শিবিরের মেস থেকে অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি
চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের ম্যাস থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করেছেন সংসদ সদস্যরা। একই সঙ্গে ছাত্রদলের অস্ত্রধারী ক্যাডারকে 'ছাত্রলীগ' বলে চালানোর বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচার সম্পর্কেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত-শিবিরই অস্ত্র-সন্ত্রাসের রাজনীতির হোতা_ তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিষয়টির সূত্রপাত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, অস্ত্রের মহড়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রামে শিবিরের মেস থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারম্নদ, জিহাদী বই উদ্ধারসহ জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতার গ্রেফতার নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত ৩০০ ধারায় বক্তব্য রাখা।তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের যে বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হলো সেটা জামায়াত নেতার নাকি জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব বাড়ি তা দেশবাসী জানতে চায়। উদ্ধারকৃত প্রতিটি অস্ত্রের গায়ে 'মেড ইন পাকিসত্মান' লেখা আছে। অথচ সেদিনও জামায়াতের একজন নেতা দরবেশের মতো বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। মনে হয় ভাজা মাছটা উল্টো খেতে পারেন না। মহাত্মা গান্ধীর কাছাকাছি।
অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে জামায়াত-শিবিরের বাড়ি থেকে, ছাত্রদল প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে নিজেরা মারামারি করছে, আর বিএনপি-জামায়াত বলে বেড়াচ্ছে যে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলতে কিছুই নেই। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অস্ত্রের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া একজন শিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি।
এমন শক্ত অভিযান পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরই যে অস্ত্রের রাজনীতির মূল হোতা তা দেশবাসীকে জানাতে হবে। এদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত করতে হবে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে তিনি বলেন, যদিও জামায়াত-শিবিরের বিরম্নদ্ধে কিছু হচ্ছে তা তারা হয়ত কিছুটা বুঝতে পারছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সরকারী দলের এ্যাডভোকেট ফজলে রাবি্ব মিয়া ফ্লোর নিয়ে বলেন, প্রকাশ্য অস্ত্র-কিরিচ-রামদা নিয়ে ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপ সংঘর্ষে লিপ্ত হলো, অথচ বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্বভাবসুলভ মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বললেন, ছাত্রলীগ নাকি এটা করেছে! দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের সচিত্র প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, খোদ বিএনপিপন্থী কিছু সংবাদ মাধ্যমেও বেরিয়েছে প্রকাশ্য অস্ত্রহাতে গুলিবর্ষণরত যুবকটি আর কেউ নয়, ঢাকা কলেজের ছাত্রদল ক্যাডার পাশা। এই ছেলেটি নাকি বিভিন্ন শিৰা প্রতিষ্ঠানে ভাড়াও খাটে। তিনি এই সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে বিএনপির মহাসচিবের নির্লজ্জ মিথ্যাচার নিয়েও সংসদে বক্তব্য রাখার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন।
পয়েন্ট অব অর্ডারে এমন দাবির প্রশ্নে স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ তাঁর রম্নলিং-এ বলেন, কাল (বৃহস্পতিবার) বেসরকারী দিবস। তবুও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ইচ্ছে করলে বৃহস্পতিবার দিনের কার্যসূচী শেষে এ ব্যাপারে বিবৃতি দিতে পারবেন।
No comments