অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি যেভাবে সমাজের স্থিতিশীলতা, শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে, তা বিপুল জনরায়ে ক্ষমতাসীন এই মহাজোট সরকারের শাসনামলে প্রত্যাশিত নয়।
মানুষ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলের চেয়ে উন্নততর একটা সমাজব্যবস্থার আশা করেই এই সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল। অনস্বীকার্য যে মহাজোট সরকারের সাফল্য-অর্জন কোনোটাই কম নয়; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিদ্যমান চিত্র ক্রমেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সর্বত্র এই ক্রমাবনতি উদ্বেগজনকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। পৌর নির্বাচন আসন্ন। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এমন উপলক্ষে সমাজবিরোধীরা অধিকতর তৎপর হয়ে ওঠে।
বিগত এক সপ্তাহের যে চিত্র তাতে স্পষ্ট করেই বলা যায়, জননিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা দুষ্কর্ম কিংবা সমাজবিরোধী অপকাণ্ড সাধারণ মানুষের মনে ত্রাসের সঞ্চার করছে। রাজধানীর ব্যবসায়িক এলাকা তাঁতীবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তাঁর দোকানে গুলি করে হত্যা, মোহাম্মদপুরে আরেক দোকানিকে হত্যা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক রাতে ছয় ডাকাতি, চট্টগ্রামে সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বাসায় ডাকাতি, রংপুরে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রীকে মেসে ঢুকে ধর্ষণ, ঝিনাইদহে একই সঙ্গে তিনটি হত্যাকাণ্ড_এ ঘটনাগুলো কোনো স্বাভাবিক চিত্র নয়। এ সবই ঘটেছে বিগত এক সপ্তাহে। এর পূর্বাপর আরো অনেক কিছুই ঘটেছে, যা জনজীবনের জন্য আতঙ্কজনক। রবিবার কালের কণ্ঠে প্রকাশ, বরিশালে 'হাতুড়ি' বাহিনী নামে আরো একটি অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সরকারের দায়িত্বশীল মহলের ভাষ্যমতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা তৎপর। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এর পরও কী করে এমন সব ঘটনা একের পর এক ঘটছে। এর ফলে মানুষ আইন প্রয়োগকারী কিংবা শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো, বিশেষ করে পুলিশের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। এসব কোনোটিই শুভ লক্ষণ নয়।
দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। জাতির বহুল প্রত্যাশিত এই কাজটি ভণ্ডুল করে দিতে অপশক্তি এমনিতেই তৎপর রয়েছে। এর পাশাপাশি সমাজবিরোধী অন্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং কঠোর প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। পুলিশ-র্যাব এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। এ ব্যাপারেও সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের জবাবদিহিতা-দায়বদ্ধতার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে আর অবনতি না ঘটে, সে ব্যাপারেও তাদের প্রতি সরকারের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন। আরো একটি বিষয় উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষণীয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় গুরুতর মামলার আসামিদের ছাড় দেওয়ার প্রক্রিয়া। তা বন্ধ করতে হবে। সরকারের দায়িত্বশীলরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালনের কথা জোর দিয়ে বললেও চারদিকের বাস্তবতা তা প্রমাণ করে না। আমরা অবিলম্বে এই গণতান্ত্রিক সরকারকে বাস্তব ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই। আমাদের প্রত্যাশা, পরিস্থিতির অধিকতর অবনতি ঘটার আগেই শিক্ষাঙ্গন, সামাজিক, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অর্থাৎ সর্বত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সর্বাত্মক সতর্কতামূলক তৎপরতা চালিয়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
বিগত এক সপ্তাহের যে চিত্র তাতে স্পষ্ট করেই বলা যায়, জননিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা দুষ্কর্ম কিংবা সমাজবিরোধী অপকাণ্ড সাধারণ মানুষের মনে ত্রাসের সঞ্চার করছে। রাজধানীর ব্যবসায়িক এলাকা তাঁতীবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তাঁর দোকানে গুলি করে হত্যা, মোহাম্মদপুরে আরেক দোকানিকে হত্যা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক রাতে ছয় ডাকাতি, চট্টগ্রামে সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বাসায় ডাকাতি, রংপুরে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রীকে মেসে ঢুকে ধর্ষণ, ঝিনাইদহে একই সঙ্গে তিনটি হত্যাকাণ্ড_এ ঘটনাগুলো কোনো স্বাভাবিক চিত্র নয়। এ সবই ঘটেছে বিগত এক সপ্তাহে। এর পূর্বাপর আরো অনেক কিছুই ঘটেছে, যা জনজীবনের জন্য আতঙ্কজনক। রবিবার কালের কণ্ঠে প্রকাশ, বরিশালে 'হাতুড়ি' বাহিনী নামে আরো একটি অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সরকারের দায়িত্বশীল মহলের ভাষ্যমতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা তৎপর। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এর পরও কী করে এমন সব ঘটনা একের পর এক ঘটছে। এর ফলে মানুষ আইন প্রয়োগকারী কিংবা শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো, বিশেষ করে পুলিশের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। এসব কোনোটিই শুভ লক্ষণ নয়।
দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। জাতির বহুল প্রত্যাশিত এই কাজটি ভণ্ডুল করে দিতে অপশক্তি এমনিতেই তৎপর রয়েছে। এর পাশাপাশি সমাজবিরোধী অন্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং কঠোর প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। পুলিশ-র্যাব এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। এ ব্যাপারেও সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের জবাবদিহিতা-দায়বদ্ধতার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে আর অবনতি না ঘটে, সে ব্যাপারেও তাদের প্রতি সরকারের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন। আরো একটি বিষয় উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষণীয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় গুরুতর মামলার আসামিদের ছাড় দেওয়ার প্রক্রিয়া। তা বন্ধ করতে হবে। সরকারের দায়িত্বশীলরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালনের কথা জোর দিয়ে বললেও চারদিকের বাস্তবতা তা প্রমাণ করে না। আমরা অবিলম্বে এই গণতান্ত্রিক সরকারকে বাস্তব ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই। আমাদের প্রত্যাশা, পরিস্থিতির অধিকতর অবনতি ঘটার আগেই শিক্ষাঙ্গন, সামাজিক, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অর্থাৎ সর্বত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সর্বাত্মক সতর্কতামূলক তৎপরতা চালিয়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
No comments