শ্বশুরবাড়িতে হামলা সংঘর্ষে নিহত ১
নাটোরের লালপুরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক জামাতার বিরুদ্ধে। এ সময় সংঘর্ষে একজন নিহত ও আহত হয়েছেন তিনজন। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ডেবরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লালপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ওই গ্রামের জিন্নাত আলীর মেয়ে শাহনাজ খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের তারাপুর মিল্কিপাড়া গ্রামের আজের সরদারের ছেলে মিল্টনের বিয়ে হয়। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে শাহনাজ খাতুনের আকস্মিক মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তাদের কোনো সন্তান হয়নি।
শাহনাজের মৃত্যুর পর তাদের সংসারের অর্থ-সম্পদ মিল্টনের শ্বশুর জিন্নাত আলী নিয়ে নেন বলে মিল্টন দাবি করে আসছেন। বিভিন্নভাবে মিল্টন তা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিল্টন একদল সন্ত্রাসী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালান। তিনি পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে জিন্নাত আলীকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে জিন্নাত আলী, তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম ও ছেলে সান্টু এবং মিল্টনের সহযোগী ফরহাদ হোসেন (২৭) মারাত্মক আহত হন। তাদের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরহাদ মারা যান। জিন্নাত আলী ও সান্টুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহত ফরহাদ উপজেলার আবদুলপুরের তারাপুর মিল্কিপাড়া গ্রামের বয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় গত বুধবার নিহত ফরহাদ হোসেনের বাবা বয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। একই দিন ডাকাতির অভিযোগে জিন্নাত আলীর স্ত্রী শাহিদা বেগম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, হত্যা মামলায় পুলিশ জিন্নাত আলীর ভাই ইন্নাত আলীকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে। উভয় মামলার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করা হচ্ছে।
শাহনাজের মৃত্যুর পর তাদের সংসারের অর্থ-সম্পদ মিল্টনের শ্বশুর জিন্নাত আলী নিয়ে নেন বলে মিল্টন দাবি করে আসছেন। বিভিন্নভাবে মিল্টন তা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিল্টন একদল সন্ত্রাসী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালান। তিনি পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে জিন্নাত আলীকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে জিন্নাত আলী, তাঁর স্ত্রী শাহিদা বেগম ও ছেলে সান্টু এবং মিল্টনের সহযোগী ফরহাদ হোসেন (২৭) মারাত্মক আহত হন। তাদের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরহাদ মারা যান। জিন্নাত আলী ও সান্টুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহত ফরহাদ উপজেলার আবদুলপুরের তারাপুর মিল্কিপাড়া গ্রামের বয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় গত বুধবার নিহত ফরহাদ হোসেনের বাবা বয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। একই দিন ডাকাতির অভিযোগে জিন্নাত আলীর স্ত্রী শাহিদা বেগম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, হত্যা মামলায় পুলিশ জিন্নাত আলীর ভাই ইন্নাত আলীকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে। উভয় মামলার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করা হচ্ছে।
No comments