স্থূলতা গবেষণা নিয়ে বিতর্ক
মানবদেহের বাড়তি ওজন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী উল্লেখ করে আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদল গবেষক বিষয়টিকে ‘আবর্জনার স্তূপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কারও কারও মতে, গবেষণার তথ্যটি ‘ভয়ংকর বার্তা’। স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন বা অতিরিক্ত স্থূলতা মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয় বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
স্থূলকায় ব্যক্তিদের অকালমৃত্যুর আশঙ্কা স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিদের তুলনায় কম বলে ওই বিতর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান কেন্দ্রের গবেষকেরা প্রায় ২৯ লাখ মানুষের ওপর ৯৭টি গবেষণা চালিয়ে তাঁদের মৃত্যুহারের তুলনা করেন। এ ক্ষেত্রে স্থূলতা নির্ণয়ে প্রত্যেকের উচ্চতা ও ওজনের ভারসাম্য সূচক (বিএমআই) ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্যকর বিএমআইয়ের মাত্রা ১৮ দশমিক ৫-এর ওপরে এবং ২৫-এর নিচে ধরা হয়। কোনো ব্যক্তির বিএমআই ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে তিনি স্থূলকায় বিবেচিত হন। তাঁর অকালমৃত্যুর আশঙ্কা স্বাভাবিক ওজনধারী ব্যক্তির তুলনায় ছয় শতাংশ কম বলে ওই গবেষণায় দাবি করা হয়। এতে আরও বলা হয়, মোটামুটি স্থূলকায় ব্যক্তিদের (যাঁদের বিএমআই ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে) অকালমৃত্যুর আশঙ্কা একেবারেই নেই।যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন ওয়াস বলেন, বিতর্কিত ওই গবেষণার বিপক্ষে বহু যুক্তি রয়েছে। ১০০ বছর বয়সী কোনো ব্যক্তি স্থূলকায় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। স্থূলকায় ব্যক্তিরা ওই বয়সে পৌঁছানোর বহু আগেই সাধারণত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বিবিসি।
No comments