বিশ্বের প্রাচীনতম মানচিত্র
ওয়াশিংটনে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসে একটি ঐতিহাসিক মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটাই বিশ্বের প্রাচীনতম 'ওয়ার্ল্ড ম্যাপ' বা 'বিশ্ব মানচিত্র'। ইতালির মিশনারি মাত্তিও রিচি ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে এই মানচিত্র অঙ্কন করেন। বর্তমানে এর দু'টি কপি তুলনামূলকভাবে ভাল অবস্থায় আছে, যার একটি স্থান পেয়েছে বিশ্বের এই বৃহত্তম গ্রন্থাগারে। দুর্লভ এবং ভঙ্গুর এই মানচিত্র অাঁকা হয়েছিল ধানগাছের তৈরি কাগজে। এটি এখন হয়ে উঠেছে 'ইমপসিল বস্ন্যাক টিউলিপ অফ ফর্টোগ্রাফি' (মানচিত্রবিদ্যার অভাবনীয় কৃষ্ণকলি)। উত্তর আমেরিকায় এই মানচিত্রের এটাই প্রথম প্রদর্শনী। মানচিত্রের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে চীনের নাম। যা হোক সম্রাট ওয়ানলির অনুরোধে রিচি এই মানচিত্র এঁকেছিলেন। শিৰানুরাগী সম্রাট প-িত এবং আবিষ্কারকদের সহায়তা করার লৰ্যেই মানচিত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
চীনাদের সম্মান
চীনারা এই মানচিত্রকে খুবই সম্মানজনক কাজ বলে মূল্যায়ন করে থাকে। জেমন ফোর্ড বেল ট্রাস্ট গত অক্টোবরে ১০ লাখ ডলারে এই মানচিত্র কিনে নেন। এটা এ পর্যনত্ম বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া মানচিত্র। এতে তৎকালীন বিশ্বের বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ স্থানের বিবরণ এবং চিত্র রয়েছে। যেমন, আমেরিকান অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের চমৎকার বর্ণনা দেয়া আছে এই ম্যাপে। চিলির নাম লেখা আছে 'চিহ-লি' গুয়াতেমালা 'ওয়া-তি-মালা' কানাড 'কা-না-টা' এবং ফোরিডার নাম 'দ্য ল্যান্ড অব ফাওয়ার্স' (ফুলের দেশ)। 'জেমস ফোর্ড বেল ট্রাস্ট'-এর ট্রাস্টি ফোর্ড ডাবলিউ বেল পিটসবার্গ ট্রিবিউন-রিভিউ সংবাদপত্রকে বলেন, আমাদের জানা মতে, এটি সেরা মানের দু'টি মানচিত্রের একটি। তিনি বলেন, রিচি দলে খুবই চৌকস মিশনারি। তিনি চীনকে দেশটির গুরম্নত্ব তুলে ধরার জন্যই মানচিত্রের কেন্দ্রস্থলে প্রদর্শন করেছেন। রিচি অবশ্য প্রথম পশ্চিমা, যিনি বেজিংয়ের মাটিতে প্রথম পা রাখেন। চীনারা তাকে অত্যনত্ম সম্মান করতেন এবং চীন দেশেই তাকে কবর দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তি বান ঝাং বলেন, এই মানচিত্র প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের প্রথম মিলন ঘটিয়েছে।
সিফাত মোসাদ্দেক ভূঁইয়া
সূত্র : বিবিসি
চীনাদের সম্মান
চীনারা এই মানচিত্রকে খুবই সম্মানজনক কাজ বলে মূল্যায়ন করে থাকে। জেমন ফোর্ড বেল ট্রাস্ট গত অক্টোবরে ১০ লাখ ডলারে এই মানচিত্র কিনে নেন। এটা এ পর্যনত্ম বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া মানচিত্র। এতে তৎকালীন বিশ্বের বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ স্থানের বিবরণ এবং চিত্র রয়েছে। যেমন, আমেরিকান অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের চমৎকার বর্ণনা দেয়া আছে এই ম্যাপে। চিলির নাম লেখা আছে 'চিহ-লি' গুয়াতেমালা 'ওয়া-তি-মালা' কানাড 'কা-না-টা' এবং ফোরিডার নাম 'দ্য ল্যান্ড অব ফাওয়ার্স' (ফুলের দেশ)। 'জেমস ফোর্ড বেল ট্রাস্ট'-এর ট্রাস্টি ফোর্ড ডাবলিউ বেল পিটসবার্গ ট্রিবিউন-রিভিউ সংবাদপত্রকে বলেন, আমাদের জানা মতে, এটি সেরা মানের দু'টি মানচিত্রের একটি। তিনি বলেন, রিচি দলে খুবই চৌকস মিশনারি। তিনি চীনকে দেশটির গুরম্নত্ব তুলে ধরার জন্যই মানচিত্রের কেন্দ্রস্থলে প্রদর্শন করেছেন। রিচি অবশ্য প্রথম পশ্চিমা, যিনি বেজিংয়ের মাটিতে প্রথম পা রাখেন। চীনারা তাকে অত্যনত্ম সম্মান করতেন এবং চীন দেশেই তাকে কবর দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তি বান ঝাং বলেন, এই মানচিত্র প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের প্রথম মিলন ঘটিয়েছে।
সিফাত মোসাদ্দেক ভূঁইয়া
সূত্র : বিবিসি
No comments