ক্রিকেটে আশার ফুল- বাঙালির ইংরেজ-বধের মহাকাব্য
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ক্রিকেট ইতিহাসে এক স্নায়ুক্ষয়ী মহারণের সাক্ষী হয়ে গেল। ব্রাত্য বনাম কূলীনের লড়াইয়ে সব প্রচলিত হিসাব-নিকাশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে যেন অস্তিত্বের সংগ্রামে টিকে থাকার শাশ্বত মহাকাব্য রচনা করল বাংলাদেশ।
মনে পড়ে! সেই ঔপনিবেশিক যুগে পরাধীনতার জোয়াল ছিন্ন করার প্রত্যয়ে সূর্য সেন, অনন্ত সিংহের মতো একঝাঁক তরুণ নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশদের। সেদিনের তারুণ্য সফল হতে না পারলেও তাদের উত্তরসূরি মাহমুদউল্লাহ, শফিউল, ইমরুল কায়েসরা এবার ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সূতিকাগার এই চট্টগ্রামেই সম্মুখ সমরে হারিয়ে ইংরেজদের মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করলেন। সে এক অবিশ্বাস্য বিজয়! কোন ভাষায়, কীভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে বাংলার দামাল ছেলেদের ইংরেজ-বধের এই ম্যাচকে?
ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা_ এই পরম সত্যকে ইতিহাস তার নিক্তিতে এদিন যাচাই করে নিতে চাইল যেন। তা না হলে ইংল্যান্ড দলের ২২৫ রান তাড়া করতে গিয়ে এক সময় বাংলাদেশের ১৬৯ রান উঠাতেই আট উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কথিত ভেতো বাঙালি আবার শিনা টানটান করে দাঁড়াতে পারে তার প্রবল প্রতিপক্ষের সামনে! সেই অসামান্য কাজটিই করে দেখাল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তারা মনের আকাশের নিভে যাওয়া সব তারাকে একত্রিত করে জয়ের মশাল জ্বেলে বাঙালি প্রাণে নিমেষে আবার আশার আলো জ্বালাল। শোকে-বিষণ্নতায় মমি বনে যাওয়া গ্যালারি এবং সম্ভাব্য পরাজয়ের একরাশ বেদনা বুকে নিয়ে দর্শক সারি ত্যাগ করে বাড়ির পথ ধরা মানুষকে তারা এক লহমায় আবার মাঠমুখী, টেলিভিশনমুখী করে ছাড়ল। এভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন নবজন্ম হলো। হয়তো সমালোচনা হবে, তামিম বিদায় নেওয়ার পর জুনায়েদ সিদ্দিকীর রান আউট বা ৬০ রান করার পর ইমরুল কায়েসের অনর্থক অতিরিক্ত রান নিতে গিয়ে রান আউট হওয়া অথবা সাকিবের ওভাবে সুইপ খেলতে গিয়ে বল ইনার এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলবে ক্রিকেটীয় রীতিতে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে শেষ পর্যন্ত দলে নিয়ে সিলেক্টররা বিলম্বে হলেও সঠিক কাজটি করেছেন বলে বাহবা কুড়াবেন। টিম সাজানো নিয়েও ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ দল যে জয় জাতিকে উপহার দিল সেটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। হ্যাঁ! বাঙালিরা স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধেও ইউরোপীয় বা অন্য যে কোনো জাতির সমকক্ষ হতে পারে_ এই বোধ চারিয়ে দিয়ে গেলেন এদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার। সে কারণে এই বিজয় বাঙালির শুধু ক্রিকেট ইতিহাসেই নয়, যে কোনো প্রতিরোধকে চূর্ণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা_ এই পরম সত্যকে ইতিহাস তার নিক্তিতে এদিন যাচাই করে নিতে চাইল যেন। তা না হলে ইংল্যান্ড দলের ২২৫ রান তাড়া করতে গিয়ে এক সময় বাংলাদেশের ১৬৯ রান উঠাতেই আট উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কথিত ভেতো বাঙালি আবার শিনা টানটান করে দাঁড়াতে পারে তার প্রবল প্রতিপক্ষের সামনে! সেই অসামান্য কাজটিই করে দেখাল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তারা মনের আকাশের নিভে যাওয়া সব তারাকে একত্রিত করে জয়ের মশাল জ্বেলে বাঙালি প্রাণে নিমেষে আবার আশার আলো জ্বালাল। শোকে-বিষণ্নতায় মমি বনে যাওয়া গ্যালারি এবং সম্ভাব্য পরাজয়ের একরাশ বেদনা বুকে নিয়ে দর্শক সারি ত্যাগ করে বাড়ির পথ ধরা মানুষকে তারা এক লহমায় আবার মাঠমুখী, টেলিভিশনমুখী করে ছাড়ল। এভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন নবজন্ম হলো। হয়তো সমালোচনা হবে, তামিম বিদায় নেওয়ার পর জুনায়েদ সিদ্দিকীর রান আউট বা ৬০ রান করার পর ইমরুল কায়েসের অনর্থক অতিরিক্ত রান নিতে গিয়ে রান আউট হওয়া অথবা সাকিবের ওভাবে সুইপ খেলতে গিয়ে বল ইনার এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলবে ক্রিকেটীয় রীতিতে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে শেষ পর্যন্ত দলে নিয়ে সিলেক্টররা বিলম্বে হলেও সঠিক কাজটি করেছেন বলে বাহবা কুড়াবেন। টিম সাজানো নিয়েও ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ দল যে জয় জাতিকে উপহার দিল সেটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। হ্যাঁ! বাঙালিরা স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধেও ইউরোপীয় বা অন্য যে কোনো জাতির সমকক্ষ হতে পারে_ এই বোধ চারিয়ে দিয়ে গেলেন এদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার। সে কারণে এই বিজয় বাঙালির শুধু ক্রিকেট ইতিহাসেই নয়, যে কোনো প্রতিরোধকে চূর্ণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
No comments