এ কেমন ধারাভাষ্য? by আসিফ আহমেদ
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ খেলা চলছিল শুক্রবার। বাংলাদেশ দল হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলল। জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হতে চলেছে। হতাশ দর্শকদের কেউ কেউ অনেক শ্রম, সাধনা আর অর্থে কেনা টিকিটের পূর্ণ ব্যবহার না করেই মাঠ ছাড়তে শুরু করেছে। এতে দোষের কিছু নেই।
কিন্তু গাড়িতে বসে বেতারে ধারাভাষ্য শুনতে শুনতে তো আক্কেল গুড়ূম। একজন ভাষ্যকার রীতিমতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের তুলাধোনা করতে শুরু করেছেন। দল কেন পাওয়ার প্লে নিচ্ছে না, সে প্রশ্ন তোলেন। আরও বলেন, বাংলাদেশ দল সবসময় ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। মাশরাফিকে দলে না নেওয়া ভুল, আশরাফুলকে প্রথম একাদশে না রাখা ভুল। তিনি এও বললেন : যার হয় না ৯-এ, তার হয় না ৯০-এ।
এ যে মস্তবড় অভিযোগ। কিন্তু এ ভাষ্যকার সম্ভবত জানেন না যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখনও বিশ্বের এক বা দুই নম্বর দল নয়। ইংল্যান্ডের মতো দলীয় শক্তি-সামর্থ্য তার নেই। এখন পর্যন্ত আমাদের গর্বের দলটি প্রতিটি খেলায় বড় প্রতিপক্ষকে হারানোর মতো পর্যায়ে যেতে পারেনি। এমন প্রত্যাশা আমাদের অবশ্যই রয়েছে এবং তা পূরণের জন্য খেলোয়াড়দের সচেষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু অসম্ভব অর্জন এখনও মাঝে মধ্যেই আসবে। সাধারণ দর্শকরা এ বাস্তবতা না-ও বুঝতে পারে। কিন্তু ধারাভাষ্য দিতে যারা মাইক নিয়ে বসেন তাদের অবশ্যই মাথা ঠাণ্ডা রাখা চাই। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ বেতারে যে ভাষ্যকার ক্ষোভ ও হতাশার কারণে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন, তাকে শাস্তি দেওয়া হোক এমন দাবি করব না। কিন্তু তিনি যা করেছেন তা শুধু অশোভন নয়, কিছুটা উস্কানিমূলকও। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি খেলোয়াড়দের বাড়িতে মাথা গরম করা কেউ কেউ হামলাও করতে পারে।
মাঠে যারা খেলেন তারা সাধ্য অনুযায়ীই খেলার চেষ্টা করেন। সর্বদা তারা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন না। কিন্তু এজন্য তাদের গালমন্দ করার যুক্তি নেই।
আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সমাধানে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। বিরোধী দলেরও ব্যর্থতা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের একটি অংশের মুনাফালোভ সীমাহীন। দুর্নীতি-অনিয়ম সর্বগ্রাসী। এ নিয়ে রোষ-ক্ষোভ স্বাভাবিক। কিন্তু তার প্রকাশে আমরা কি মাত্রা ছাড়িয়ে যাই? তাছাড়া রূঢ় কিংবা কঠিন ভাষায় কথা বললেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? এর উত্তর সবার জানা। একইভাবে ধারাভাষ্যকাররা চাইলেও কিন্তু খেলাধুলার মান রাতারাতি বাড়াতে পারবেন না। এজন্য প্রক্রিয়া দরকার। শ্রম, সাধনা এবং আরও নানা ধরনের বিনিয়োগ দরকার। একইসঙ্গে চাই তাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থন। জয়লাভ করলে অবশ্যই বিশেষ প্রশংসা দেওয়া হবে, কিন্তু একক কিংবা দলগতভাবে খারাপ খেললেই গালমন্দ করার কোনো যুক্তি নেই।
এ যে মস্তবড় অভিযোগ। কিন্তু এ ভাষ্যকার সম্ভবত জানেন না যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখনও বিশ্বের এক বা দুই নম্বর দল নয়। ইংল্যান্ডের মতো দলীয় শক্তি-সামর্থ্য তার নেই। এখন পর্যন্ত আমাদের গর্বের দলটি প্রতিটি খেলায় বড় প্রতিপক্ষকে হারানোর মতো পর্যায়ে যেতে পারেনি। এমন প্রত্যাশা আমাদের অবশ্যই রয়েছে এবং তা পূরণের জন্য খেলোয়াড়দের সচেষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু অসম্ভব অর্জন এখনও মাঝে মধ্যেই আসবে। সাধারণ দর্শকরা এ বাস্তবতা না-ও বুঝতে পারে। কিন্তু ধারাভাষ্য দিতে যারা মাইক নিয়ে বসেন তাদের অবশ্যই মাথা ঠাণ্ডা রাখা চাই। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ বেতারে যে ভাষ্যকার ক্ষোভ ও হতাশার কারণে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন, তাকে শাস্তি দেওয়া হোক এমন দাবি করব না। কিন্তু তিনি যা করেছেন তা শুধু অশোভন নয়, কিছুটা উস্কানিমূলকও। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি খেলোয়াড়দের বাড়িতে মাথা গরম করা কেউ কেউ হামলাও করতে পারে।
মাঠে যারা খেলেন তারা সাধ্য অনুযায়ীই খেলার চেষ্টা করেন। সর্বদা তারা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন না। কিন্তু এজন্য তাদের গালমন্দ করার যুক্তি নেই।
আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সমাধানে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। বিরোধী দলেরও ব্যর্থতা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের একটি অংশের মুনাফালোভ সীমাহীন। দুর্নীতি-অনিয়ম সর্বগ্রাসী। এ নিয়ে রোষ-ক্ষোভ স্বাভাবিক। কিন্তু তার প্রকাশে আমরা কি মাত্রা ছাড়িয়ে যাই? তাছাড়া রূঢ় কিংবা কঠিন ভাষায় কথা বললেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? এর উত্তর সবার জানা। একইভাবে ধারাভাষ্যকাররা চাইলেও কিন্তু খেলাধুলার মান রাতারাতি বাড়াতে পারবেন না। এজন্য প্রক্রিয়া দরকার। শ্রম, সাধনা এবং আরও নানা ধরনের বিনিয়োগ দরকার। একইসঙ্গে চাই তাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থন। জয়লাভ করলে অবশ্যই বিশেষ প্রশংসা দেওয়া হবে, কিন্তু একক কিংবা দলগতভাবে খারাপ খেললেই গালমন্দ করার কোনো যুক্তি নেই।
No comments