�উড়াল সড়ক প্রকল্পের কাজে বাধা নেই�-মন্ত্রী বললেন এ মাসেই চুক্তি
রাজধানীতে উড়াল সড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণে সিকদার রিয়েল এস্টেটের প্রস্তাব বিবেচনার জন্য হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে উভয় পক্ষকে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ গতকাল রবিবার এ আদেশ দেন। ফলে উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আপিল বিভাগের আদেশের পর যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চলতি মাসেই
ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শর্তাবলি চূড়ান্ত করে এ মাসেই চুক্তি সই করা হবে।
অন্যদিকে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, �আপিল বিভাগ বিষয়টি বাতিল করেননি। স্থগিত করেছেন। যতটা শুনেছি, হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। এ কারণে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হব আমরা।�
ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ অংশীদারিত্বে (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) সরকার উড়াল সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছর ৬ এপ্রিল সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এ সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এ জন্য চারটি দেশি-বিদেশি কম্পানিকে প্রাক-যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এ চারটি কম্পানি হলো ইতালি ও থাইল্যান্ডের যৌথ প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি, বাংলাদেশ ও কোরিয়ার যৌথ প্রতিষ্ঠান সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেড, ভারত ও ফ্রান্সের যৌথ প্রতিষ্ঠান ক্যানন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট লি.-বয়গাস ট্রাভাক্স পাবলিকস এসএ কনসোর্টিয়াম এবং চীনের চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল লি.। এরপর গত ২৩ নভেম্বর দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি এবং সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি অংশ নেয়।
এ দরপত্র মূল্যায়নের জন্য ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে প্রধান করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটি করা হয়। এ কমিটি দরপত্র মূল্যায়নের জন্য সাতটি ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করে। প্রত্যেক ক্রাইটেরিয়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে শতকরা ৬০ নম্বর এবং সব মিলিয়ে শতকরা ৮০ নম্বর পাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।
কম্পানি দুটির কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়নে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় ওই কম্পানি তিনটি ক্রাইটেরিয়ায় শতকরা ৬০ নম্বর পেতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে সব মিলিয়ে ওই কম্পানির শতকরা ৬৫ দশমিক ২ নম্বর পায়। অপরদিকে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি প্রতিটি ক্ষেত্রে শতকরা ৬০ নম্বরের বেশি পেয়েছে এবং সব মিলিয়ে শতকরা ৮৮ নম্বর পায়। এ জন্য কারিগরি কমিটি সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের আর্থিক প্রস্তাব না খুলেই ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করে। এ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষ গত ১৩ ডিসেম্বর সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডকে চিঠি দেয়। অন্যদিকে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানির আর্থিক প্রস্তাব খোলার জন্য তাদের চিঠি দেয়।
এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেড। হাইকোর্ট সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের আর্থিক প্রস্তাব খোলার নির্দেশ দেন সেতু কর্তৃপক্ষের প্রতি।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত করার জন্য আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে সেতু কর্তৃপক্ষ। এরপর চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। গতকাল আবেদনটির ওপর আপিল বিভাগে শুনানি হয়। এরপর আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন।
সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের আইনজীবী ছিলেন ড. এম জহির এবং সেতু কর্তৃপক্ষের আইজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
উড়াল সড়কটি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, সাত রাস্তা, মগবাজার, কমলাপুর, খিলগাঁও, গোলাপবাগ হয়ে যাত্রবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। মূল সড়কটি হবে ২১ কিলোমিটার। এর সঙ্গে আরো পাঁচ কিলোমিটারের দুটি লিংক যুক্ত হবে। এর একটি হবে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সাত রাস্তায় এবং অন্যটি হবে পলাশি থেকে মগবাজারে।
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, �সিকদার রিয়েল এস্টেটের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রকল্প নিয়ে আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।�
আদালতের আদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, �ইতালি-থাইয়ের এক কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের অভিজ্ঞতা নেই। তারা গত কয়েক বছর অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। তিন বছর ধরে তারা নেগেটিভ ব্যালেন্সে চলছে। এ সব তথ্য ইতালি-থাইয়ের ইন্টারনেটে গেলেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া তারা পিপিআর মানেনি।�
