সন্ত্রাস দমনে টাস্কফোর্স গঠনের প্রসত্মাব দেবে বাংলাদেশ- ভুটানে সার্ক সম্মেলনে উদ্যোগ নেয়া হবে
কূটনৈতিক রিপোর্টার বহুপাকি সহযোগিতার মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রসত্মাব দেবে বাংলাদেশ। চলতি বছরের এপ্রিলে ভুটানে অনুষ্ঠিতব্য ষোড়শ সার্ক শীর্ষ সন্মেলনে বাংলাদেশের প থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এই প্রসত্মাব তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে পর্যায়ক্রমে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার কৌশল ও ধরন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সূত্র জানায়, গত বছরের শুরম্নতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার ওপর গুরম্নত্ব দেয়া হচ্ছে। গত কয়েক মাসে একাধিক আঞ্চলিক ও আনত্মর্জাতিক ফোরামেও এককভাবে সন্ত্রাস মোকাবেলা না করে আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হয়। মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও উগ্র সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় দণি এশিয়া টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টি অন্যতম এজেন্ডা। সূত্র জানায়, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী হামলার ধরন পরিবর্তন হওয়ায় এখন আর কোন দেশের প েএককভাবে সন্ত্রাসী কর্মকা- মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে দণি এশিয়ার দেশগুলোর অধিকাংশই কম-বেশি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছে। এক দেশের সন্ত্রাসীদের অন্য দেশে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে হামলা কিংবা হামলার পর সীমানত্ম অতিক্রম করে নির্বিঘ্নে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে। ফলে আঞ্চলিক একটি নেটওয়ার্কের আওতায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার কর্মকৌশল নির্ধারণের জন্য সার্ক সদস্য দেশগুলোর কাছে প্রসত্মাব করতে পারে বাংলাদেশ। এর আগে গত বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র এবং তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী প্রণব মুখাজর্ীর ঢাকা সফরের সময় আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠনের প্রসত্মাব তুলে ধরা হয়। পর্যায়ক্রমে সার্কের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও টাস্কফোর্স গঠনের প্রসত্মাব দিয়ে বাংলাদেশের প থেকে আলোচনা করা হবে বলে সূত্র জানায়। এপ্রিলে ভুটানে ষোড়শ সার্ক শীর্ষ সন্মেলনে টাস্কফোর্সের একটি রূপরেখা তুলে ধরা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে প্রসত্মাবিত টাস্কফোর্স কিভাবে কাজ করবে এবং সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ত্রেগুলোর কি হবে তা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে। চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচিত ভারত সফরকালে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী দমনে ঢাকা ও নয়াদিলস্নীর মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বারিত হয়। দ্বিপাকি এই চুক্তির বাইরে আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ দমনের কৌশল নির্ধারণ করতে চায় বাংলাদেশ।২০০৯ সালে মালদ্বীপে ষোড়শ সার্ক শীর্ষ সন্মেলন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটি সন্মেলনে আয়োজনে অপারগতা প্রকাশ করায় সার্কের ুদ্ররাষ্ট্র ভুটান সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব লাভ করে। সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, ভুটানের প্রসত্মাব অনুযায়ী আগামী ২৮ ও ২৯ এপ্রিল রাজধানী থিম্পুতে সন্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এবং ২২ এপ্রিল থেকে সিনিয়র কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভুটানের প্রসত্মাবে সার্কের সদস্য দেশগুলোর আপাতত কোন আপত্তি নেই বলে জানা গেছে। ফলে দেশটির প্রসত্মাব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সার্ক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরে ফেব্রম্নয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় সার্ক মন্ত্রী পর্যায়ের সন্মেলনে মালদ্বীপ সার্ক শীর্ষ সন্মেলন আয়োজনে তাদের অপারগতার কথা জানায়। অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশটির প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন শিল্পে ধস নামায় দেশটির প েশীর্ষ সন্মেলন আয়োজন সম্ভব নয় বলে জানায়। ২০০৯ সালের আগস্টে মালেতে এই সন্মেলন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। মালদ্বীপের প থেকে বছরের শেষ দিকে সন্মেলন অনুষ্ঠানের প্রসত্মাব দেয়া হলেও সার্কের প্রভাবশালী সদস্য রাষ্ট্র ভারত ও নেপাল ঐ প্রসত্মাবে দ্বিমত পোষণ করে। ভারত ও নেপাল তাদের ধমর্ীয় উৎসব দিওয়ালীর কারণে সন্মেলন অনুষ্ঠানে আপত্তি জানায়। এর আগে মালদ্বীপের পঞ্চদশ সার্ক সন্মেলন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে শ্রীলঙ্কা তাদের স্বাধীনতার ৬০ বছর পূর্তি উপল ে২০০৮ সালের আগস্টে পঞ্চদশ সার্ক শীর্ষ সন্মেলনের আয়োজন করে।
No comments