নারীর প্রতি সহিংসতা- জ্বলুক প্রতিবাদের অগ্নিশিখা by ইলিরা দেওয়ান
টাঙ্গাইলের স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়ে এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। মেয়েটি মানসিক ভারসাম্য হারালেও বেঁচে আছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের কাউখালীর পিতৃহীন অষ্টম শ্রেণীর ফুটফুটে পাহাড়ি মেয়েটিকে দুর্বৃত্তরা বাঁচতেই দেয়নি।
বাড়ি থেকে কয়েক শ গজ দূরে পাহাড়ের ঢাল থেকে গরু আনতে গিয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। ধর্ষণের পর দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। ডাক্তারি প্রতিবেদনে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাউখালী থানায় মো. সেলিম, মো. দিদার, আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
দিল্লির সাহসিকা মেয়েটি ১৩ দিন বেঁচে থাকার লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছে। হার মানলেও মেয়েটি সারা ভারতে নতুন শিখা জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে। তার মৃত্যুতে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক-ব্যক্তিত্ব এবং আপামর জনগণ ব্যথিত হয়েছেন। ভারতজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। কিন্তু বাংলাদেশে পাহাড়ে, সমতলে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে, তার বিরুদ্ধে তেমন প্রতিবাদ নেই। আন্দোলন নেই। এসব ঘৃণ্য অপরাধ ও অন্যায় যেন আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। এটি কিসের আলামত?
সামাজিক বঞ্চনার ভয়ে টাঙ্গাইলের ঘটনা আক্রান্ত মেয়েটির পরিবার প্রথম দিকে চেপে গিয়েছিল। ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়েছে। কিন্তু তার পরেও আশঙ্কা, এ বর্বরতার বিচার হবে তো?
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক তথ্যে দেখা যায়, গত বছর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নারী নির্যাতিত হয়েছিলেন। নারী নির্যাতনের এ বিশাল পরিসংখ্যানেও সরকারের ঘুম ভাঙে না! আর কতজনের ইজ্জত আর জীবনের বিনিময়ে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙবে?
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনকভাবে নারী ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ২০১২ সালেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০টির অধিক ধর্ষণসংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ঘটনায় সেটেলার বাঙালিদের সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান। এ ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারাও পাহাড়ি নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হলেও দেখা গেছে, থানা থেকে আসামিকে নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মামলাকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এ কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া বা বিচার পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। অতীত অভিজ্ঞতায়ও দেখা গেছে, কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যের বিরুদ্ধে কল্পনার পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ থাকলেও, তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম না দিয়ে আসামিকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছিল।
দিল্লির ব্যথায় আমরা সবাই কাতর! ঢাকা অবধি প্রতিবাদের ঝড় পৌঁছেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দিল্লির ঘটনার পাশাপাশি সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমরা সমবেত হয়েছি। কিন্তু কাউখালীতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার তুমাচিংয়ের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর কথা কি একবারও ভেবেছি? কিংবা টাঙ্গাইলের কিশোরী মেয়েটিসহ যারা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হয়ে দুর্বিষহ দিন যাপন করছে, তাদের জন্য কি আমরা আরেকবার সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়াতে পারি না!
পার্বত্য চট্টগ্রামে কল্পনা চাকমা থেকে শুরু করে পনেমালা ত্রিপুরা, বুদ্ধপুদি চাকমা, বলিমিলা চাকমা ও ১১ বছরের শিশু সুজাতা চাকমাদের সঙ্গে তুমাচিং মারমা যোগ হয়ে মৃত্যুর মিছিলের তালিকা আরও দীর্ঘ করেছে। পাহাড়ে নারী অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার তালিকার শেষ কোথায়, তা আমরা কেউ জানি না। যে শান্তির লক্ষ্যে ’৯৭ সালে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, চুক্তির পর পাহাড়ে নারী নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মাত্রা কোনো অংশে কমেনি। বরং গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চুক্তির পর পাহাড়ি-অধ্যুষিত এলাকায় বাঙালিদের বিচরণ অবাধ হওয়ায় ধর্ষণের মাত্রার ব্যাপকতা বেড়েছে। ঘরের বাইরে ৫০০ গজ দূরত্বও যদি পাহাড়ি নারীর জন্য অনিরাপদ হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ পাহাড়ি নারীদের মৃত্যুকূপে পরিণত হবে!
দিল্লির সাহসী মেয়েটির মৃত্যুকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ‘বীরের মৃত্যু’ হিসেবে অভিহিত করে ধর্ষকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অঙ্গীকার করেছেন। ভারতের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অথচ বাংলাদেশে একের পর এক ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটলেও, এ নিয়ে দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান তো ননই, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়জন ব্যক্তিত্ব এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন?
কাউখালীর তুমাচিংকে দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। পাহাড়ে ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটলেও, গণমাধ্যমে যে ঘটনাগুলো আলোচনার ঝড় তুলতে পারে না, সেগুলো পাহাড়ের আড়ালেই থেকে যায়। আর ফাঁকফোকরে কোনো ঘটনা হিট (!) হয়ে গেলে সে ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথ কিছুদিনের জন্য সরগরম থাকে। তাই কেবল বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই পাহাড়ের ঘটনাগুলো বিবেচনায় নেওয়া দরকার। কারণ, পাহাড়ে ‘ধর্ষণ’ শুধু পুরুষের বিকৃত লালসা নিবৃত্তির অংশ নয়, সেখানে জাতিগত নিপীড়নের একটি অন্যতম কৌশলও বটে! তাই কল্পনা চাকমা, বলিমিলা, সুজাতা ও তুবাচিং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এমন বর্বর ঘটনা ঘটেই যাবে।
দিল্লির মেয়েটি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভারতে যে অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন, সেই শিখা জ্বালাতে আমাদের দেশে আর কত সময় লাগবে! সেদিন আর কত দূর?
ইলিরা দেওয়ান: হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
ilira.dewan@gmail.com
দিল্লির সাহসিকা মেয়েটি ১৩ দিন বেঁচে থাকার লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছে। হার মানলেও মেয়েটি সারা ভারতে নতুন শিখা জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে। তার মৃত্যুতে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক-ব্যক্তিত্ব এবং আপামর জনগণ ব্যথিত হয়েছেন। ভারতজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। কিন্তু বাংলাদেশে পাহাড়ে, সমতলে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে, তার বিরুদ্ধে তেমন প্রতিবাদ নেই। আন্দোলন নেই। এসব ঘৃণ্য অপরাধ ও অন্যায় যেন আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। এটি কিসের আলামত?
সামাজিক বঞ্চনার ভয়ে টাঙ্গাইলের ঘটনা আক্রান্ত মেয়েটির পরিবার প্রথম দিকে চেপে গিয়েছিল। ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়েছে। কিন্তু তার পরেও আশঙ্কা, এ বর্বরতার বিচার হবে তো?
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক তথ্যে দেখা যায়, গত বছর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নারী নির্যাতিত হয়েছিলেন। নারী নির্যাতনের এ বিশাল পরিসংখ্যানেও সরকারের ঘুম ভাঙে না! আর কতজনের ইজ্জত আর জীবনের বিনিময়ে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙবে?
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনকভাবে নারী ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ২০১২ সালেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০টির অধিক ধর্ষণসংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ঘটনায় সেটেলার বাঙালিদের সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান। এ ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারাও পাহাড়ি নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হলেও দেখা গেছে, থানা থেকে আসামিকে নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মামলাকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এ কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া বা বিচার পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। অতীত অভিজ্ঞতায়ও দেখা গেছে, কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যের বিরুদ্ধে কল্পনার পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ থাকলেও, তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম না দিয়ে আসামিকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছিল।
দিল্লির ব্যথায় আমরা সবাই কাতর! ঢাকা অবধি প্রতিবাদের ঝড় পৌঁছেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দিল্লির ঘটনার পাশাপাশি সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমরা সমবেত হয়েছি। কিন্তু কাউখালীতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার তুমাচিংয়ের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর কথা কি একবারও ভেবেছি? কিংবা টাঙ্গাইলের কিশোরী মেয়েটিসহ যারা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হয়ে দুর্বিষহ দিন যাপন করছে, তাদের জন্য কি আমরা আরেকবার সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়াতে পারি না!
পার্বত্য চট্টগ্রামে কল্পনা চাকমা থেকে শুরু করে পনেমালা ত্রিপুরা, বুদ্ধপুদি চাকমা, বলিমিলা চাকমা ও ১১ বছরের শিশু সুজাতা চাকমাদের সঙ্গে তুমাচিং মারমা যোগ হয়ে মৃত্যুর মিছিলের তালিকা আরও দীর্ঘ করেছে। পাহাড়ে নারী অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার তালিকার শেষ কোথায়, তা আমরা কেউ জানি না। যে শান্তির লক্ষ্যে ’৯৭ সালে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, চুক্তির পর পাহাড়ে নারী নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মাত্রা কোনো অংশে কমেনি। বরং গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চুক্তির পর পাহাড়ি-অধ্যুষিত এলাকায় বাঙালিদের বিচরণ অবাধ হওয়ায় ধর্ষণের মাত্রার ব্যাপকতা বেড়েছে। ঘরের বাইরে ৫০০ গজ দূরত্বও যদি পাহাড়ি নারীর জন্য অনিরাপদ হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ পাহাড়ি নারীদের মৃত্যুকূপে পরিণত হবে!
দিল্লির সাহসী মেয়েটির মৃত্যুকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ‘বীরের মৃত্যু’ হিসেবে অভিহিত করে ধর্ষকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অঙ্গীকার করেছেন। ভারতের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অথচ বাংলাদেশে একের পর এক ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটলেও, এ নিয়ে দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান তো ননই, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়জন ব্যক্তিত্ব এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন?
কাউখালীর তুমাচিংকে দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। পাহাড়ে ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটলেও, গণমাধ্যমে যে ঘটনাগুলো আলোচনার ঝড় তুলতে পারে না, সেগুলো পাহাড়ের আড়ালেই থেকে যায়। আর ফাঁকফোকরে কোনো ঘটনা হিট (!) হয়ে গেলে সে ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথ কিছুদিনের জন্য সরগরম থাকে। তাই কেবল বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই পাহাড়ের ঘটনাগুলো বিবেচনায় নেওয়া দরকার। কারণ, পাহাড়ে ‘ধর্ষণ’ শুধু পুরুষের বিকৃত লালসা নিবৃত্তির অংশ নয়, সেখানে জাতিগত নিপীড়নের একটি অন্যতম কৌশলও বটে! তাই কল্পনা চাকমা, বলিমিলা, সুজাতা ও তুবাচিং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এমন বর্বর ঘটনা ঘটেই যাবে।
দিল্লির মেয়েটি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভারতে যে অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন, সেই শিখা জ্বালাতে আমাদের দেশে আর কত সময় লাগবে! সেদিন আর কত দূর?
ইলিরা দেওয়ান: হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
ilira.dewan@gmail.com
No comments