মন্ত্রী আফছারুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন কিছু শিক্ষক নেতা
প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার এবং অপমানজনক বক্তব্যের অভিযোগ এনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনকে ক্ষমা চাইতে বললেন শিক্ষক নেতারা।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নেতারা বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি অপমানজনক বক্তব্যের জন্য তাকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ১৫ তারিখের পর মন্ত্রীর সঙ্গে কোন বৈঠকে শিক্ষকরা বসবেন না। এদিকে ভর্তিবাণিজ্যে জড়িতদের পক্ষ নিয়ে কিছু শিক্ষক নেতার এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতারা।যেসব শিক্ষক ভর্র্তিবাণিজ্য করার সময় ধরা পড়েছেন এমনকি শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয়েছে তাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন কেন করছেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই শিক্ষক নেতাদের কাছে। চোরকে চোর বলা মন্ত্রীর অপরাধ কিনা এ প্রশ্নে শিক্ষক নেতারা ছিলেন নীরব। এই শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি ঢাকার লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তিকালে অর্থ আদায়ের বিষয়টি একটি বেসরকারী চ্যানেলে প্রচারিত হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত ও ১৮ জন শিক্ষককে ময়মনসিংহে বদলি করা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা সমাধান চাইলে তিনি ওই শিক্ষকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করেন। এটা কোন মন্ত্রীর বক্তব্য হতে পারে না বলে দাবি শিক্ষক নেতাদের। শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল আউয়াল তালুকদার বলেন, বাংলাদেশে এখন পৌনে তিন লাখ সরকারী প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন মৌলিক সমস্যায় ধুঁকছে। বিশেষ করে পানীয়জলের অভাব, স্যানিটেশন সমস্যা ও বিদ্যুত সমস্যাসহ আরও নানা সমস্যা রয়েছে। কিন্তু লবিং করে কেউ কেউ হোম ভিজিট, উঠান বৈঠক, সমাজ উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা, পরীক্ষার ফলাফল কার্ড প্রদান, পরিচয়পত্র দান ইত্যাদির অবৈধপন্থায় সুযোগসুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যকে ভুল ও মিথ্যা অভিহিত করে বলেছেন, আমি শিক্ষকদের চোর বলেছি এটা যেমন ভুল তেমনি টেলিভিশনে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার পরেও কাউকে সমর্থন করে কথা বলাটাও ঠিক নয়।
No comments