মোটরসাইকেলে দুই পাশে পা দিয়ে বসা যাবে না
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে মোটরসাইকেলে পুরুষ চালকের পেছনে কোনো নারী দুই পাশে পা ছড়িয়ে বসতে পারবেন না। ইসলামি (শরিয়া) আইন অনুযায়ী সেখানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিধানের ব্যাপারে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে।
লকসিউমাওয়ে শহরের মেয়র সুয়াইদি ইয়াহিয়া বলেন, জনগণের নৈতিকতা রক্ষার জন্যই এ বিধান চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারীরা মোটরসাইকেলের কেবল এক পাশে পা রেখে বসতে পারবেন। তাঁরা দুই পাশে পা ছড়িয়ে মোটরসাইকেলে বসলে ইসলামি আইনের লঙ্ঘন হয়। কোনো নারী দুই পাশে পা ছড়িয়ে বসলে তাঁকে পুরুষের মতোই দেখায়। কিন্তু এক পাশে বসলে তাঁকে নারীর মতো দেখায়। তা ছাড়া এক পাশে পা রেখে বসা যাত্রীদের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও বিরল। স্থানীয় সরকার নতুন আইনটি এক মাসের মধ্যে মূল্যায়ন করে দেখবে। তারপর সেটি আইনে পরিণত হবে।
এই বিধান অমান্য করলে নারীদের শাস্তি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াহিয়া বলেন, আইন প্রণীত হলে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত আইনটির সমালোচনা করে রাজধানী জাকার্তাভিত্তিক ইসলামি আন্দোলনের কর্মী উলিল আবশার আবদাল্লা বলেন, কীভাবে মোটরসাইকেল চালাতে হবে, শরিয়া আইনে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। গণতান্ত্রিক একটি দেশে শরিয়া আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনমত বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আচেহ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র প্রদেশ, যেখানে শরিয়া আইন চালু রয়েছে। বিবিসি।
এই বিধান অমান্য করলে নারীদের শাস্তি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াহিয়া বলেন, আইন প্রণীত হলে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত আইনটির সমালোচনা করে রাজধানী জাকার্তাভিত্তিক ইসলামি আন্দোলনের কর্মী উলিল আবশার আবদাল্লা বলেন, কীভাবে মোটরসাইকেল চালাতে হবে, শরিয়া আইনে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। গণতান্ত্রিক একটি দেশে শরিয়া আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনমত বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আচেহ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র প্রদেশ, যেখানে শরিয়া আইন চালু রয়েছে। বিবিসি।
No comments