশ্যই মন্দ কর্মপ্রবণ; কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩) কাজেই মানুষের নফসের যাবতীয় খারাপ বাসনা দমন করা যুবসমাজের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিহাদ। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি কুপ্রবৃত্তি, যা মানুষকে বিপথে ও অন্যায়ের দিকে পরিচালিত করে, ইসলাম তা দূরীভূত করার জন্য যুবসমাজকে আহ্বান জানায়।
দুনিয়ায় যেসব সৎ কাজ রয়েছে, সেগুলো পালন করা ও অন্যকে পালন করার সদুপদেশ প্রদান করার জন্য ইসলাম যুবসমাজকে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানায়। আর জগতে যেসব অসৎ কাজ রয়েছে, সেগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। কেননা, সততার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করতে পারলে ব্যক্তিজীবন উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়। তাই যুবশক্তিকে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে জীবন পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক হোক, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সৎ কাজের নির্দেশ দেবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে, আর তারাই সফলকাম হবে।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১০৪)
যুবসমাজ যেকোনো দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানকারী শক্তি। দেশের নেতৃত্ব প্রদান করার জন্য তাদের নানাবিধ গুণ অর্জন করতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করার জন্য লোক নির্বাচনের ব্যাপারে যোগ্যতা ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য ইসলাম যুবসমাজকে পরহেজগারি, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণী শক্তি প্রভৃতি গুণাবলি অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে স্বার্থহীন, লোভ-লালসামুক্ত হওয়ারও শিক্ষা দান করে। যুবসমাজের নৈতিক চরিত্র গঠন ও আধ্যাত্মিকতা অর্জন এমন এক মহান কাজ, যার পরিপূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে মহানবীকে (সা.) রাসুল হিসেবে আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছেন। এ সম্পর্কে স্বয়ং নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আদর্শ আখলাক (চরিত্রাবলি) পরিপূর্ণ করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (তিরমিজি)
বর্তমান সমস্যাসংকুল ও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে মানবজাতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আজকের যুবসমাজ ও আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলাম প্রদত্ত দিকনির্দেশনা তথা হিদায়াতের পথ অনুসরণ করতে হবে এবং অন্যকে তা অনুকরণ ও বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
মানুষের সঙ্গে সদাচরণ, আল্লাহর ভয়ে সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার বর্জন, কাজে-কর্মে আল্লাহকে স্মরণ, বিপদ-আপদে বিচলিত না হয়ে চরম ধৈর্য ধারণ, আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত উপভোগের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, অপরাধীর অপরাধ ক্ষমা প্রদর্শন প্রভৃতির মাধ্যমে যুবসমাজ স্বীয় চারিত্রিক মাধুর্যের আলোকে দেশ থেকে যাবতীয় কালিমা দূরীভূত করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। মানবজাতিকে সচ্চরিত্রের গুণাবলি সমাজজীবনে বাস্তবায়ন করে উন্নত জীবন গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর আখলাকে চরিত্রবান হও।’
জাতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুবসমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম যুবসমাজকে জাতির বৃহত্তম স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার শিক্ষা দেয়। জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে চেষ্টা ও সাধনা করার উৎসাহ ও সঞ্জীবনী শক্তি যুবসমাজকে প্রদান করে ইসলাম। চেষ্টা ও সাধনাই মানবজাতির উন্নতির চাবিকাঠি। যে জাতি যত বেশি চেষ্টা করে, সে জাতি ততই উন্নতির উচ্চশিখরে আরোহণ করে থাকে। মানুষ চেষ্টার মাধ্যমে তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায়। তাই জাতির উন্নয়নে যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক, যুবসমাজকে তা কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটান না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।’ (সূরা আর-রাদ, আয়াত: ১১)
পৃথিবীর বহু জাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে, তার মূলে রয়েছে যুবসমাজের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত সাধনা। যুবসমাজের চেষ্টা, পরিশ্রম ও গবেষণা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। সে জন্য জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুবসমাজকে সম্পৃক্তকরণে ইসলাম মানুষকে চেষ্টা ও সাধনার দীক্ষা প্রদান করে ঘোষণা করেছে, ‘মানুষ চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া কিছুই অর্জন করতে পারে না।’ (সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৩৯)
ইসলাম যুবসমাজকে সারা বিশ্বে শান্তি-শৃঙ্খলা ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। ভ্রাতৃত্ববোধ যুবসমাজকে পারস্পরিক সম্প্রীতি স্থাপন ও কলহ-বিবাদ পরিহার, ঐক্যবদ্ধ থাকা ও বিচ্ছিন্ন না হওয়া, একজন অন্যজনের বিপদে সাহায্য করা, জুলুম-নির্যাতন থেকে আরেকজনকে রক্ষা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানায়। ইসলামের আদর্শিক চেতনা, মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মীয় অনুভূতি, উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, নৈতিক শিক্ষার আলোকে গঠিত মহৎ মানবিক গুণাবলি যুবসমাজকে ভ্রাতৃত্ববোধে সর্বদাই অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এহেন ভ্রাতৃত্বের কারণেই মুসলমান একে অন্যের সুখ-দুঃখের সম-অংশীদার হয়ে থাকে।
মানুষের মধ্যে রয়েছে নফস বা প্রবৃত্তি: কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি রিপু। ইসলাম যুবসমাজকে রিপুর বা কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহ্বান জানায়। পবিত্র কোরআনের ভাষায়: ‘মানুষের মন অবশ্যই মন্দ কর্মপ্রবণ; কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩) কাজেই মানুষের নফসের যাবতীয় খারাপ বাসনা দমন করা যুবসমাজের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিহাদ। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি কুপ্রবৃত্তি, যা মানুষকে বিপথে ও অন্যায়ের দিকে পরিচালিত করে, ইসলাম তা দূরীভূত করার জন্য যুবসমাজকে আহ্বান জানায়।
দুনিয়ায় যেসব সৎ কাজ রয়েছে, সেগুলো পালন করা ও অন্যকে পালন করার সদুপদেশ প্রদান করার জন্য ইসলাম যুবসমাজকে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানায়। আর জগতে যেসব অসৎ কাজ রয়েছে, সেগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। কেননা, সততার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করতে পারলে ব্যক্তিজীবন উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়। তাই যুবশক্তিকে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে জীবন পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক হোক, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সৎ কাজের নির্দেশ দেবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে, আর তারাই সফলকাম হবে।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১০৪)
যুবসমাজ যেকোনো দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানকারী শক্তি। দেশের নেতৃত্ব প্রদান করার জন্য তাদের নানাবিধ গুণ অর্জন করতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করার জন্য লোক নির্বাচনের ব্যাপারে যোগ্যতা ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য ইসলাম যুবসমাজকে পরহেজগারি, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণী শক্তি প্রভৃতি গুণাবলি অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে স্বার্থহীন, লোভ-লালসামুক্ত হওয়ারও শিক্ষা দান করে। যুবসমাজের নৈতিক চরিত্র গঠন ও আধ্যাত্মিকতা অর্জন এমন এক মহান কাজ, যার পরিপূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে মহানবীকে (সা.) রাসুল হিসেবে আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছেন। এ সম্পর্কে স্বয়ং নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আদর্শ আখলাক (চরিত্রাবলি) পরিপূর্ণ করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (তিরমিজি)
বর্তমান সমস্যাসংকুল ও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে মানবজাতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আজকের যুবসমাজ ও আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলাম প্রদত্ত দিকনির্দেশনা তথা হিদায়াতের পথ অনুসরণ করতে হবে এবং অন্যকে তা অনুকরণ ও বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments