১২ বছরেই সম্পাদক
দেশের মানুষের সেবা করতে চায় উৎকর্ষ। কিন্তু সে জন্য বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ সে। বয়স ১২ চলছে। বড় হওয়া মানে তো আরো অনেক বছর! তাই বাবার কাছে সে ধরনা ধরে এ বয়সেই একটা উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য।
বাবার পরামর্শে ছোট্ট উৎকর্ষ এখন ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এলাহাবাদ শহরের খুদে সাংবাদিক বনে গেছে। সমাজের অসংগতি সে তুলে ধরে তার নিজের হাতে প্রকাশিত পত্রিকায়। সহপাঠী, শিক্ষক, প্রতিবেশীরাও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
পুরো নাম উৎকর্ষ ত্রিপতি। এলাহাবাদের ব্রিজ বিহারি সাহা (বিবিএস) ইন্টার কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সে। এক বছর ধরে হাতে লেখা চার পৃষ্ঠার সাদাকালো সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করছে সে। নাম জাগৃতি। প্রতিবেদক, সম্পাদক, প্রকাশকের দায়িত্বের পাশাপাশি বিক্রির জন্য হকারের ভূমিকাও পালন করতে হয় তার। তবে জাগৃতির জন্য পাঠকদের পয়সা খরচ করতে হয় না। দেওয়া হয় বিনামূল্যে।
এলাহাবাদের খাতজু কলোনিতে বসবাসকারী উৎকর্ষ জানায়, পরিবেশ ও নারীর সমস্যাসংক্রান্ত বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় থাকে সম্পাদকীয় পাতায়। এ ছাড়া জনকল্যাণমূলক বিষয়, দারিদ্র্য ও শিশুদের জন্য সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালাসহ বিজ্ঞানী, রাজনীতিক ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের সফলতার কাহিনীও তুলে ধরা হয় জাগৃতিতে। উৎকর্ষ জানায়, 'সংবাদ সংগ্রহ থেকে শুরু করে সম্পাদনা, প্রকাশ ও বিলি_সব একাই করি। আপনি জানতে চাইবেন, একার পক্ষে সব কিভাবে সম্ভব? খুবই সোজা। হাতে লিখে প্রথমে পত্রিকাটির একটি কপি তৈরি করি। পরে সেটা ফটোকপির দোকানে নিয়ে কপি করলেই হলো।' এলাহাবাদ শহরে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১৫০ জন পাঠক রয়েছে জাগৃতির। উৎকর্ষের সহপাঠী, জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরাও আছে পাঠকের তালিকায়।
উৎকর্ষের বাবা হরিপ্রসাদের মতে, তাঁর ছেলের লেখালেখির সহজাত ক্ষমতা আছে। তিনি বলেন, 'বছর খানেকেরও বেশি আগে একটা হিন্দি দৈনিকে ভারত-চীন সম্পর্কের ওপর নিবন্ধ পড়ে উৎকর্ষ। আমি জানি না, কোন বিষয়টি তাকে প্রভাবিত করেছে। দেশের সেবার একটি উপায় বাতলে দেওয়ার পরামর্শ চায় আমার কাছে। স্কুলজীবন থেকেই কাজটি সে শুরু করতে চায়। তাই তাকে সাংবাদিকের মতো লিখে সমাজের সবাইকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার পরামর্শ দেই।' উৎকর্ষ বলে, 'পত্রিকার নাম দিয়েছি জাগৃতি। কারণ, আমার লক্ষ্য জনগণকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।' সূত্র : আইএএনএস, জিনিউজ।
পুরো নাম উৎকর্ষ ত্রিপতি। এলাহাবাদের ব্রিজ বিহারি সাহা (বিবিএস) ইন্টার কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সে। এক বছর ধরে হাতে লেখা চার পৃষ্ঠার সাদাকালো সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করছে সে। নাম জাগৃতি। প্রতিবেদক, সম্পাদক, প্রকাশকের দায়িত্বের পাশাপাশি বিক্রির জন্য হকারের ভূমিকাও পালন করতে হয় তার। তবে জাগৃতির জন্য পাঠকদের পয়সা খরচ করতে হয় না। দেওয়া হয় বিনামূল্যে।
এলাহাবাদের খাতজু কলোনিতে বসবাসকারী উৎকর্ষ জানায়, পরিবেশ ও নারীর সমস্যাসংক্রান্ত বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় থাকে সম্পাদকীয় পাতায়। এ ছাড়া জনকল্যাণমূলক বিষয়, দারিদ্র্য ও শিশুদের জন্য সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালাসহ বিজ্ঞানী, রাজনীতিক ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের সফলতার কাহিনীও তুলে ধরা হয় জাগৃতিতে। উৎকর্ষ জানায়, 'সংবাদ সংগ্রহ থেকে শুরু করে সম্পাদনা, প্রকাশ ও বিলি_সব একাই করি। আপনি জানতে চাইবেন, একার পক্ষে সব কিভাবে সম্ভব? খুবই সোজা। হাতে লিখে প্রথমে পত্রিকাটির একটি কপি তৈরি করি। পরে সেটা ফটোকপির দোকানে নিয়ে কপি করলেই হলো।' এলাহাবাদ শহরে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১৫০ জন পাঠক রয়েছে জাগৃতির। উৎকর্ষের সহপাঠী, জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরাও আছে পাঠকের তালিকায়।
উৎকর্ষের বাবা হরিপ্রসাদের মতে, তাঁর ছেলের লেখালেখির সহজাত ক্ষমতা আছে। তিনি বলেন, 'বছর খানেকেরও বেশি আগে একটা হিন্দি দৈনিকে ভারত-চীন সম্পর্কের ওপর নিবন্ধ পড়ে উৎকর্ষ। আমি জানি না, কোন বিষয়টি তাকে প্রভাবিত করেছে। দেশের সেবার একটি উপায় বাতলে দেওয়ার পরামর্শ চায় আমার কাছে। স্কুলজীবন থেকেই কাজটি সে শুরু করতে চায়। তাই তাকে সাংবাদিকের মতো লিখে সমাজের সবাইকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার পরামর্শ দেই।' উৎকর্ষ বলে, 'পত্রিকার নাম দিয়েছি জাগৃতি। কারণ, আমার লক্ষ্য জনগণকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।' সূত্র : আইএএনএস, জিনিউজ।
No comments