ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী-খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মাথায় নিয়ে ঘুরছেন by পাভেল হায়দার চৌধুরী ও নিয়ামূল কবীর সজল
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার হাতে দেশ নিরাপদ নয়। দেশের মানুষ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আর চায় না। তারা শান্তি চায়। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশে শান্তি আসবে না। কারণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন বিএনপির বড় গুণ।
ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশাল জনসভায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ সুখে থাকে, শান্তিতে থাকে, নিরাপদে থাকে। তাই আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বর্তমান সরকারের আমলে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে এ ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় এলে ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে জেলার তারাকান্দা থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হবে। ময়মনসিংহকে শিক্ষা নগরীতে উন্নীত করার ইচ্ছার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহের রেল যোগাযোগ কমিউটার সিস্টেমে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, 'এর ফলে এলাকার মানুষ সকালে ঢাকায় গিয়ে কাজ সেরে বিকেলে বাড়ি ফিরে আসতে পারবে।'
বর্তমান সরকারের মেয়াদে গত চার বছরে এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ময়মনসিংহ সফর। ফলে এই সফরকে ঘিরে জেলাবাসীর মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শহরের সব সড়কে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে ঢেকে যায় শহরের সব দেয়াল। শহরের প্রধান প্রধান সড়কজুড়ে ছিল মিছিল আর মিছিল। এসব মিছিলের গন্তব্য ছিল সার্কিট হাউস ময়দান। জনসভার অনেক আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। জনতার ভিড় ঠেলে বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা।
জনসভায় তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলার বিভিন্ন ভবন ও রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সব শ্রেণীর নারী-পুরুষ। শেখ হাসিনাকে একটু দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে গতকাল সকালে হেলিকপ্টারে করে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবতরণ করেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরের উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তীতে অ্যালামনাই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর তিনি ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নবনির্মিত ভবন এবং ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুবর্ণ জয়ন্তী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভাষণে বলেন, বাংলাদেশের বৃহত্তর অর্জনগুলোর মধ্যে কৃষি খাতের অর্জন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান। বিগত চার দশকে নিরলস ও সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশের কৃষিবিদদের প্রশংসা করেন তিনি। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস ও সৃজনশীল প্রচেষ্টায় খাদ্যশস্যের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। দেশের প্রধান এই কৃষিশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুবর্ণ জয়ন্তীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক রফিকুল হক অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিকেলে সার্কিট হাউস মাঠের বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, 'বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট ও চাঁদাবাজির কথা ময়মনসিংহের মানুষ ভুলবে না। এসব যেন আবার ময়মনসিংহের মাটিতে ফিরে আসতে না পারে, এর জন্য সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। দুর্নীতি আর মানুষ খুন করাই তাদের বড় গুণ। জনগণের জন্য তারা কিছুই করতে পারে না। জনগণের উন্নতি কিভাবে হয়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।'
আওয়ামী লীগকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করে দেওয়া বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আবারও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতা সাপ নিয়ে খেলেন। বিষধর সাপের ঝাঁপি হলো যারা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এসব যুদ্ধাপরাধীকে মাথায় নিয়ে তিনি ঘুরছেন। বাংলাদেশ আবার জঙ্গিবাদের দেশ হোক জনগণ তা চায় না।'
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন মতিয়া চৌধুরী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, মজিবুর রহমান ফকির, অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, অ্যাডভোকেট রেজা আলী, আব্দুস সাত্তার, ওয়ারেস হোসেন বেলাল, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দীন, মোশতাক আহমেদ রুহী, কে এম খালিদ বাবু ও এম আমানুল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন আব্দুল মতিন সরকার, এহতেশামুল আলম, ফারক আহমেদ খান ও অ্যাডভোকেট বদরউদ্দীন আহমেদ।
