অবশেষে মোবাইলে দশ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক হলো- অমান্য করলে ব্যবস্থা গ্রহণ by ফিরোজ মান্না
মোবাইল ফোনের প্রতিকলে ১০ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বুধবার থেকে অপারেটরদের এই নির্দেশ পালন করতে বলেছে বিটিআরসি। যদি কোন অপারেটর এ নির্দেশ অমান্য করে তাহলে ওই অপারেটরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) জিয়া আহমেদ বলেন, গ্রাহকরা কল করার পর নেটওয়ার্কের কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রতিনিয়তই কল ড্রপের মতো সমস্যায় পড়ছেন। এরপর পুনর্সংযোগে প্রতিবারই এক মিনিট বা পূর্ণ পালসের অর্থ পরিশোধ করতে হয়। অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে কল ড্রপ করিয়ে অনেক অপারেটরের বাড়তি টাকা আদায় করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনার পর ১০ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি অপারেটর প্রতি কলে ১০ সেকেন্ড পালস দিতে বাধ্য। কোন অপারেটর এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, দেশী মোবাইল ফোন কলে সব ধরনের প্যাকেজে ন্যূনতম ১০ সেকেন্ড পালস রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলেছে, প্রতিটি দেশী অপারেটরের ক্ষেত্রে ১৫ আগস্ট থেকে এ আদেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৫ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত কোন মোবাইল অপারেটর এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি মনিটর করা হচ্ছে। অপারেটরদের অবশ্যই এ নির্দেশ পালন করতে হবে। এটা না করলে আইন অনুযায়ী তাদের নানা ধরনের জরিমানা করা হবে। গ্রাহকদের একটি কলের বিপরীতে একাধিকবার কল করতে হয়। আর এ চেষ্টায় প্রতিবারই নির্ধারিত এক মিনিটের বা পূর্ণ পালসের ফি দিতে হচ্ছে। এতে গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। সারাদিনে একজন গ্রাহক যদি গড়ে ৫টি কল করেনÑ তাহলে দেখা যাবে তিনটি কলই ড্রপ করা হচ্ছে। ফলে ওই গ্রাহককে আবার নতুন করে কল করতে হচ্ছে। এতে তাকে নতুন কলের চার্জ দিতে হচ্ছে। নতুন কল তিনটির জন্য একজন গ্রাহককে কম করে হলেও ৬ টাকা গুনতে হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি অপারেটর গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে কেটে নিচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর গ্রাহকসেবার নামে নতুন নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করে। এসব প্যাকেজ হচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকি। প্রতিটি অফার গ্রহণ করতে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হয়। প্রতিটি এসএমএস ২ থেকে আড়াই টাকা কেটে নেয় অপারেটররা। টাকা কেটে নিলেও অনেক গ্রাহকসেবা এ্যাক্টিভ হয় না। অথচ গ্রাহকের পকেট থেকে ওই টাকা চলে যায় অপারেটরের পকেটে। এভাবে ১০ কোটি গ্রাহকের মধ্য থেকে যদি ৩ থেকে ৪ কোটি গ্রাহক অফারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে প্রতিদিন মোবাইল কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক গ্রাহক সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে অভ্যস্ত। এতে অতিরিক্ত সময়ের ফি নেয়া বাস্তবসম্মত নয়। অপারেটরদের এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে ১০ সেকেন্ডের পালস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহকসেবার নামে বিভিন্ন অফারের বিষয়ে কমিশন ঈদের পরে আরেকটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে।
১০ সেকেন্ডে পালস নির্ধারণের বিষয়টি কমিশনে পাস করার পর তা অপারেটরদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া দেশে এ মুহূর্তে মোবাইল ফোনের সিমের হিসাবে গ্রাহক সংখ্যা নয় কোটি। এ হিসাব এনবিআর ও বিটিআরসির। এর বাইরেও অনেক রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিম চালু রেখেছে বিভিন্ন অপারেটর। রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমের বিষয়ে বিটিআরসি এর আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের কাছে হিসাব চেয়েছিল। অপারেটররা এ হিসাব না দিলেও বিটিআরসি বলেছে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমের পরিমাণ কয়েক লাখ।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, গত এক দশকে টেলিকম খাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রায় ৮শ’ অপারেটর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এসব অপারেটর ৪৭০ বিলিয়ন টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে। এখান থেকে সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করেছে। টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে অনেক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০০১ সালে বিটিআরসি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। নতুন প্রযুক্তি প্রচলনের মাধ্যমে কম খরচে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। বর্তমানে গোটা দেশ মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। এখন ধরতে গেলে শতভাগ কানেক্টিভিটি তৈরি হয়েছে। সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে এই কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০০২ সালে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১১ লাখ। এখন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যাও ছাড়িয়ে গেছে ৪ কোটির উপরে। টেলিযোগাযোগ খাত নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। মোবাইল অপারেটররা