সময় থাকতে কেন উদ্যোগ নেওয়া হলো না?- অচল বিমানবন্দর
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের শ্রমিক-কর্মচারীদের ধর্মঘটে যাত্রীদের যে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তার দায় মূলত কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ এক দিন আগেও নেওয়া যেত।
তাহলে কেন কর্তৃপক্ষ সময় থাকতে সমঝোতার চেষ্টা করেনি? কেন সাত ঘণ্টা ধরে সব অচল হয়ে থাকল? ধর্মঘট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে হলে হয়তো এ রকম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না।
ধর্মঘটের কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮টি ফ্লাইট গন্তব্যে যেতে পারেনি। বিদেশগামী চার হাজারের বেশি যাত্রী দিনভর আটকা ছিলেন। বিদেশ থেকে এসে চারটি বিমান অবতরণের পর সিঁড়ি না পেয়ে যাত্রীদের বিমানের ভেতর কয়েক ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে হয়েছে। যাত্রীদের মালামাল নামানোর কর্মী ছিলেন না। ফলে তাঁদের মালপত্র পেতে অনেক হয়রান হতে হয়েছে। একপর্যায়ে বিমানবন্দরে যাত্রীরা বিক্ষোভও করেন। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরেও বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
দেশের প্রধান বিমানবন্দরে যে এমন অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, তা অকল্পনীয়। গত রোববার বিমান শ্রমিক লীগের ডাকে সাত দফা দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরদিন প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটানা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যেন চোখে ঠুলি ও কানে তুলো দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে বিপর্যয়ক্ষণের জন্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তারাও যেন চাচ্ছিল ধর্মঘটে সবকিছু অচল হয়ে যাক। শেষ পর্যন্ত যদি মিটমাট হলোই, তাহলে আগে কেন হলো না? দোষ কার, তা অনুসন্ধান করা দরকার।
কয়েকটি দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিমান কর্মচারীরা সিবিএর নেতৃত্বে আন্দোলন করছিলেন। তাঁদের দাবির মধ্যে কোনটা ন্যায্য, কোনটা নয়, তা আলোচনার মাধ্যমে অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসাই সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি। কিন্তু দেখা গেল আন্দোলনের দায়ে সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁকে চাকরিচ্যুতির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আগুনে ঘি ঢালার শামিল। কর্তৃপক্ষ কেন এই বিপজ্জনক পথে গেল, তা বোধগম্য নয়।
সিবিএ নেতা শ্রমিক লীগেরও নেতা। আর শ্রমিক লীগ হলো ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক দল। দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা ও সংকট চলছে। এ সময় সিবিএ নেতাদের ধর্মঘটে যাওয়া কতটা সমীচীন হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার। চূড়ান্ত পদক্ষেপের আগে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত। যেখানে জনদুর্ভোগের প্রশ্ন জড়িত, সেখানে সিবিএরও দায়িত্ব রয়েছে। মন্ত্রীর আশ্বাস যেখানে যথেষ্ট, তাহলে সিবিএর নেতারা কেন মন্ত্রীর কাছে আগে গেলেন না। তাহলে হয়তো এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হতো না।
আমরা আশা করব, এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব যেন ভবিষ্যতে না হয়। যে আশ্বাস মন্ত্রী দিয়েছেন, তার যেন প্রতিপালিত হয়। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে দেওয়া উচিত।
ধর্মঘটের কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮টি ফ্লাইট গন্তব্যে যেতে পারেনি। বিদেশগামী চার হাজারের বেশি যাত্রী দিনভর আটকা ছিলেন। বিদেশ থেকে এসে চারটি বিমান অবতরণের পর সিঁড়ি না পেয়ে যাত্রীদের বিমানের ভেতর কয়েক ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে হয়েছে। যাত্রীদের মালামাল নামানোর কর্মী ছিলেন না। ফলে তাঁদের মালপত্র পেতে অনেক হয়রান হতে হয়েছে। একপর্যায়ে বিমানবন্দরে যাত্রীরা বিক্ষোভও করেন। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরেও বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
দেশের প্রধান বিমানবন্দরে যে এমন অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, তা অকল্পনীয়। গত রোববার বিমান শ্রমিক লীগের ডাকে সাত দফা দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরদিন প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটানা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যেন চোখে ঠুলি ও কানে তুলো দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে বিপর্যয়ক্ষণের জন্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তারাও যেন চাচ্ছিল ধর্মঘটে সবকিছু অচল হয়ে যাক। শেষ পর্যন্ত যদি মিটমাট হলোই, তাহলে আগে কেন হলো না? দোষ কার, তা অনুসন্ধান করা দরকার।
কয়েকটি দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিমান কর্মচারীরা সিবিএর নেতৃত্বে আন্দোলন করছিলেন। তাঁদের দাবির মধ্যে কোনটা ন্যায্য, কোনটা নয়, তা আলোচনার মাধ্যমে অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসাই সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি। কিন্তু দেখা গেল আন্দোলনের দায়ে সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁকে চাকরিচ্যুতির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আগুনে ঘি ঢালার শামিল। কর্তৃপক্ষ কেন এই বিপজ্জনক পথে গেল, তা বোধগম্য নয়।
সিবিএ নেতা শ্রমিক লীগেরও নেতা। আর শ্রমিক লীগ হলো ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক দল। দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা ও সংকট চলছে। এ সময় সিবিএ নেতাদের ধর্মঘটে যাওয়া কতটা সমীচীন হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার। চূড়ান্ত পদক্ষেপের আগে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত। যেখানে জনদুর্ভোগের প্রশ্ন জড়িত, সেখানে সিবিএরও দায়িত্ব রয়েছে। মন্ত্রীর আশ্বাস যেখানে যথেষ্ট, তাহলে সিবিএর নেতারা কেন মন্ত্রীর কাছে আগে গেলেন না। তাহলে হয়তো এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হতো না।
আমরা আশা করব, এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব যেন ভবিষ্যতে না হয়। যে আশ্বাস মন্ত্রী দিয়েছেন, তার যেন প্রতিপালিত হয়। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে দেওয়া উচিত।
No comments