আপিল বিভাগের আদেশের পর যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চলতি মাসেই
ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শর্তাবলি চূড়ান্ত করে এ মাসেই চুক্তি সই করা হবে।
অন্যদিকে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, �আপিল বিভাগ বিষয়টি বাতিল করেননি। স্থগিত করেছেন। যতটা শুনেছি, হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। এ কারণে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হব আমরা।�
ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ অংশীদারিত্বে (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) সরকার উড়াল সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছর ৬ এপ্রিল সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এ সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এ জন্য চারটি দেশি-বিদেশি কম্পানিকে প্রাক-যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এ চারটি কম্পানি হলো ইতালি ও থাইল্যান্ডের যৌথ প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি, বাংলাদেশ ও কোরিয়ার যৌথ প্রতিষ্ঠান সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেড, ভারত ও ফ্রান্সের যৌথ প্রতিষ্ঠান ক্যানন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট লি.-বয়গাস ট্রাভাক্স পাবলিকস এসএ কনসোর্টিয়াম এবং চীনের চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল লি.। এরপর গত ২৩ নভেম্বর দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি এবং সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি অংশ নেয়।
এ দরপত্র মূল্যায়নের জন্য ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে প্রধান করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটি করা হয়। এ কমিটি দরপত্র মূল্যায়নের জন্য সাতটি ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করে। প্রত্যেক ক্রাইটেরিয়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে শতকরা ৬০ নম্বর এবং সব মিলিয়ে শতকরা ৮০ নম্বর পাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।
কম্পানি দুটির কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়নে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় ওই কম্পানি তিনটি ক্রাইটেরিয়ায় শতকরা ৬০ নম্বর পেতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে সব মিলিয়ে ওই কম্পানির শতকরা ৬৫ দশমিক ২ নম্বর পায়। অপরদিকে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি প্রতিটি ক্ষেত্রে শতকরা ৬০ নম্বরের বেশি পেয়েছে এবং সব মিলিয়ে শতকরা ৮৮ নম্বর পায়। এ জন্য কারিগরি কমিটি সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের আর্থিক প্রস্তাব না খুলেই ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করে। এ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষ গত ১৩ ডিসেম্বর সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডকে চিঠি দেয়। অন্যদিকে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানির আর্থিক প্রস্তাব খোলার জন্য তাদের চিঠি দেয়।
এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেড। হাইকোর্ট সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের আর্থিক প্রস্তাব খোলার নির্দেশ দেন সেতু কর্তৃপক্ষের প্রতি।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত করার জন্য আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে সেতু কর্তৃপক্ষ। এরপর চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। গতকাল আবেদনটির ওপর আপিল বিভাগে শুনানি হয়। এরপর আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন।
সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের আইনজীবী ছিলেন ড. এম জহির এবং সেতু কর্তৃপক্ষের আইজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
উড়াল সড়কটি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, সাত রাস্তা, মগবাজার, কমলাপুর, খিলগাঁও, গোলাপবাগ হয়ে যাত্রবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। মূল সড়কটি হবে ২১ কিলোমিটার। এর সঙ্গে আরো পাঁচ কিলোমিটারের দুটি লিংক যুক্ত হবে। এর একটি হবে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সাত রাস্তায় এবং অন্যটি হবে পলাশি থেকে মগবাজারে।
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, �সিকদার রিয়েল এস্টেটের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রকল্প নিয়ে আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।�
আদালতের আদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসি জেভি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, �ইতালি-থাইয়ের এক কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের অভিজ্ঞতা নেই। তারা গত কয়েক বছর অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। তিন বছর ধরে তারা নেগেটিভ ব্যালেন্সে চলছে। এ সব তথ্য ইতালি-থাইয়ের ইন্টারনেটে গেলেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া তারা পিপিআর মানেনি।�
No comments