আগে বিনা মূল্যে স্পেক্ট্রাম ব্যবহার করত। এখন লাইসেন্স নবায়নের ওপর ফি ধরা হয়েছে। অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির জটিলতা সৃষ্টি হলেও পরে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। কিছু ব্যাপারে সমস্যা হতেই পারে। তবে রেগুলেটরি বডি ও অপারেটরদের সম্পর্ক ভাল আছে। এখানে দ্বি-মতের কোন অবকাশ নেই। গত নবেম্বরে টু-জি লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে। অপারেটররা টাকাও জমা দিয়েছে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, দেশী মোবাইল ফোন কলে সব ধরনের প্যাকেজে ন্যূনতম ১০ সেকেন্ড পালস রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলেছে, প্রতিটি দেশী অপারেটরের ক্ষেত্রে ১৫ আগস্ট থেকে এ আদেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৫ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত কোন মোবাইল অপারেটর এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি মনিটর করা হচ্ছে। অপারেটরদের অবশ্যই এ নির্দেশ পালন করতে হবে। এটা না করলে আইন অনুযায়ী তাদের নানা ধরনের জরিমানা করা হবে। গ্রাহকদের একটি কলের বিপরীতে একাধিকবার কল করতে হয়। আর এ চেষ্টায় প্রতিবারই নির্ধারিত এক মিনিটের বা পূর্ণ পালসের ফি দিতে হচ্ছে। এতে গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। সারাদিনে একজন গ্রাহক যদি গড়ে ৫টি কল করেনÑ তাহলে দেখা যাবে তিনটি কলই ড্রপ করা হচ্ছে। ফলে ওই গ্রাহককে আবার নতুন করে কল করতে হচ্ছে। এতে তাকে নতুন কলের চার্জ দিতে হচ্ছে। নতুন কল তিনটির জন্য একজন গ্রাহককে কম করে হলেও ৬ টাকা গুনতে হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি অপারেটর গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে কেটে নিচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর গ্রাহকসেবার নামে নতুন নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করে। এসব প্যাকেজ হচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকি। প্রতিটি অফার গ্রহণ করতে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হয়। প্রতিটি এসএমএস ২ থেকে আড়াই টাকা কেটে নেয় অপারেটররা। টাকা কেটে নিলেও অনেক গ্রাহকসেবা এ্যাক্টিভ হয় না। অথচ গ্রাহকের পকেট থেকে ওই টাকা চলে যায় অপারেটরের পকেটে। এভাবে ১০ কোটি গ্রাহকের মধ্য থেকে যদি ৩ থেকে ৪ কোটি গ্রাহক অফারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে প্রতিদিন মোবাইল কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক গ্রাহক সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে অভ্যস্ত। এতে অতিরিক্ত সময়ের ফি নেয়া বাস্তবসম্মত নয়। অপারেটরদের এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে ১০ সেকেন্ডের পালস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহকসেবার নামে বিভিন্ন অফারের বিষয়ে কমিশন ঈদের পরে আরেকটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে।
১০ সেকেন্ডে পালস নির্ধারণের বিষয়টি কমিশনে পাস করার পর তা অপারেটরদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া দেশে এ মুহূর্তে মোবাইল ফোনের সিমের হিসাবে গ্রাহক সংখ্যা নয় কোটি। এ হিসাব এনবিআর ও বিটিআরসির। এর বাইরেও অনেক রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিম চালু রেখেছে বিভিন্ন অপারেটর। রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমের বিষয়ে বিটিআরসি এর আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের কাছে হিসাব চেয়েছিল। অপারেটররা এ হিসাব না দিলেও বিটিআরসি বলেছে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমের পরিমাণ কয়েক লাখ।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, গত এক দশকে টেলিকম খাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রায় ৮শ’ অপারেটর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এসব অপারেটর ৪৭০ বিলিয়ন টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে। এখান থেকে সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করেছে। টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে অনেক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০০১ সালে বিটিআরসি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। নতুন প্রযুক্তি প্রচলনের মাধ্যমে কম খরচে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। বর্তমানে গোটা দেশ মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। এখন ধরতে গেলে শতভাগ কানেক্টিভিটি তৈরি হয়েছে। সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে এই কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০০২ সালে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১১ লাখ। এখন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যাও ছাড়িয়ে গেছে ৪ কোটির উপরে। টেলিযোগাযোগ খাত নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। মোবাইল অপারেটররা আগে বিনা মূল্যে স্পেক্ট্রাম ব্যবহার করত। এখন লাইসেন্স নবায়নের ওপর ফি ধরা হয়েছে। অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির জটিলতা সৃষ্টি হলেও পরে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। কিছু ব্যাপারে সমস্যা হতেই পারে। তবে রেগুলেটরি বডি ও অপারেটরদের সম্পর্ক ভাল আছে। এখানে দ্বি-মতের কোন অবকাশ নেই। গত নবেম্বরে টু-জি লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে। অপারেটররা টাকাও জমা দিয়েছে।
No comments