বিভাগের ঘোষণা না পেয়ে হতাশা : প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে কয়েক মাস ধরে বিভাগের দাবিতে প্রাণান্ত আন্দোলনে নামে জেলা নাগরিক আন্দোলন। মিছিল-সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, প্রতীক অনশনসহ সব ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সবার প্রত্যাশা ছিল বিভাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক ঘোষণা দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিভাগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না থাকায় হতাশ হয়েছে জেলার অনেকে। তবে এ ব্যাপারে জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন কালাম বলেন, 'আমাদের দাবি জানিয়ে যাব। একদিন ময়মনসিংহ অবশ্যই বিভাগ হবে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বর্তমান সরকারের আমলে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে এ ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় এলে ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে জেলার তারাকান্দা থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হবে। ময়মনসিংহকে শিক্ষা নগরীতে উন্নীত করার ইচ্ছার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহের রেল যোগাযোগ কমিউটার সিস্টেমে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, 'এর ফলে এলাকার মানুষ সকালে ঢাকায় গিয়ে কাজ সেরে বিকেলে বাড়ি ফিরে আসতে পারবে।'
বর্তমান সরকারের মেয়াদে গত চার বছরে এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ময়মনসিংহ সফর। ফলে এই সফরকে ঘিরে জেলাবাসীর মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শহরের সব সড়কে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে ঢেকে যায় শহরের সব দেয়াল। শহরের প্রধান প্রধান সড়কজুড়ে ছিল মিছিল আর মিছিল। এসব মিছিলের গন্তব্য ছিল সার্কিট হাউস ময়দান। জনসভার অনেক আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। জনতার ভিড় ঠেলে বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা।
জনসভায় তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলার বিভিন্ন ভবন ও রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সব শ্রেণীর নারী-পুরুষ। শেখ হাসিনাকে একটু দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে গতকাল সকালে হেলিকপ্টারে করে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবতরণ করেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরের উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তীতে অ্যালামনাই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর তিনি ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নবনির্মিত ভবন এবং ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুবর্ণ জয়ন্তী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভাষণে বলেন, বাংলাদেশের বৃহত্তর অর্জনগুলোর মধ্যে কৃষি খাতের অর্জন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান। বিগত চার দশকে নিরলস ও সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশের কৃষিবিদদের প্রশংসা করেন তিনি। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস ও সৃজনশীল প্রচেষ্টায় খাদ্যশস্যের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। দেশের প্রধান এই কৃষিশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুবর্ণ জয়ন্তীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক রফিকুল হক অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিকেলে সার্কিট হাউস মাঠের বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, 'বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট ও চাঁদাবাজির কথা ময়মনসিংহের মানুষ ভুলবে না। এসব যেন আবার ময়মনসিংহের মাটিতে ফিরে আসতে না পারে, এর জন্য সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। দুর্নীতি আর মানুষ খুন করাই তাদের বড় গুণ। জনগণের জন্য তারা কিছুই করতে পারে না। জনগণের উন্নতি কিভাবে হয়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।'
আওয়ামী লীগকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করে দেওয়া বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আবারও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতা সাপ নিয়ে খেলেন। বিষধর সাপের ঝাঁপি হলো যারা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এসব যুদ্ধাপরাধীকে মাথায় নিয়ে তিনি ঘুরছেন। বাংলাদেশ আবার জঙ্গিবাদের দেশ হোক জনগণ তা চায় না।'
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন মতিয়া চৌধুরী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, মজিবুর রহমান ফকির, অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, অ্যাডভোকেট রেজা আলী, আব্দুস সাত্তার, ওয়ারেস হোসেন বেলাল, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দীন, মোশতাক আহমেদ রুহী, কে এম খালিদ বাবু ও এম আমানুল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন আব্দুল মতিন সরকার, এহতেশামুল আলম, ফারক আহমেদ খান ও অ্যাডভোকেট বদরউদ্দীন আহমেদ।
বিভাগের ঘোষণা না পেয়ে হতাশা : প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে কয়েক মাস ধরে বিভাগের দাবিতে প্রাণান্ত আন্দোলনে নামে জেলা নাগরিক আন্দোলন। মিছিল-সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, প্রতীক অনশনসহ সব ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সবার প্রত্যাশা ছিল বিভাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক ঘোষণা দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিভাগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না থাকায় হতাশ হয়েছে জেলার অনেকে। তবে এ ব্যাপারে জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন কালাম বলেন, 'আমাদের দাবি জানিয়ে যাব। একদিন ময়মনসিংহ অবশ্যই বিভাগ হবে।'
No comments