'শেষ বই' লিখছেন খুশবন্ত সিং
তিনি বলছেন, এটিই হবে তাঁর শেষ বই। দুই বৃদ্ধের জীবন নিয়ে রচিত উপন্যাস। ৯৬ বছর বয়সী লেখক বলছেন, হাতে সময় বেশি নেই। সময় ফুরিয়ে আসছে। তাই শেষ উপন্যাসটি লিখে নিভৃতে যেতে চান তিনি। 'বৃদ্ধ' এই লেখকের নাম খুশবন্ত সিং। ভারতীয় ঔপন্যাসিক।
ছয় দশক ধরে ভারতের সাহিত্যকর্মে নিজেকে ব্যাপৃত করেছেন জনপ্রিয় এই লেখক। বদমেজাজি বলেও 'খ্যাতি' আছে তাঁর। নিজের লেখায় নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রসবোধ ও রসিকতা। তিনি এখন বলছেন, সময় হয়েছে অন্য কিছু করার। তাঁর ভাষায়, 'কিছুই না করার জন্য নিজেকে গড়ে তুলছিলাম আমি। হিন্দুশাস্ত্র মতে, শেষ জীবনে মানুষ হবে অরণ্যচারী, অর্থাৎ মানুষের যাওয়া উচিত বানপ্রস্থে।'
দিলি্লতে নিজের বাসভবনে সিং যখন এ কথা বলছিলেন তখন তাঁর মুখে লেগে ছিল মৃদু হাসি। হৃদয়গ্রাহী সে হাসির অর্থ জীবনকে উপভোগ করা এক মানুষের। তাঁর বাবার তৈরি বাসভবনটি পুরনো। এতে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্যরীতির ছোঁয়া। তবে দরজায় তিনি সেঁটে দিয়েছেন, 'আপনি আমন্ত্রিত না হলে দয়া করে দরজার বেল বাজাবেন না' কথাটি। সিং বলেন, 'মানুষের সঙ্গে দেখা না করার প্রাণপণ চেষ্টা করি আমি। কারণ এটি আমার কাছে ক্লান্তিকর মনে হয়।'
আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। কূটনীতিক হিসেবেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি লেখালেখি। খোলামেলা মন্তব্যের জন্য বিশেষ পরিচিত তিনি। নরনারীর যৌনতা নিয়ে কয়েক দশক ধরে তিনি অনেক খোলাখুলি কথা বলেছেন। তাঁকে ঘিরে জমে ওঠে আলোচনা-সমালোচনা। তাঁর সাহিত্যকর্মে, বিশেষ করে শেষদিককার বইগুলোতে যৌনতাকে চিত্রিত করেছেন ব্যাপকভাবে। জীবনে খুব বেশি নারীসঙ্গ না পাওয়াই হয়তো সিংয়ের জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। তবে নিজের নানা ধরনের সরস মন্তব্যের জন্য তিনি গর্ববোধ করেন। সূত্র : এপি।
দিলি্লতে নিজের বাসভবনে সিং যখন এ কথা বলছিলেন তখন তাঁর মুখে লেগে ছিল মৃদু হাসি। হৃদয়গ্রাহী সে হাসির অর্থ জীবনকে উপভোগ করা এক মানুষের। তাঁর বাবার তৈরি বাসভবনটি পুরনো। এতে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্যরীতির ছোঁয়া। তবে দরজায় তিনি সেঁটে দিয়েছেন, 'আপনি আমন্ত্রিত না হলে দয়া করে দরজার বেল বাজাবেন না' কথাটি। সিং বলেন, 'মানুষের সঙ্গে দেখা না করার প্রাণপণ চেষ্টা করি আমি। কারণ এটি আমার কাছে ক্লান্তিকর মনে হয়।'
আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। কূটনীতিক হিসেবেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি লেখালেখি। খোলামেলা মন্তব্যের জন্য বিশেষ পরিচিত তিনি। নরনারীর যৌনতা নিয়ে কয়েক দশক ধরে তিনি অনেক খোলাখুলি কথা বলেছেন। তাঁকে ঘিরে জমে ওঠে আলোচনা-সমালোচনা। তাঁর সাহিত্যকর্মে, বিশেষ করে শেষদিককার বইগুলোতে যৌনতাকে চিত্রিত করেছেন ব্যাপকভাবে। জীবনে খুব বেশি নারীসঙ্গ না পাওয়াই হয়তো সিংয়ের জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। তবে নিজের নানা ধরনের সরস মন্তব্যের জন্য তিনি গর্ববোধ করেন। সূত্র : এপি।
No comments